টিকটক
কুড়িগ্রামে জাতীয় সংগীত অবমাননা করে টিকটক, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জাতীয় সংগীতকে ব্যঙ্গ করে টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগে মো. আলম মিয়া নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিডিওতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও কটুক্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় উপজেলার গোপালপুর ঝান্ডারের মোড় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. আলম মিয়া উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ও একই ইউনিয়নের গোপালপুর ঝান্ডারের মোড় এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: উত্তরায় চাপাতি দিয়ে দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত গণমাধ্যম কর্মকর্তা ও ডিআইও-১ মো. আলমগীর হোসেন জানান, নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মো. আলম মিয়া গত ৩ থেকে ৪ দিন আগে তার টিকটক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটিতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উসকানি দেওয়াসহ কটুক্তি করেছেন তিনি। এজন্য নাগেশ্বরী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত ৯টায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে কটুক্তি ও উসকানিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছিল আলম মিয়া।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৭২ দিন আগে
শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
ডিজিটাল বিনোদনের জগতে এক শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে টিকটক। অতি স্বল্প সময়ের এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি এখন কোটি মানুষের বিস্তর সময় কাটানোর জায়গা। বিশ্ব জুড়ে এই বিপুল গ্রাহকের একটা বড় শ্রেণী হচ্ছে শিশুরা। খুব কম সময়ের মধ্যে শত শত ভিডিও কন্টেন্ট দেখার সুবিধা দীর্ঘক্ষণ যাবত শিশুদের আকর্ষণ ধরে রাখে। এই আসক্তি তাদের মানসিক ও শারীরিক উভয় ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে, যা বর্তমানে বাবা-মায়েদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। চলুন, শিশুদের এই টিকটক আসক্তির কারণ, এর ক্ষতিকর প্রভাব এবং এ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা করা যাক।
টিকটকের প্রতি শিশুদের আকৃষ্ট হওয়ার কারণ
কারিগরি দিক থেকে টিকটক এমন ভাবে তৈরি যে, এর ছোট ছোট প্রত্যেকটি ভিডিও ট্যাপ করে না থামানো পর্যন্ত চলতেই থাকে। এক আঙ্গুলে মোবাইল স্ক্রিনে নিচ থেকে ওপরে স্লাইড করে এক ভিডিও থেকে আরেক ভিডিওতে যাওয়া যথেষ্ট ইউজার ফ্রেন্ডলি। সেই সাথে কন্টেন্টগুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ ধরে মনোযোগ ধরে রাখে। প্ল্যাটফর্মের শক্তিশালী অ্যাল্গরিদম ইউজারের বিগত দেখা কন্টেন্টগুলো যাচাই করে তার পছন্দ মতো বিষয়গুলো তার সামনে মেলে ধরে। তাছাড়া অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের মতো লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া ভাইরাল কন্টেন্টের সয়লাব তো আছেই।
এই অবিরাম প্রবাহের মাঝে পড়ে যায় শিশুরাও। সৃজনশীল স্বাধীনতায় মোহাবিষ্ট হয়ে কোনও রকম বিবেচনার তোয়াক্কা না করেই নাচ, গান আর গল্প বলাতে উদ্যত হয়। তাৎক্ষণিক পরিতৃপ্তির দৌলতে স্মার্টফোনের ছোট্ট স্ক্রিন জুড়ে শিশুদের জন্য তৈরি হয় রীতিমত এক দূর্ভেদ্য বন্দিশালা।
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
টিকটক আসক্তি কেন শিশুদের জন্য ক্ষতিকর
.
