জেনেভা
জেনেভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সোমবার
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির আওতায় সোমবার (১৩ নভেম্বর) চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধারাবাহিকভাবে চতুর্থবার ইউপিআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইউপিআর সভায় অংশ নিতে জেনেভায় রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিগত চার বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরাসহ এ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতি চার বছর পরপর ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিগত চার বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।পর্যালোচনায় বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে মানবাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশ্ন ও সুপারিশ করে।
এর আগে বাংলাদেশ ২০০৯ সালে প্রথমবার, ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে তৃতীয়বার ইউপিআর-এ অংশ নিয়েছিল।
মূলত তিনটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
যথা-
(ক) সরকার দেওয়া জাতীয় প্রতিবেদন।
(খ) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলোর দেওয়া প্রতিবেদন এবং
(গ) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন।
আরও পড়ুন: জেনেভা থেকে বিমান বাংলাদেশের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী
৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বুকের দুধের বিকল্পগুলোর বাজারজাতকরণের মান নির্ধারণে মঙ্গলবার জেনেভায় বসবে গ্লোবাল কংগ্রেস
জেনেভায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার (২০-২২ জুন) পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল কংগ্রেসে ফর্মুলা বা প্যাকেটজাত দুধের ক্ষতিকর শিল্প বিপণনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে যাচ্ছে প্রায় ১৩০টি দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) এবং জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বুকের দুধের বিকল্পগুলোর বিপণনের আন্তর্জাতিক কোড বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রথম গ্লোবাল কংগ্রেসের আয়োজন করবে।
এই ইভেন্টে ১৩০টি দেশ বুকের দুধের বিকল্পগুলোর অনৈতিক বিপণন বন্ধে জ্ঞান ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক মেডিটেশন ছড়িয়ে যাক সর্বত্র
দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে টোটাল ফিটনেস ডে
প্যাকেটজাত আলুর চিপস কেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর?
১ বছর আগে
জেনেভা থেকে বিমান বাংলাদেশের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটের যাত্রীদের চমকে দিয়েছেন।
জেনেভা থেকে দেশে ফেরার পথে তিনি বিমানটির ভেতরে ঘুরে দেখেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
যাত্রীতে পরিপূর্ণ বাণিজ্যিক ফ্লাইটটিতে প্রধানমন্ত্রী যখন তাদের সিটের কাছে যান এবং কুশল বিনিময় করেন, তখন সবাই একদিনে বিস্ময় ও অন্যদিকে আনন্দ অনুভব করেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘ফ্লাইটে আসনের পাশেই তাদের (যাত্রী) প্রধানমন্ত্রীকে দেখে অনেকেই অবাক ও বিস্মিত হয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা যাত্রীদের ছবি তোলার অনুরোধ গ্রহণ করেন।
তিনি খুব স্নেহ নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বেশ কয়েকজনকে তার কোলেও নেন।
যাত্রীদের কেউ কেউ গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে গত ১৩ জুন জেনেভা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
সুইজারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডে তিন দিনের সরকারি সফর শেষ করে জেনেভা থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট শুক্রবার দিবাগত রাতে (সকাল ১টা ৫৫ মিনিটে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫০ মিনিট) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী বিমানে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে গত ১৩ জুন জেনেভা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বুধবার প্যালাইস ডি নেশনস-এ 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩' এর প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শীর্ষ সম্মেলন সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত ও সুসঙ্গত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় বৈশ্বিক কণ্ঠস্বরের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম।
সম্মেলনে এক ডজনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘ, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা ও মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গে পৃথক দুটি বৈঠক করেন।
এছাড়া ওইদিন তিনি ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপ্পো গ্র্যান্ডি, প্রিন্স রহিম আগা খান, সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বার্সেট এবং আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
সুইস প্রেসিডেন্ট বার্সেটের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও'র সদর দপ্তরে এর মহাপরিচালক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন।
গত ১৫ জুন তিনি 'আ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ' এ যোগ দেন এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অফিসে এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি ডব্লিউইএফ আয়োজিত 'নিউ ইকোনোমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এছাড়া কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সামিক আল মারি এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. ওকোনজো ইওয়েলা পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫০ মিনিট) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি শনিবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে গত ১৩ জুন জেনেভা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বুধবার প্যালাইস ডি নেশনস-এ 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩' এর প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শীর্ষ সম্মেলন সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত ও সুসঙ্গত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় বৈশ্বিক কণ্ঠস্বরের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম।
