নপ্রিয় গান
‘নাতি খাতি বেলা গেল’ দিয়ে জনপ্রিয়তা শুরু খালিদের
নব্বইয়ের দশকে ‘মিক্স মাস্টার’ বলা হতো সদ্য প্রায়ত গায়ক খালিদকে। ব্যান্ডের মিক্সড অ্যালবাম মানে খালিদের একটি গান যেন না থাকলেই নয়। তাই বলে ক্যারিয়ারে তার গানের সংখ্যাটা যে অনেক তা কিন্তু নয়। তবে সেই তুলনায় জনপ্রিয় গানের সংখ্যাটা অনেকেরই চেয়ে বেশি বলা যায়।
পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। তবে আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে ‘চাইম খালিদ’ নামে চেনে।
‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘ঘুমাও তুমি’ অথবা ‘কোনো কারণে’ দিয়ে খালিদ তুমুল জনপ্রিয় হলেও তার পরিচিতি মূলত শুরু হয় ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটি দিয়ে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: অপূর্বর পাশে সহকর্মীরা
১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা শুরু খালিদের। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন ‘চাইম’ ব্যান্ডে। ১৯৮৭ সালে সারগামের ব্যানারে প্রকাশিত হয় প্রথম অ্যালবাম ‘চাইম’। আর সেই অ্যালবামের গান ‘নাতি খাতি বেলা গেল’। তবে এরসঙ্গে ‘তুমি জানো নারে প্রিয়’, ‘কীর্তনখোলা নদীতে আমার’, ‘এক ঘরেতে বসত কইরা’, ‘ওই চোখ’, ‘সাতখানি মন বেজেছি আমরা’ গানগুলোও শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেয়।
এরপর নব্বইয়ের দশকে মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে জনপ্রিয়তা আরও ছড়িয়ে পড়ে খালিদের। জনপ্রিয় হয়ে উঠে‘কোনো কারণেই’, ‘কীভাবে কাঁদাবে’, ‘হয়নি যাবার বেলা’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘নীরা’সহ আরও অনেক গান।
পাশাপাশি রেডিও-তে জনপ্রিয়তার সঙ্গেও খালিদের নামটি চলে আসে। রেডিওতে গান শোনা একটা ট্রেন্ড শুরু হয় ২০০৫ সালের পর থেকে। আর প্রতিটি শোতে খালিদের গানের অনুরোধ থাকবে না এমনটা হয়তো কমই হতো।
আর রেডিওর জনপ্রিয় সময়টার পর খালিদকে আর নিয়মিত গানে পাওয়া গেল না। নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিলেন বলা যায়। আর সবার সঙ্গে যোগাযোগটাও কমিয়ে আনেন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউ ইয়র্কে পরিবারসহ বসবাস করতেন। এক ছেলে তার। সেখানেই পড়াশোনা করছে। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। খুব একটা কোথাও যেতেন না তিনি। কিছুদিন আগেই দেশে এসেছিলেন খালিদ।
প্রতিবারের মতো এবারও হয়তো সময় শেষে ফিরে যেতেন আমেরিকায়। কিন্তু সেটি আর হলো না।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি হাসপাতালে মারা যান খালিদ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গোপালগঞ্জ পৌঁছায়। জোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের গেটপাড়া কবরস্থানে তার বাবা মায়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় এই সংগীত তারকাকে।
আরও পড়ুন: গায়ক খালিদ মারা গেছেন
দ্বন্দ্ব ভেঙে সমঝোতায় অপূর্ব ও আলফা আই
৮ মাস আগে