মানসিক সুস্বাস্থ্যের অন্তরায়
বিভিন্ন বয়সের কন্টেন্ট নির্মাতাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুভূতি উঠে আসে ভিডিওগুলোতে। একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে লাইক ও ফলোয়ার বাড়ানো। সঙ্গত কারণেই কন্টেন্টগুলোতে অগ্রাধিকার পায় জনসাধারণের মাঝে বহুল সমালোচিত বিষয়গুলো। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো অনুকরণপ্রিয় বাচ্চারা এগুলোকে অনুসরণীয় হিসেবে দেখতে শুরু করে।
এই বিপথগামীতা শিশুদের মূল্যবোধকে নষ্ট করে। জীবনের শুরুতেই তারা অভিজ্ঞতা নিতে শুরু করে হতাশা, অপ্রতুলতা, ও আত্মম্ভরীতার মতো অনুভূতিগুলোর। সময়ের সাথে সাথে এগুলো তাদের মন-মেজাজ এবং আচরণের উপর প্রভাব ফেলে।
উপরন্তু, সারাক্ষণ স্মার্টফোন নিয়ে পড়ে থাকার কারণে এই শিশুরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হয়। মোট কথা তাদের সমগ্র জগতটাই বিকশিত হতে থাকে এই প্ল্যাটফর্মকে ঘিরেই।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
স্বাস্থ্যকর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা
টিকটক স্ক্রলিং চলতে থাকে গভীর রাত অবধি। এতে করে শিশুদের রাতের স্বাস্থ্যকর ঘুম নষ্ট হয়। ফোনের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মস্তিষ্কে মেলাটোনিন উৎপাদনকে দমন করে। ফলে শিশুদের ঘুমিয়ে পড়াটা ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে থাকে। দীর্ঘমেয়াদে এটি শিশুর সার্কেডিয়ান চক্রকে ব্যাহত করে। এর প্রভাবে শিশুর একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি এবং সংবেদনশীল নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ে। শিশু খিটখিটে মেজাজ এবং অবসাদগ্রস্ততার দিকে ধাবিত হতে শুরু করে।
অপর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করে দেয়। কোনও ধরণের রোগের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দেহের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের জন্য এই ক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি।
শিক্ষাগত মানোন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা
অন্যান্য আকর্ষণীয় খেলার মতো এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিও রীতিমত নেশা সৃষ্টি করে শিশুদের মধ্যে। ভিডিও স্ক্রলিং-এর কাছে যাবতীয় কাছ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিক হলো পড়াশোনা বিমুখ হয়ে পড়া।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
নতুন নোটিফিকিশেন আসা মাত্র তা চেক করতে গেলেই চলে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। এতে করে পড়াশোনার প্রতি মনোন্নিবেশ ক্ষুণ্ন তো হয়ই, সেই সাথে পরবর্তীতে আবার পড়তে বসাতে নিরুৎসাহ কাজ করে। পরিণতিতে দেখা দেয় হোমওয়ার্ক ফেলে রাখা, ক্লাসে অমনোযোগ, এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট।
অনুপযুক্ত বিনোদন
টিকটকে ভিডিও প্রদর্শনে বয়সের কোনও সীমারেখা থাকে না। তাই অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে এগুলোর সম্মুখীন হওয়াতে বিভ্রান্তি ও ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি থাকে। এমনকি অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও এমন কন্টেন্ট বানাতে দেখা যায়, যা তাদের জন্যই অনুচিত। তাছাড়া টিকটক-এর অ্যাল্গরিদম উপযুক্ত ও অনুপযুক্ত বিষয়ের সাথে বয়সের সীমারেখার সামঞ্জস্য বিধান করতে সক্ষম নয়।
মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা খ্যাতিমান ব্যবসায়ী বিল গেট্স সম্প্রতি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে টিকটক থেকে দূরে রাখার প্রতি জোর দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি সামনে এনেছেন এই অনুপযুক্ত কন্টেন্টের ঝুঁকিকে।
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
টিকটকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখার উপায়
.
