ঈদুল ফিতর ২০২৪
এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
ঈদ উৎসবের সঙ্গে এবার থাকছে ঝড়-বৃষ্টির আমেজ। তাই ঘরে থাকার আনন্দটা বেশ ভালো জমে উঠবে ঈদ নাটকের সঙ্গে। ঈদুল ফিতর ২০২৪ এ এই আবহকে কেন্দ্র করে চাঁদ রাত থেকে শুরু করে পুরো সপ্তাহজুড়ে জড়ো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের নাটক। উৎসবমুখরতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রোমান্টিক ও কমেডির মিশেলে প্রস্তুতি নিয়েছে ছোট পর্দার ঈদ নিবেদন। পাশাপাশি বৈচিত্র্যপূর্ণ কিছু নাটকীয়তাও স্থান পেয়েছে নাট্যপ্রেমীদের ভিন্ন স্বাদ দিতে। চলুন, সেগুলোর মধ্যে থেকে আসন্ন ঈদের সেরা ১০টি নাটকের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
আসন্ন ঈদুল ফিতর ২০২৪ এ যে ১০টি নাটক দর্শকনন্দিত হওয়ার অপেক্ষায়
.
জাদুর শহর
ধনী পরিবারের সন্তান মাদকের টাকার জন্য জড়িয়ে পড়ে ছিনতাইয়ে। এমনকি সেই ছিনতাইয়ে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। কাহিনী সামনে এগোনোর সঙ্গে উন্মুক্ত হতে থাকে এই ঘটনার সঙ্গে নাটকের প্রধান চরিত্রগুলোর এক বিস্ময়কর যোগসূত্র।
এমনি গল্প নিয়ে নাটকটি পরিচালনা করেছেন তুহিন হোসেন। চিত্রনাট্যে ছিলেন নাহিদ হাসনাত। শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন ফারহান আহমেদ জোভান এবং সাফা কবির। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন হিন্দোল রয়, দিশা এবং আখি আক্তার।
‘জাদুর শহর’ দেখা যাবে এনটিভির পর্দায় এবং তারপর মুক্তি পাবে এনটিভি নাটক ইউটিউব কন্টেন্ট হিসেবে।
আরও পড়ুন: আম্বানিপুত্রের রাজকীয় বিবাহ-পূর্ব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি তারকা ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের মিলনমেলা
প্রেম এসেছিল একবার
রামিম একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মকর্তা। একটি বিজ্ঞাপনে ভয়েজ ওভার দেওয়ার সুবাদে নীলিমার সঙ্গে পরিচয় হয় রামিমের। তাদের দুজনের মধ্যেই একটি সাধারণ ব্যাপার হচ্ছে- দুজনেই কবিতাপ্রেমী। আর এর ভিত্তিতেই পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব এবং সে বন্ধুত্ব পরিণত হয় পরিণয়ে।
এই মিষ্টি প্রেমের গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য বানিয়েছেন মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। আর সেই চিত্রনাট্যকে নাটকে রূপ দিয়েছেন পরিচালক রুবেল হাসান।
নাটকে রামিমের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান এবং নীলিমা চরিত্রে রয়েছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। অন্যান্যদের মধ্যে আছেন- মিলি বাশার, শম্পা নিজাম, নিজাম উদ্দিন তামুর এবং আনন্দ খালিদ।
প্রযোজনা সংস্থা সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত নাটকটি মুক্তি পাবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
শেষমেশ
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক-খ্যাত পরিচালক কাজল আরেফিন অমি এবার দেখাতে চলেছেন পারিবারিক গল্প। ‘শেষমেশ’ শিরোনামের এই নাটকে পারিবারিক সম্পর্কগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হবে হাস্যরসের মাধ্যমে।
নাটকে বিভিন্ন ধরনের অযাচিত অথচ কষ্টসাধ্য কাজের মাধ্যমে একটি ছেলে তার পরিবারকে খুশী করার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষমেশ তা কতটুকু সুখের আর কতটুকু বিড়ম্বনাপূর্ণ হয় তারই হিসেব চলে গোটা নাটক জুড়ে।
বরাবরের মতো এবারও অমির পুরনো নাট্যগ্রুপ থেকে থাকছেন মনিরা মিঠু, জিয়াউল হক পলাশ, পারসা ইভানা, পাভেল, চাষি আলম এবং শিমুল শর্মা। পাশাপাশি আরও দেখা যাবে সুমন পাটোয়ারী, সাদিয়া তানজিন, ইশরাত জাহিন এবং তানজিম হাসান অনিককে।
