টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী
এআই’র বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আইন করা হচ্ছে: টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের (এআই) বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৪ উদযাপনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
আরও পড়ুন: এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পলক বলেন, এআই মানুষের জীবনধারা যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি। প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ করে এআইর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে।
এছাড়াও তিনি জানান, ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজলভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে সামিল করেছে বলে জানান তিনি।
পলক আরও বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: স্মার্ট জেনারেশন তৈরিতে এআই আইন গুরুত্বপূর্ণ: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং এই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাংলাদেশে এ বছর প্রথমবারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম, আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: এআই নীতি প্রণয়নে নাগরিক অধিকার সংস্থা-অংশীজনকে সম্পৃক্ত করুন: টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন
৭ মাস আগে
কলিং অ্যাপ ‘আলাপ’কে জনপ্রিয় করে তুলতে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ
বিটিসিএলের কলিং সেবা অ্যাপ ‘আলাপ’কে গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এক সঙ্গে ২০ লাখ গ্রাহক যাতে একসঙ্গে ভিডিও কল করতে পারে এবং আইডি ছাড়াই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে হোয়াটস অ্যাপের মতো সহজে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভায় এই নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।
অ্যাপটি ডাউনলোড করার উপযোগী করা এবং বিদ্যমান ল্যান্ড ফোনের নম্বর হিসেবে অ্যাপটিতে ইনকামিং ও আউটগোয়িং কল করা ও কল গ্রহণের সুবিধা নিশ্চিত করতে বলেন পলক।
এছাড়াও চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জাতীয় অগ্রগতির ক্রম তালিকায় সর্বোচ্চ স্থান অর্জনের করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় টেলিযোগাযোগ বিভাগের চলতি অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে বিটিসিএল, টেশিসসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার অব্যবহৃত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।
৯ মাস আগে