অফলাইন কার্যকলাপ চর্চা
যে কাজগুলোতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর্যুপরি নাড়াচাড়া হয়, সে কাজগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম। অনলাইন নির্ভর জীবন ব্যবস্থার প্রসারের ফলে কাজগুলো শুধুমাত্র মস্তিষ্ক কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। কিন্তু শিশুদের সর্বাঙ্গীন ক্রমবিকাশের জন্য ন্যূনতম কায়িক পরিশ্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা দরকার।
বাইরে খোলা আকাশের নিচে ক্রিকেট, ফুটবল বা র্যাকেটের মত খেলাধুলায় যথেষ্ট শ্রম প্রয়োজন হয়। নিদেনপক্ষে প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে সবুজ উদ্যানে হাটাহাটি করাটাও শরীর ও মনকে প্রফুল্ল রাখে। মাঝে মধ্যে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। সপ্তাহান্তে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে রান্না করা যায়, যেখানে ছোট ছোট কাজে অংশ নেবে শিশুরাও। এছাড়া কবিতা আবৃতি, ছবি আঁকা, বা গান গাওয়ার মতো শখগুলোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা সুস্থ মনস্তত্ত্ব চর্চারই নামান্তর।
ইন্টারনেটের ক্ষতিকর বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলা
তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সবার হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে থাকাটা বেজায় কঠিন। তাই নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য শিশুদেরকে ইন্টারনেটের ক্ষতিকর বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। এই মুক্ত আলোচনা শিশুদের মুক্ত বিবেচনার মাপকাঠি নির্ধারণের জন্যও জরুরি।
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
মূলত কৌতূহল ও উদ্দীপনার বিষয়গুলোতে শাসন বা ভয় প্রদর্শন অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যে জেদ সৃষ্টি করে। যারা ভয় পেয়ে শান্ত হয়ে যায় তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভাবে যে তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আর কোনও কোনও শিশু ভয় নিয়ে বেড়ে উঠার কারণে নতুন কোনও কিছুকে আলিঙ্গন করার সাহস হারিয়ে ফেলে।
তাই অভিভাবক ও শিক্ষকদের এক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। শুরু থেকেই শিশুদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলাটা একটি কার্যকরি উপায়। এতে করে তারা নির্বিঘ্নে যে কোনও কিছু শেয়ার করতে পারে। হঠাৎ করে অনুপযুক্ত কোনও প্রশ্নে বিরূপ মনোভাব ব্যক্ত না করে স্বাভাবিক থেকে সেটা বুঝিয়ে দিলে তা অতিরিক্ত কৌতূহলের দিকে ধাবিত হয় না।
স্ক্রিন টাইম লিমিট সেট করা
উপরোক্ত দুটি পদক্ষেপ গ্রহণের পর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করতে এই প্রযুক্তিগত সুবিধাটি ব্যবহার করা যায়। এখন অ্যাপেল ও অ্যান্ড্রয়েড সহ যে কোনও স্মার্টফোনেই নির্দিষ্ট অ্যাপগুলোতে দৈনিক স্ক্রিন টাইম লিমিট করার ফিচার রয়েছে। এতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেই অ্যাপটি আর ব্যবহার করা যায় না। টিকটকের মতো অ্যাপগুলোতে এই ফিচার নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদেরকে দীর্ঘ সময়ের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা যাবে। শরীর ও মনের সঠিক ক্রমবিকাশের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শিশুর স্মার্টফোন ব্যবহারে বাবা-মায়ের এই নিয়ন্ত্রণটুকু অতীব জরুরি।
আরো পড়ুন: শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
স্মার্টফোনের ইন্টারনেট ব্রাউজারের প্রাইভেসি ফিচার ব্যবহার
ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটারের পাশাপাশি এখন স্মার্টফোনেও ইন্টারনেট ব্রাউজারে প্রাইভেসি ফিচার সক্রিয় করা যায়। এখানে অভিভাবকরা অনুপযুক্ত ওয়েবসাইট ও কন্টেন্টগুলো ফিল্টারের মাধ্যমে প্রাইভেসি সেট করে রাখতে পারে। এই ফিল্টার এমনকি একটি-দুটো শব্দের জন্যও সেট করে রাখা যায়।
ফ্যামিলি পেয়ারিং-এর ফিচারটিতে অভিভাবক তার সন্তানের সাথে টিকটক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করতে পারেন। ফলে সন্তান কি ধরণের কন্টেন্ট দেখছে তা অভিভাবকও জানতে পারেন। এ সময় অনুপযুক্ত কিছু ধরা পড়লে তারা সেই ভিডিওর জন্য প্রাইভেসি সেট করে দিতে পারেন।
এই পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত নয়। বরং উন্মুক্ত কথোপকথনের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করা হলে শিশুর সুস্থ অনলাইন উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
শেষাংশ
টিকটকের চিত্তাকর্ষক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও কন্টেন্ট শিশুদের নিমেষেই এর প্রতি আসক্ত করে তোলে। এতে করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়, ঘুমের ব্যাঘাত, শিক্ষাগত অবনতি এবং অনুপযুক্ত বিনোদনের সরণাপন্ন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই সমস্যা দূরীকরণে গঠনমূলক কৌশর হতে পারে অফলাইন কার্যকলাপ চর্চা করা এবং ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিকগুলো বুঝিয়ে বলা। পাশাপাশি স্ক্রীন টাইম লিমিট সেট করা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজারের প্রাইভেসি ফিচারগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এই পদক্ষেপগুলো শিশুদের সুস্থ ক্রমবিকাশ অব্যাহত রেখে প্রযুক্তির ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