নাটকটি এই ঈদে ক্লাব ইলিভেন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব কন্টেন্ট হিসেবে থাকছে।
আরও পড়ুন: একই প্ল্যাটফর্মে দুই তারকা শাকিব-সাকিব
আমরণ বিয়েশন
সেরনিয়াবাত শাওনের রচনা ও পরিচালনায় অদ্ভূত শিরোনামের এই নাটকটি সম্পূর্ণ কমেডি ঘরানার। ফাহাদকে বিয়ে করার জন্য সরাসরি বাসায় এসে হাজির হয় তার প্রেমিকা মারিয়া। ফাহাদ বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে তার বাসাতেই আমরণ অনসন শুরু হয় মারিয়ার। এমন অদ্ভূত কাণ্ডে বাসায় সাংবাদিকরাও এসে জড়ো হয়। বিয়ের জন্য অনসনকে এখানে নাম দেওয়া হয়েছে বিয়েশন।
এখানে ফাহাদ হিসেবে থাকছেন উদীয়মান তারকা জুনায়েদ বুকদাদি। আর মারিয়া চরিত্রে আছেন এ সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী তানজিন তিশা।
নাটকের সহশিল্পীরা হলেন শিল্পী সরকার অপু, মেহেদী হাসান পিয়াল, দিলু মজুমদার, তিশা চৌধুরী, এবং নীলা ইস্রাফিল। ‘আমরণ বিয়েশন’ এনটিভি থেকে সম্প্রচারণের জন্য নির্ধারিত। অতঃপর এটি এনটিভি নাটক ইউটিউব কন্টেন্ট হিসেবেও মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন: সুপারশী: যে দ্বীপে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
বুনোফুল ও ভাঙা ফুলদানি
জনপ্রিয় জুটি খায়রুল বাশার ও সাদিয়া আয়মানের এই রোমান্টিক নাটকটি পরিচালনা করেছেন সেলিম রেজা। গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে ছিলেন নাসির খান।
ইমতিয়াজ ও রানু পরস্পরকে ভালবাসে। কিন্তু রানু পরিবার এই সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। কারণ ইমতিয়াজের একটি পা খোঁড়া। এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তাদের প্রণয় আদৌ আলোর মুখ দেখতে পারবে কিনা তারই গল্প বলেছে এই নাটকটি।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীর হলেন তুতিয়া ইয়াসমিন পাপিয়া, আনিকা তাবাসসুম হায়াত, নাবিলা আলম পলিন এবং নুসরাত মেঘলা।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
৭ মাস আগে
এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র
নতুন সিনেমার মাধ্যমে ঈদ বিনোদনটা বেশ পুরনো। বিগত কয়েক দশকে ঢালিউড চলচ্চিত্রের অনেক চড়াই- উৎরাই হলেও ঈদের সময় বাংলা ছবির শোরগোলটা ছিল স্বাভাবিক। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এমনকি ব্যবসায়িক সিনেমাগুলোর পাশাপাশি মূলধারার কাতারে শামিল হচ্ছে শৈল্পিক ও নিরীক্ষাধর্মী ছবিগুলোও। তাই ভিন্ন স্বাদে বাড়ছে দর্শকদের প্রত্যাশা। চলুন, ঈদুল ফিতর ২০২৪-এ মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তেমনি কিছু বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
আসন্ন ঈদুল ফিতর ২০২৪ এ যে ১০টি বাংলাদেশী সিনেমা দর্শক মাতানোর অপেক্ষায়
রাজকুমার
২০২২ সালের ২৯ মার্চ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশের পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়েছে ‘রাজকুমার’ নিয়ে। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার এই মুভিতে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নায়িকা হয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আর এ নিয়ে মোট ৩টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করলেন পরিচালক হিমেল আশরাফ।
এখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মোস্তফা, আফজাল হোসেন, ফারুক আহমেদ এবং ডা. এজাজ।