সম্মেলনে এক ডজনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘ, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা ও মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গে পৃথক দুটি বৈঠক করেন।
এছাড়া ওইদিন তিনি ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপ্পো গ্র্যান্ডি, প্রিন্স রহিম আগা খান, সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বার্সেট এবং আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
সুইস প্রেসিডেন্ট বার্সেটের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও'র সদর দপ্তরে এর মহাপরিচালক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন।
গত ১৫ জুন তিনি 'আ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ' এ যোগ দেন এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অফিসে এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি ডব্লিউইএফ আয়োজিত 'নিউ ইকোনোমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এছাড়া কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সামিক আল মারি এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. ওকোনজো ইওয়েলা পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোট দেবে, জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। আর যে জনগণের ভোট পাবে সে সরকার গঠন করবে।’
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হিলটন হোটেলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কারচুপি করা হবে বলে ভোট বর্জনের অঙ্গীকার করেছে, যদিও সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর পরিবর্তে বিরোধী দলটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসনের পথ প্রশস্ত করতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ দাবি করে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু বিএনপি এটা ভালো করেই জানে যে তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য তারা জনগণের কোনো ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ তাদের আর চায় না এবং সে কারণে তারা জনগণের কাছ থেকে ভোট পায় না।’
সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অতটা দুর্বল নয়।
নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে বিএনপির দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ
১ বছর আগে
বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেনেভায় হোটেল প্রেসিডেন্টের সভাকক্ষে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডব্লিউটিও'র মহাপরিচালক ড. ওকোনজো ইওয়েলা এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান।
তিনি ডব্লিউটিও মহাপরিচালকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তার সংস্থা এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে আগ্রহী।
মোমেন বলেন, যদিও বাংলাদেশ মৎস্য খাতে ব্যাপক ভর্তুকি দেয় না, আমরা বলেছি যে আমরা এটা (ভর্তুকি ইস্যু) বিবেচনা করব।
আরও পড়ুন: সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ডব্লিউটিও প্রধান সংস্থাটির বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থার কথা উল্লেখ করেন যা কয়েকটি বড় দেশের কারণে কয়েক বছর ধরে নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
মোমেন জানিয়েছেন, ওকোনজো ইওয়েলা আগামী সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি উত্থাপনের অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে তিনি যেভাবে বলেছেন- ‘এটাই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান শক্তি।’
ডব্লিউটিও’র মহাপরিচালক বাংলাদেশকে এর বিশেষজ্ঞদের ঝুড়িতে বৈচিত্র্য আনতে বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি চেয়েছেন যে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতার অভাব রয়েছে।
তিনি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে জাপান, থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে মালদ্বীপ ও জাপানের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সামিক আল মারি একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, তার দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের পারফরম্যান্সে তারা সন্তুষ্ট।
মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কাতার। তারা এই উদ্দেশ্যে একটি চুক্তি সই করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ
১ বছর আগে
ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে আজ সকালে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
জেনেভায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বুধবার (১৪ জুন) প্যালেস ডি নেশনস-এ 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩'-এর প্লেনারিতে ভাষণ দেবেন।
বুধবার মাল্টার প্রেসিডেন্ট জর্জ ভেলার সঙ্গেও বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া তিনি ওই দিন সেখানে ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি, প্রিন্স রহিম আগা খান, সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরসেট, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন।
সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও মহাপরিচালকের সদর দপ্তরে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেবেন।
আগামী ১৫ জুন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার তিনি ডব্লিউইএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব এবং ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. ওকোনজো-ইওয়ালার সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন। সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি রিসেপশনেও যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ১৬ জুন সকাল ১১টায় জেনেভা ত্যাগ করবেন এবং ১৭ জুন ভোরে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে মঙ্গলবার জেনেভা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
মার্কিন চাপের মুখে প্রতিবাদী সুর প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪-১৫ জুন সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ১০টা ১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