৮৪ দিন আগে
অনিশ্চয়তা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছে টিকটক
নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফের কার্যক্রম পুনর্বহাল করেছে টিকটক। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকেই দেশটিতে টিকটক ফিরেছে।
এরআগে ট্রাম্প বলেন, সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিতে প্রবেশ পুনর্বহাল করবেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অভিষেকের আগে একটি শোভাযাত্রায় তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই। যে কারণে এটিকে রক্ষা করতে হবে। সতেরো কোটি আমেরিকান এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন।’
এক বার্তায় টিকটক জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে টিকটিক ফিরেছে।’ অথচ রবিবার সন্ধ্যায়ও মার্কিন অ্যাপ স্টোরে টিকটিক ছিল না।
চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটিতে মার্কিন ব্যবহারকারীরা প্রবেশ শুরু করলে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের সেবাদাতাদের সঙ্গে একটি চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক আবার পুনর্বহাল হচ্ছে। এছাড়া টিকটককে কার্যক্রম চালাতে দিলে সেবাদাতাদের কোনো ধরনের সাজার মুখে পড়তে হবে না; এমন আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। টিকটকের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
এরআগে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি আইন গত শুক্রবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় টিকটক ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৭ কোটি গ্রাহক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন।
আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মালিকানা বিক্রি না করলে কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা। গত বছরের এপ্রিলে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া আইনটির বিষয়ে টিকটক, বাইটড্যান্স ও কিছুসংখ্যক ব্যবহারকারী চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে ওই আইন বহাল রাখার আদেশ দেন।
বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হলো, এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
১০১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো টিকটক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। টিকটককে নিষিদ্ধ করে ফেডারেল আইন কার্যকর হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় টিকটকের অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর মধ্যদিয়ে কার্যত চীনভিত্তিক অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেল।
পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত অ্যাপটি অ্যাপল এবং গুগলের অ্যাপ স্টোরগুলোতে পাওয়া যায়নি।
এর আগে মার্কিন আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছিল, টিকটকের চীন-ভিত্তিক প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্সকে প্ল্যাটফর্মটি বিক্রি করতে হবে। আর তা না করলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। চীন-ভিত্তিক প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স এটিতে রাজি হয়নি। ফলে প্ল্যাটফর্মটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হলো।
তবে টিকটক মার্কিন আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তি দেখিয়েছে যে, এই সিদ্ধান্তটি দেশটিতে তার ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর বাক স্বাধীনতার সুরক্ষার লঙ্ঘন করে।
মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। ওই দিনই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, তাই আইনটি কার্যকর করার দায়িত্ব নতুন প্রেসিডেন্টের উপর বর্তাবে।
প্রাথমিকভাবে এই পদক্ষেপকে সমর্থন করলেও ট্রাম্প ইঙ্গিত হলো তিনি এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নন।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘টিকটক নিয়ে আমার সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আমার অবশ্যই সময় থাকতে হবে।’
অন্যদিকে বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যেকোনো প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত রবিবার অ্যাপটির মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা গত বছর ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। টিকটক বারবার বলেছে, তারা বেইজিংয়ে তথ্য পাচার বা পাঠায় না।
আরও পড়ুন: টিকটক বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!