‘রাজকুমার’ বাংলাদেশের একটি গ্রাম্য যুবকের আমেরিকার যান্ত্রিক শহরে তার মাকে খোঁজার গল্প। এই অক্লান্ত যাত্রায় একে একে যুবকটি সম্মুখীন হয় অভিবাসন বাধা, ভিন্ন সংস্কৃতি, এমনকি প্রেম-ভালবাসার।
আরও পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমের পর এবার টফির পর্দায় আসছে ‘ওরা ৭ জন’
কাজলরেখা
দেশের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রকার গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণার ফসল এই চলচ্চিত্র। মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটির গল্প, পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন সেলিম নিজেই। সিনেমার পটভূমিক আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগের।
মুভির নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে। সুচ কুমারের ভূমিকায় থাকছেন শরিফুল রাজ। আর খলচরিত্র কঙ্কণ দাসী হিসেবে রয়েছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা।
চলচ্চিত্রটিতে আরও আছেন ছোট পর্দার তারকা খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মান, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, ও শাহানা সুমি।
লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী
ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকি’র ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের ১২টি ওয়েব ফিল্মের একটি ‘মনোগামী’। পরিচালনায় আছেন স্বয়ং প্রজেক্ট তত্বাবধায়ক প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। প্রজেক্টের অধীনে ইতোমধ্যে তার পরিচালিত ও অভিনীত ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ফিল্মটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের ঈদুল ফিতরে ‘মনোগামী’র মাধ্যমে তিনি তুলে ধরতে যাচ্ছেন নারী-পুরুষের সম্পর্কের তীক্ত সত্য কিছু দিক। এর আগে তার এই প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিলো ‘ব্যাচেলার’ (২০০৪) ছবিতে। এবারে আলোকপাত করা হয়েছে বিবাহিত জীবনের দিকে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
সিনেমার শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন এ সময়ের বিনোদন পাড়ার সবচেয়ে পরিচিত মুখ চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবে আছেন সঙ্গীতশিল্পী ও ইউটিউবার জেফার রহমান এবং নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমাকে।
দেয়ালের দেশ
বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত এই রোমান্টিক ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চিত্র-পরিচালনা করলেন মিশুক মনি। ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও সবই তার লেখা। চলচ্চিত্রের গল্প এগিয়েছে দুটি ভিন্ন সময়কে কেন্দ্র করে।
‘দেয়ালের দেশ’-এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছেন শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী। ব্যবসায়িক ছবির নায়িকা হিসেবে সুপরিচিত বুবলীকে এবার দেখা যাবে অকৃত্রিম বাস্তবধর্মী চরিত্রে।
চলচ্চিত্রের অন্যান্য সহশিল্পীরা হলেন জিনাত শানু স্বাগতা, আজিজুল হাকিম, সাবেরী আলম, শাহাদাত হোসেন, এ কে আজাদ সেতু, সমাপ্তি মাশুক, এবং দীপক সুমন।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
মেট্রো সিনেমার ব্যানারে যৌথ ভাবে ছবির প্রযোজনা করেছেন মাহফুজুর রহমান ও মিশুক মনি।
ওমর
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্রকার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ দীর্ঘদিন পর বিনোদন পাড়ায় ফিরছেন ‘ওমর’-এর মাধ্যমে। মুভির শিরোনামটি ঠিক করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবির গল্প নিয়ে এখনও ‘ওমর’ টিমের কেউই তেমন কিছু প্রকাশ করেননি। তবে চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ।
