জবি ছাত্রী
কুমিল্লায় পারিবারিক কবরস্থানে জবি ছাত্রী অবন্তিকার দাফন সম্পন্ন
শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফেইসবুকে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ শনিবার বিকাল ৩টায় কুমিল্লা সরকারি কলেজে জানাজা শেষে শহরতলীর শাসনগাছা মাহাজন বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
জানাজায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেফতাহুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক নুরুন নাহার মজুমদার, মুনিরা জাহান,কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল হক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নূরুর রহমানসহ নিহতের স্বজন, প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা অংশ নেন।
এদিকে, এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে অবন্তিকার নিজ জেলা কুমিল্লায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের ঠাকুরপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় দূতাবাসে কর্মরত স্প্যানিশ নাগরিকের আত্মহত্যা
স্ত্রী ও ২ মেয়েকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
৭ মাস আগে
জবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগে হল থেকে বহিষ্কার আরেক শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংগীত বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমীম সানজানা সৃষ্টিকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি।
তাকে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার।
তিনি বলেন, 'বিষয়টি ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনা সত্য প্রমাণ হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী রবিবার তাকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে।
১১ তলার হলের দায়িত্বে থাকা হাউস টিউটর নিপা দেবনাথ বলেন, 'বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে শৃঙ্খলা কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে আসনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
এর আগে হলের রান্নাঘরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে মারধর করেন সংগীত বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমিম সানজানা সৃষ্টি। পরে ভুক্তভোগী হলের হাউস টিউটর ও প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
তাসমীম সানজানাও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।
ইতি বলেন, 'আমি রান্না করছিলাম। সৃষ্টি আপু ডিম ভাজতে চেয়েছিলেন, তাই আমি আমার রান্না বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমার ক্লাস থাকায় আমি তাকে তাড়াতাড়ি রান্না শেষ করতে বললাম, তখন তিনি গালিগালাজ করতে লাগলেন। প্রতিবাদ করলে আমাকে চড়-থাপ্পড় ও ঘুষি মারেন। এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম এবং আর কিছু আমার মনে নেই।’
ঘটনার পর এক সাংবাদিক এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সৃষ্টি তার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম ইশতিয়াককে দিয়ে হুমকি দেন।
অভিযুক্ত সৃষ্টি বলেন, ‘জুনিয়র ওই শিক্ষার্থীও গালিগালাজ করেছেন। তিনি আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। এ কারণে তাকে মারধর করেছি। আমাকেও আঘাত করেছেন তিনি।’
৭ মাস আগে