১০২ দিন আগে
টিকটক বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে মার্কিন সরকার পদক্ষেপ না নিলে আগামী রবিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক আর কার্যক্রম চালাবে না।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) টিকটক কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এক বিবৃতিতে টিকটক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘বাইডেন প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ উভয়ই টিকটকের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য পরিষেবা সরবরাহকারীদের প্রয়োজনীয় স্পষ্টতা এবং আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, সরকার যদি অবিলম্বে ভিডিও অ্যাপটিকে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হবে না এমন নিশ্চয়তা দিতে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এটি ‘১৯ জানুয়ারি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে’।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর টিকটকের এই বিবৃতি প্রকাশ করা হলো। এতে বলা হয়েছে, চীনভিত্তিক মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স রবিবারের মধ্যে অ্যাপটি বিক্রি না করলে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার আইন বহাল রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
টিকটক এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তি দেখিয়েছে যে, এই সিদ্ধান্তটি দেশটিতে তার ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর বাক স্বাধীনতার সুরক্ষার লঙ্ঘন করে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আগামী দিনগুলোতে যদি কোনো ক্রেতা না পাওয়া যায়, তাহলে অ্যাপটির মার্কিন সংস্করণ অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েব হোস্টিং সেবা থেকে সরিয়ে ফেলা হবে।
ধারণা করা হচ্ছিল, যাদের ফোনে টিকটক অ্যাপটি ডাউনলোড করা আছে, এই নিষেধাজ্ঞা সেই ব্যবহারকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেওয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না
কিন্তু শুক্রবার টিকটকের নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যমান ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি যারা এটি ডাউনলোড করতে চান— তাদের জন্যও অবিলম্বে এটি সহজপ্রাপ্য হবে না।
মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। ওই দিনই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, তাই আইনটি কার্যকর করার দায়িত্ব নতুন প্রেসিডেন্টের উপর বর্তাবে।
প্রাথমিকভাবে এই পদক্ষেপকে সমর্থন করলেও ট্রাম্প ইঙ্গিত হলো তিনি এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নন।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘টিকটক নিয়ে আমার সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আমার অবশ্যই সময় থাকতে হবে।’
অন্যদিকে বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যেকোনো প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত রবিবার অ্যাপটির মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা গত বছর ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। টিকটক বারবার বলেছে, তারা বেইজিংয়ে তথ্য পাচার বা পাঠায় না।
আরও পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
১০৩ দিন আগে
দেশে ডেটা সেন্টার করতে ফেসবুক-ইউটিউব-টিকটককে বাধ্য করা হবে: পলক
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের নিবন্ধন, অফিস ও ডেটা সেন্টার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এছাড়াও দেশের নাগরিক ও রাষ্ট্রের তথ্য দেশেই যেন থাকে সে বিষয়ে বাধ্যবাধকতা থাকবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: আইটি-আইটিইএস খাতে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে: পলক
বাংলাদেশের ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর লিঁয়াজো অফিস করা যায় কিনা- এ প্রশ্নে পলক বলেন, ‘ফেসবুকে বাংলাদেশে যে ব্যবহারকারীর সংখ্যা তা অনেক বড়। এ দেশ থেকে ফেসবুকে যে পরিমাণ আয় করে বিবেচনায় বাংলাদেশকে তাদের আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত। তারা শুধুমাত্র আয়ের দিকে আগ্রহী কিন্তু বাংলাদেশের জন্য সেরকম দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ দেখছি না।’
পলক বলেন, ‘তারা যেন শিগগিরই বাংলাদেশের তাদের অফিস ও ডেটা সেন্টার খোলে এবং তাদের সব কার্যক্রম নিবন্ধিত করে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ও দাপ্তরিকভাবে যোগাযোগ করা হবে যাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য-উপাত্ত দেশেই থাকে।’