চলচ্চিত্রের নাম চরিত্রে রয়েছেন শরীফুল রাজ। বিশেষ একটি চরিত্রে আবির্ভূত হবেন কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। এছাড়া আরও থাকছেন ফজলুর রমান বাবু, নাসির উদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এরফান মৃধা শিবলু, ও আয়মান সিমলাকে। মাস্টার কমিউনিকেশন্সের ব্যানারে মুভির প্রযোজনায় ছিলেন খোরশেদ আলম।
আরও পড়ুন: টুয়েলভথ ফেইলের মতো অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ১০ সিনেমা
৭ মাস আগে
ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
পোশাক বিপণনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ঈদের মৌসুম। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরকে উদ্দেশ্য করে রোজা শুরু হতে না হতেই সরব হতে শুরু করে পোশাকের বাজার। নতুন কাপড়ের উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে নিজেদের প্রিয় ব্র্যান্ডের শরণাপন্ন হন ফ্যাশন সচেতন ক্রেতারা। এই শৌখিন শ্রেণিটিকে উদ্দেশ্য করে নিজেদের নতুন শৈলী নিয়ে হাজির হয় দেশ সেরা ব্র্যান্ডগুলো। এই উপলক্ষে চলুন, দেশের জনসমাদৃত ১০টি পোশাক ব্র্যান্ডের ঈদ সংগ্রহ দেখে নেওয়া যাক।
ঈদের বাজারে লোকপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
আড়ং
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে আড়ংয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা আবেদ এবং আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী মার্থা চ্যান।
প্রতিবারের মতো এবারও দেশীয় সিল্ক ও মসলিনের মতো দামি ফেব্রিকের সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বভাবতই এক্সক্লুসিভ কালেকশনের অন্যতম আকর্ষণ হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারি। কাট, প্যাটার্ন ও নকশার সমন্বয়ে করা প্রতিটি পোশাকেই ফ্যাব্রিক নির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে উৎসবমুখরতা ও স্বস্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
মেয়েদের সালোয়ার কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে লেয়ারিং ডিজাইন। পরিচিত রঙের সঙ্গে রয়েছে সাগর নীল, ল্যাভেন্ডার, টিল, প্লাম, মিন্ট গ্রিন, আইভরি, ময়ুর নীল, ও প্যাস্টালের মতো ভিন্নধর্মী রঙের ব্যবহার।
পুরুষদের পাঞ্জাবিতে থাকছে বয়সভিত্তিক বিচিত্র ডিজাইন। গরমকে কেন্দ্র করে তরুণদের পাঞ্জাবিগুলো প্রায় সবই খুব হালকা নকশার।
কে-ক্র্যাফট
১৯৯৩ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও শৈলীকে উপজীব্য করে খালিদ মাহমুদ খান এবং শাহনাজ খান প্রতিষ্ঠা করেন কে-ক্র্যাফট।
প্রতি উৎসবের মতো এবারও পুরুষদের জন্য নিজস্ব স্টাইলের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবির সংগ্রহ রেখেছে কে-ক্র্যাফট। পাশাপাশি রয়েছে কাট নির্ভর একরঙা পাঞ্জাবিও।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
নারীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক সারিতে দেখা গেছে ঐতিহ্য, ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্ন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ডাবল লেয়ার্ড সালোয়ার কামিজ, ডাবল লেয়ার্ড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, এবং টপ্স-পালাজো সেট। এ ছাড়া শাড়ির ক্যাটাগরিকে সমৃদ্ধ করেছে কটন, মসলিন, সিল্ক, খাদি মসলিনের বৈচিত্র্যগুলো।
প্যাটার্ন, ফ্যাব্রিক এবং রঙের দিক দিয়ে বড়দের মতো বাচ্চাদের পোশাকেও মিলছে একই বৈশিষ্ট্যের দেখা।
