হাবিয়ো বন্দর
সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
ভারত মহাসগরে জিম্মি করা ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২টার আগে জাহাজটিকে নোঙর করে জলদস্যুরা। তবে এখনো পর্যন্ত দস্যুদের কেউ মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি এবং তাদের কোনো দাবি জানায়নি।
এম মাকসুদ আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই জলদস্যুরা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
জলদস্যুদের পর্যবেক্ষণকারী লন্ডন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ জাহাজটি গ্যারাকাদ নোঙর এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে দস্যুরা নোঙর করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের চট্টগ্রাম অফিসে স্বজনদের ভিড়, উদ্ধারের আশ্বাস মালিকপক্ষের
মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ।
যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনের তথ্য অনুযায়ী, জিম্মি করার সময় জাহাজটির অবস্থান ছিল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ভারত মহাসাগরে।
জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। তিন মাস আগে গ্রুপের বহরে যুক্ত হয়েছিল জাহাজটি।
জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। ফলে বিনা বাধায় জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় দস্যুরা। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের ২৩ নাবিককে।
জাহাজের মালিক এসআর শিপিংয়ের মূল প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আমাদের জাহাজ সোমালিয়ার একটি বন্দরে নোঙর করেছে। তবে এখনো কেউ কোনো দাবি জানায়নি তারা।
আরও পড়ুন: জলদস্যুর কবলে জাহাজ: ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের
৮ মাস আগে