মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি
শিগগিরই ষষ্ঠ যৌথ বাণিজ্য কমিটির বৈঠক করতে চায় ঢাকা-ব্যাংকক
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় ষষ্ঠ যৌথ বাণিজ্য কমিটির (জেটিসি) বৈঠক আহ্বানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছে, এটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনার পথ প্রশস্ত করবে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোরের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, রানোং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি উপকূলীয় জাহাজের পরীক্ষামূলক যাত্রা শিগগিরই হতে পারে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশের অফিসিয়াল পাসপোর্টের জন্য 'ভিসা ছাড় চুক্তি' সক্রিয় করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র সচিব।
এসময় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জানান, থাইল্যান্ড শিগগিরই ই-ভিসা সেবা চালু করতে যাচ্ছে। আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ই-ভিসা নিতে পারবেন।
পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব নেওয়ায় জসিম উদ্দিনকে অভিনন্দন জানান এবং আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন সুমিতমোর।
এসময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, কৃষি ব্যবসা, পর্যটন ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগের বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন পররাষ্ট্র সচিব।
বৈঠকে উভয় পক্ষই শিগগিরই বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনাকালে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে থাই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফল বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সুমিতমোর বলেন এই আয়োজন থাই ব্যবসায়ীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সুস্বাদু খাবারের প্রচার ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য জ্ঞান, উদ্ভাবন ও দক্ষতা বিনিময়ে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
৩ সপ্তাহ আগে
ইইসি’র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের (ইইসি) সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বেলারুশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রবিবার(১০ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও বেলারুশের মধ্যকার ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পঞ্চম পর্বে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ইভগেনি শেস্তাকভ ফরেন অফিস কনসালটেশনে নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনের জন্য তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হিসেবে বেলারুশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকা করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
উভয় প্রতিনিধিদল দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করে আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বেলারুশের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি এবং আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বেলারুশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষই ঝুলে থাকা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
কৃষি, শিক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আইনি বিষয়ে সহযোগিতাসহ বাংলাদেশ ও বেলারুশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইন্ডিপেন্ডেন্স ডিপ্লোম্যাটিক কাপ টেনিস টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সুইডেন ও রানার্স আপ ডেনমার্ক
৮ মাস আগে