বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
শান্তিপূর্ণ অঞ্চল উন্নয়নে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার আলোচনা
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সামুদ্রিক নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন সোমবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতা কীভাবে একটি 'শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ' অঞ্চল গড়ে তুলতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ ভারত মহাসাগরের প্রতিবেশী এবং তারা যে কাজটি করতে চায় তার মধ্যে একটি হলো দুই কোস্টগার্ডের মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতা গড়ে তোলা।
চলতি বছরের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও মানব পাচারের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে 'আরও ব্যাপক সহযোগিতা' করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে তিনি বলেন, ‘আমারা একটি অঞ্চল ভাগ করি। আমরা একটি মহাসাগর ভাগ করি এবং আমরা একটি ভবিষ্যত ভাগ করি। আর এ অঞ্চল যাতে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ হয় তা নিশ্চিত করতে আপনাদের ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
৪ সপ্তাহ আগে
বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট সিরিজ
আগামী ২১ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল।
এটি অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ সফর। এর আগে ২০১৪ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তারা। তবে তারা বাংলাদেশে কখনো ওয়ানডে ইনিংস খেলেননি।
প্রথম ওয়ানডে ২১ মার্চ আর বাকি দুটি যথাক্রমে ২৪ ও ২৭ মার্চ। ওয়ানডে সিরিজের পর ৩১, ২ ও ৪ এপ্রিল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল।
সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে বাংলাদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ওয়ানডে।
দুই বছর আগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে ৬৫ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ তৈরি করেছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে জিতে আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ নারী দল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ড্রসহ সাম্প্রতিক সাফল্য বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে।
বাংলাদেশের মাঠ অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ অনেকেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে খেলছে। এর আগে কেবল অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি ও এলিস পেরির কেবল এ দেশের মাটিতে খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে সেটিও এক দশক আগের।
ভারতে চলমান উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) অস্ট্রেলিয়ার কিছু খেলোয়াড় অংশ নিয়েছেন। সেখানে মাঠের অবস্থাও অনেকটা বা বাংলাদেশের মতোই।
অস্ট্রেলিয়া দল: অ্যালিসা হিলি (অধিনায়ক), তাহলিয়া ম্যাকগ্রা (সহ-অধিনায়ক), অ্যাশলে গার্ডনার, কিম গার্থ, গ্রেস হ্যারিস, অ্যালানা কিং, ফোবি লিচফিল্ড, সোফি মলিনেক্স, বেথ মুনি, এলিস পেরি, মেগান স্কাট, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, জর্জিয়া ওয়ারহাম, টায়লা ভ্লাইমিঙ্ক।
বাংলাদেশ দল: নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ-অধিনায়ক), ফারজানা হক, মুর্শিদা খাতুন, সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, দিশা বিশ্বাস, সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি, ফারজানা আক্তার ও রাবেয়া খান।
আরও পড়ুন: রিদম গ্রুপের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
৭ মাস আগে