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আমাদের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করছে তাদের ব্যবসা বাড়াতে। আমরা কোনটা পছন্দ করি, কোন রেস্টুরেন্টে খাই, কোন ধরনের গান শুনতে পছন্দ করি, কোন সিনেমা দেখি, কোন ধরনের পোস্ট দেই, কোন ধরনের কাপড় পরি- এই তথ্যগুলো তারা গোপনে সংগ্রহ করে বিজ্ঞাপন দেখায়। বিজ্ঞাপনগুলো থেকে তারা আয় করে তার কিন্তু কোনো অংশীদারিত্ব পাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া তথ্য সংগ্রহ আইনগতভাবে অপরাধ, মানবিকভাবেও অমানবিক অপরাধ এবং আমাদের নাগরিকদের জন্য স্পর্শকাতর-সেনসেটিভ তথ্য-উপাত্ত তারা অন্যদের দিচ্ছে এবং নিজেরা ব্যবহার করছে ব্যবসায়িক স্বার্থে। এ কারণে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটককে বাংলাদেশে নিবন্ধন, অফিস ও ডেটা সেন্টার স্থাপন এবং দেশের তথ্য দেশে রাখার বিষয়ে বাধ্য করা হবে।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পলকের
২৮৯ দিন আগে
সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে টিকটকের মামলা
অনলাইন ভিডিও বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টিকটকের চীনের নাগরিকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে।
টিকটকের মতো অতি জনপ্রিয় অ্যাপটি বিক্রি করতে বা দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে বাইটড্যান্সকে বাধ্য করার আইনের বৈধতা নিয়ে মঙ্গলবার এ মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে গত মাসে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি বিলে সই করে একে আইনে পরিণত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া সার্কিটের আপিল আদালতে দায়ের করা আবেদনে টিকটক জানিয়েছে, ‘কংগ্রেস টিকটককে স্পষ্টভাবে একঘরে করা এবং নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ১৭০ মিলিয়ন আমেরিকান ভিডিও তৈরি-অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা ও মত প্রকাশের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে থাকে। আইন প্রণয়নের মাধ্যমে টিকটককে স্থায়ী ও দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যেক আমেরিকানকে বিশ্বজুড়ে ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।’
'প্রোটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভার্সারি কন্ট্রোল্ড অ্যাপ্লিকেশন্স অ্যাক্ট' আইনটি অসাংবিধানিক বলে টিকটক আবেদনে উল্লেখ করেছে।
টিকটক কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘টিকটক নিষিদ্ধ করা এতটাই অসাংবিধানিক যে এই আইনের স্পনসররাও এই বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাই আইনটিকে মোটেও নিষেধাজ্ঞা হিসেবে নয়, বরং টিকটকের মালিকানার নিয়ন্ত্রণ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।’
আইনটির মাধ্যমে বাইটড্যান্সকে চীনের বাইরের কোনো ক্রেতার কাছে টিকটক বিক্রি করতে ২৭০ দিনের সময় দেওয়া হয়। আর বলা হয় যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন মনে করেন, তবে আরও ৯০ দিন বাড়ানো হতে পারে।
টিকটক জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক চালু রাখতে এই আইন অনুযায়ী ‘যোগ্য বিভাজন’ সম্ভব নয়। সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রযুক্তিগতভাবে বা আইনতই হোক না কেন।
‘বাস্তবতা হলো, কোনও বিকল্প নেই’ উল্লেখ করে টিকটক বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনত ‘যোগ্য বিভাজন’সম্ভব নয়। যা বাণিজ্যিকভাবে, প্রযুক্তিগতভাবে কিংবা আইনতও সম্ভব নয়।
চীনা মালিকানার কারণে ভিত্তিহীন জাতীয় সুরক্ষা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষযে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাইরের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কী কারণে ওয়াশিংটন জনপ্রিয় এই অ্যাপটি বন্ধে উঠেপড়ে লেগেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে সাংবিধানিক অধিকার এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার নীতি লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
৩৫৭ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে চীনা মালিকানাধীন মিডিয়া জায়ান্ট টিকটককে ব্যক্তিগত ডিভাইস থেকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে মন্টানা।
বুধবার গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট এই নিষেধাজ্ঞা আইনে স্বাক্ষর করেছেন। যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি বলেছে যে এই নিষেধাজ্ঞা ‘মন্টানার জনগণের প্রথম সংশোধনী অধিকার লঙ্ঘন করেছে’।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, চীন সরকারের কাছে তথ্য পাঠানো হতে পারে এই উদ্বেগের জন্য টিকটক বিশ্বজুড়ে কর্তৃপক্ষের তদন্তের আওতায় আসে।