রঙ বাংলাদেশ
বিপ্লব সাহা, সৌমিক দাস, মামুন আল কবির এবং জাকিরুল হায়দার। ১৯৯৪ সালে সদ্য স্নাতক পাশ করা এই চার বন্ধু মিলিত প্রচেষ্টায় জন্ম নেয় রঙ। কবির এবং হায়দার কয়েক বছরের মধ্যে তাদের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেন। কিন্তু বিপ্লব এবং সৌমিক টানা ২১ বছর ধরে চালিয়ে যান কাপড়ের ব্যবসা। অতঃপর ২০১৬ সালে, রঙ ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’- এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এখানে ‘বিশ্ব রঙ’-এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা, আর ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর একমাত্র মালিক সৌমিক দাস। প্যারেন্ট কোম্পানি ‘রঙ’-এর দৌলতে বর্তমানে দুটোই বেশ স্বনামধন্য ব্র্যান্ড।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
ঈদুল ফিতর ২০২৪ কে উপলক্ষ করে ‘রঙ বাংলাদেশ’ নিয়ে এসেছে ৪ উপাদান বিশিষ্ট ক্লাসিক্যাল থিম।
এগুলো হচ্ছে বাতাস, আগুন, পানি ও মাটি। এই থিমের সঙ্গে সব ধরনের পোশাকের নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহকে।
গ্রীষ্মের উষ্ণতার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন হালকা ওজনের ফেব্রিক। এগুলোর মধ্যে আছে স্লাব কটন, লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, হাফসিল্ক, বারফি, জর্জেট ও ভিসকস। আর রঙের ভিত্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে মেরুন, ফিরোজা, নীল, আকাশী, লাল, খয়েরি, হালকা কমলা, গাঢ় সবুজ ও কফি রঙগুলো।
অঞ্জন্স
১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহীন আহমেদের হাত ধরে শুরু হয় অঞ্জন্সের পথ চলা। এবারের ঈদে অঞ্জন্সের নকশা শৈলী, রঙ ও ফেব্রিকে থাকছে বসন্ত থেকে গ্রীষ্মে রূপান্তরের আবহ।
সালোয়ার কামিজ ও ওড়নার মুল উপাদান লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, রেয়ন, ডুপিয়ান, ও হাল্কা সিল্ক।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
শাড়ি বিভাগে ঠায় পেয়েছে মসলিন, রাজশাহী বলাকা সিল্ক, টাঙ্গাইল কটন, লিনেন কটন, ও ভয়েল কাপড়। কামিজের পাশাপাশি শাড়ির নকশারও বিশেষ বিষয় ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, কারচুপি ও ডিজিটাল প্রিন্ট।
কাপড় ও নকশার একই রকম হাল্কা কাজ দেখা যাচ্ছে পুরুষদের সেরা পোশাক পাঞ্জাবিতেও। স্লিম ফিট, কলিদার কাট, ও রেগুলার ফিট সব ধরনের আকারই মিলবে এবারের ঈদ আয়োজনে।
এক্স্ট্যাসি
১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া দেশের স্বনামধন্য রেডিমেড পোশাক ব্র্যান্ড এক্স্ট্যাসির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আশরাফুল হক। এক্স্ট্যাসির অধীনে পুরুষদের জন্য স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড ‘তানজিম’ এবং নারীদের জন্য ‘জারজাইন’। শুধুমাত্র তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন মনোনিবেশ থাকে হাল ফ্যাশনের প্রতি।
সাধারণত পার্টি পরিধান, বোতাম-সমেত লম্বা হাতা, পিনস্ট্রিপ্ড শার্ট, ক্যাজুয়াল টি-শার্ট, ডেনিম জিন্স, এবং স্পোর্টস জ্যাকেট পুরুষদের মুল আকর্ষণ। এর সঙ্গে উৎসবগুলোতে যুক্ত হয় তানজিম স্কোয়াডের টি-শার্ট ও তানজিম পাঞ্জাবিগুলো। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে জারজাইনের কাফতান, শ্রাগ, টপস, শার্ট, এবং টপ-বটম সেট সর্বাধিক বিক্রয়ের তালিকায়। বিশেষ করে যারা এক রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই এক্স্ট্যাসি সেরা।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
৮ মাস আগে