৫ শতাধিক ঘরবাড়ি
কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২
কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে ভোলার মনপুরা ও লালমোহনে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য গাছপালা। এ সময় ঘর চাপা পড়ে হারিস ও বজ্রপাতে বাচ্চু নামে ২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৪ থেকে ৫ জন।
রবিবার সকালে লালমোহনে উপজেলায় বদরপুর সাতবাড়িয়া এলাকায় এবং চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামে ২ জন মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ঝড়ে মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের সময় লালমোহনে উপজেলায় বদরপুর সাতবাড়িয়া এলাকায় ঘর চাপা পড়ে হারিস নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং লালমোহনের চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামের বাচ্চু নামে একজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৪ থেকে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অনেক পরিবার মাথার উপর টিনের চালা পর্যন্ত নেই। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে আছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে ২ জনের মৃত্যুসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
কালবৈশাখীতে সুনামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ২০
৮ মাস আগে