রিপাবলিকান জিয়ানফোর্ট আইনপ্রণেতাদের বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নজরদারি থেকে মন্টানাবাসীদের রক্ষায় বৃহত্তর নিষেধাজ্ঞা আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকারকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
টিকটকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মন্টানায় 'লাখ লাখ মানুষ' প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: টিকটকে পরীক্ষামূলক ল্যান্ডস্কেপ ভিডিও মোড চালু
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মন্টানাবাসীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে তারা নিজেদের প্রকাশ করতে, জীবিকা উপার্জন করতে এবং নিজেদের সম্প্রদায় খুঁজে পেতে টিকটক ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে, কারণ আমরা মন্টানার ভেতরে ও বাইরে আমাদের ব্যবহারকারীদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
টিকটক আইনটিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত মাসে মন্টানার আইনপ্রণেতারা ব্যক্তিগত ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি বিল ৫৪ থেকে ৪৩ ভোটে পাস করেন।
আইনটি অ্যাপ স্টোরগুলোকে গ্রাহকদের টিকটক ডাউনলোড করার সুযোগ অবৈধ করবে। তবে ইতোমধ্যে টিকটক রয়েছে এমন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না।
মাত্র ১০ লাখ জনসংখ্যার মন্টানা গত ডিসেম্বরে সরকারি ডিভাইসে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
৭১৪ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করে টিকটক ভিডিও তৈরি, যুবকের অর্থদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে টিকটক ভিডিও করার জন্য এক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেন।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে গড়াইটুপিতে স্কুলে যাওয়ার পথে কিছু ছাত্রীর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে ঐ যুবক। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
যুবক সতিনাথ কর্মকার (৩০) সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হত্যা মামলা: ৫ জনের যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, বৃহস্পতিবার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি এলাকায় স্কুলে যাওয়ার পথে কিছু স্কুল ছাত্রীর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে সতিনাথ কর্মকার নামে এক যুবক।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় বিষয়টি নানামুখী গুঞ্জন সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে। ঘটনা জানার পর আমাদের দর্শনা থানাধীন তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইদ্রীস আলী দুপুরের দিকে সতিনাথ কর্মকারকে আটক করেন।
পরে অভিযুক্ত সতিনাথ কর্মকারকে বিকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রি করায় ২ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন ভোলায় ১৫ জেলে আটক, ১২ জনের অর্থদণ্ড
৮৪৬ দিন আগে
টিকটকে পরীক্ষামূলক ল্যান্ডস্কেপ ভিডিও মোড চালু
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ‘টিকটক’ বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত কিছু ব্যবহারকারীর সঙ্গে তাদের নতুন একটি ল্যান্ডস্কেপ মোড পরীক্ষা শুরু করেছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে এই ফিচারটি ইউটিউবের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ভিডিও প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাহায্য করবে।
পোর্ট্রেট মোডে ধারণ করা ভাইরাল ভিডিওগুলো টিকটককে বিশ্বের দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপে পরিণত করেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকির অভিযোগে এটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
'তরুণ জনসংখ্যা'
এ বছর টিকটক জানিয়েছে, তারা ১০ মিনিট পর্যন্ত লম্বা ভিডিও ধারণের ব্যবস্থা করবে।
চীনা মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটিতে আগে কেবল তিন মিনিট বা তার চেয়ে কম সময়ের দৈর্ঘ্যের ভিডিও করা যেত।
আলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপ কনসালটেন্সির একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ পল ট্রায়োলো বিবিসিকে বলেন, ‘টিকটক বেশ কিছুদিন ধরে ইউটিউবের মতো হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ সংস্করণের ১০ মিনিটের ভিডিওগুলো তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তায় ইউটিউবকে ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
৮৬৬ দিন আগে