১৪ জুন, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনের দ্বিপক্ষীয় কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে গাছ লাগান: শেখ হাসিনা
পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের পর বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের সম্ভাবনা থাকবে।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট -২০২৩'-এর উন্মুক্ত ভাষণ দেবেন।
সেখানে পৌঁছলে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন এডিজি এবং আইএলওর আঞ্চলিক পরিচালক। গেট থেকে সভাস্থল পর্যন্ত লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার থাকবে।
তিনি মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী তার সদর দপ্তরে ডিজি আইএলও কর্তৃক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজে যোগ দেবেন।
১৫ জুন, তিনি 'এ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ'-এ যোগ দেবেন। এরপর ডব্লিউইএফ অফিসে ডব্লিউইএফ -এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷
আরও পড়ুন: নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: আ.লীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
সন্ধ্যায় ডব্লিউটিও ডিজি ড. ওকোনজো-ইওয়ালা হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ১৬ জুন সকাল ১১টায় জেনেভা ত্যাগ করবেন এবং ১৭ জুন ভোরে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আয়োজকদের মতে, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ হলো একটি উচ্চ-স্তরের ফোরাম যা বৈশ্বিকভাবে সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত এবং সুসংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনকে তুলে ধরে।
এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ দেবে, যেটিকে আন্তর্জাতিক শ্রম দপ্তরের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি স্বাগত জানিয়েছে।
ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, পানামার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভারেলা এবং ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, সেইসঙ্গে নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধি সহ বেশ কয়েকজন উচ্চ-পর্যায়ের অতিথি সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে মঙ্গলবার জেনেভা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে মঙ্গলবার জেনেভা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডে আগামী ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে।
স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় ফ্লাইটটি জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত
১৪ জুন ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনের একটি কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
কল-অনের পর বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’-এর প্লেনারিতে ভাষণ দেবেন।
সেখানে পৌঁছনোর পর তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন এডিজি এবং আইএলওর আঞ্চলিক পরিচালক। এছাড়া গেট থেকে সভাস্থল পর্যন্ত লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার থাকবে।
তিনি মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার সদর দপ্তরে ডিজি আইএলও কর্তৃক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজে যোগ দিবেন।
১৫ জুন তিনি ডব্লিউইএফ’র অফিসে ডব্লিউইএফ’র এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একটি বৈঠকের পরে 'এ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ'-এ যোগ দেবেন।
সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: মাথা উঁচু করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান: প্রধানমন্ত্রী
সন্ধ্যায়, ডব্লিউটিও ডিজি ড. ওকোনজো-ইওয়ালা হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
হাসিনা ১৬ জুন সকাল ১১টায় জেনেভা ত্যাগ করবেন এবং ১৭ জুন ভোরে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ হলো সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত ও সুসংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলার জন্য বিশ্বনেতাদের আলোচনার জন্য একটি উচ্চ-স্তরের ফোরাম।
এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ দিবে। আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি যেটি গঠন করে।
ফ্রান্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, পানামার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জুয়ান কার্লোস ভারেলা এবং ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী এবং বেশ কয়েকজন উচ্চ-পর্যায়ের অতিথি সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।
দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন আরও টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব তৈরিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকাকে তুলে ধরবে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে এবং নীতির সুসংগততা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত এবং যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে।
এটি অংশগ্রহণকারীদের সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য এবং তারা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছে তা প্রদর্শন করার জন্য একটি ফোরাম তৈরি করবে।
এছাড়া তারা সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আশা করা হচ্ছে যে শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলগুলো বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের জন্য কেন্দ্রীয়তা এবং কৌশলগুলোর অন্যান্য বহুপাক্ষিক ফোরামে আলোচনাকে অবহিত করবে।
যেমন ২০২৩ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য শীর্ষ সম্মেলন জি২০ এবং ব্রিকস দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন।
শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, জাতিসংঘমহাসচিব, আইএলও মহাপরিচালক এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ভাষণ দিবেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় খেলাধুলার আরও ব্যাপক প্রসার করুন: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে