অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে লেনদেন দ্রুত-নিরাপদ হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি, বিকাশ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘প্রথাগত বাণিজ্যের সঙ্গে অনেক কাগজের ডকুমেন্টস ও প্রক্রিয়া জড়িত। ট্রেড ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টস দ্রুত পাঠানো, যাচাই করা ও যেকোনো স্থান থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে। যা ব্যবসার খরচ ও সময় কমাবে। এর ফলে লেনদেন দ্রুত ও নিরাপদ হবে।’
সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকায় হোটেল রেনেসাঁয় ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইসিসি) বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘ডিজিটালাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব বাংলাদেশ’ ওয়ার্কশপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা নিয়ে সংকোচে অর্থ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্য প্রধান দেশ। বাংলাদেশ ক্রস-বর্ডার ট্রেড ও পেমেন্টের জন্য ট্রেড আমাদের দেশ ডিজিটালাইজেশন জন্য অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারে পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। আইসিসি বাংলাদেশের আজকের ওয়ার্কশপ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। যার ফলে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষাপটে দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখাকে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজড করে করদাতা, ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।’
আইসিসি বাংলদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, ইউএনএসকাপের পরিচালকরুপা চন্দ ও আইটিএফসির রিজিওনাল হেড ইফতেখার আলম।
এত স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিসি বাংলাদেশের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ. রুমী আলী। স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বাংলাদেশের চিফ এক্সিকউটিভ অফিসার নাছের এজাজ বিজয় কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্য দেন।
ওয়ার্কশপে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি ডিজিটাল স্টান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভের পামেলা ও তিয়ানমি স্টিলফেন।
এই ওয়ার্কশপে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে জেন্ডার বাজেটের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও বড় ভূমিকা রয়েছে এসডিজি অর্জনে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: পলাতক তারেক বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে: বেনজীর প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে ফখরুলকে কাদের
রবিবার (২ জুন) নগরীর আগারগাঁও এনইসি সম্মেলনকক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্পের আয়োজনে এক কর্মশালায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বাড়াতে হবে। আর কর অব্যাহতির হার কমাতে হবে। আয়কর ও কর অব্যাহতির পরিমাণ প্রায় সমান, যা বিশ্বের কোনো দেশে নেই। কর আদায়ে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। যারা ডিজিটালাইজেশনে বাধা দিচ্ছে, প্রয়োজনে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, কর সহায়তা দিয়ে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা যাবে না। রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে কাস্টমস রেভিনিউ কমে আসবে। চলতি অর্থবছরে কাস্টমস রাজস্ব ও ভ্যাট রাজস্ব প্রায় সমান এবং এর পর থেকে কাস্টমস রাজস্ব কমতে থাকবে।
ইআরডি সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মূল আলোচনাকারী ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (এসডিজি অ্যাফেয়ার্স, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)।
এলডিসি গ্রাজুয়েশন ও এসডিজি অর্জন বিষয়ে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব ড. রিয়াজুল বাশার সিদ্দিক।
এছাড়া কর্মশালার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে জেন্ডার বাজেটের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে জেন্ডার বাজেটের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, জেন্ডার বাজেট শুধু প্রণয়ন করলে চলবে না, এর কার্যকর বাস্তবায়ন করতে হবে।
বুধবার(১৫ মে) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদন ২০২৪-২৫ প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশের বিপুল সংখ্যক নারী জনগোষ্ঠী অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। ফলে অর্থনীতিতে তাদের যে অবদান তার সঠিক হিসাব আমরা করতে পারছি না।
এই নারী জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক খাতের আওতায় আনা প্রয়োজন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন ও তার কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব। টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য নারীদের ক্ষমতায়ন জরুরি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নারীর ক্ষমতায়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এখনো নারীরা কর্মক্ষেত্র বা অর্থনৈতিকভাবে যেসব জায়গায় পিছিয়ে আছে, তাদের সেখানে এগিয়ে নিতে জেন্ডার বাজেট বিশেষ অবদান রাখতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের বাজেটে নারীদের উন্নয়নে যথেষ্ট বরাদ্দ রেখেছিলেন। তিনি জানতেন দেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে নিতে নারীদের উন্নয়নটা জরুরি।
অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা নিয়ে সংকোচে অর্থ প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ডেটা: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ডেটা: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন ডেটা নীতি নির্ধারণ, সম্পদের সুষম বণ্টন ও জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ রাখে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডেটা প্রয়োজন। শুধু পর্যাপ্ত ডেটা থাকলেই হবে না, আমাদের প্রয়োজন, গুণগত, উপযুক্ত ও নির্ভরযোগ্য ডেটা। নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন ডেটা নীতি নির্ধারণ, সম্পদের সুষম বণ্টন ও জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ রাখে।’
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের যৌথ আয়োজনে ‘পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই)’ সূচক প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়ন এবং সহায়ক শুল্কনীতির মাধ্যমে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনীতি এবং বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রকাশ করছে অর্থ মন্ত্রণলায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুণগত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর পরিকল্পনার জন্য সময়োপযোগী এবং মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে কোভিড মহামারি ও বৈশ্বিক সংকটের সময়েও বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত ছিল। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তিনি মেগাপ্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করেছেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে। রিয়েল টাইম ডেটার মাধ্যমে ইহা অর্থনীতির সব খাতের তথ্য দেবে। জনগণের সার্বিক উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল। আরও বক্তৃতা করেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহমান, এমসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান ও নিহাদ কবীর।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ করিম।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ তার উপস্থাপনায় পিএমআই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাংলাদেশে পিএমআই সূচক প্রকাশে সহযোগিতা করছে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কার্যালয় (এফসিডিও)।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এপ্রিলে বাংলাদেশের পিএমআই সূচক মাসে ৬২.২।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ
৭ মাস আগে
অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরবারহ ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখা ও বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখা সরকারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার ঢাকায় ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম আয়োজিত ইআরএফ সম্মেলন কক্ষে ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড নেক্সট বাজেট শীর্ষক প্রাক বাজেট সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ, নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, ফাস্ট ট্রাক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সম্পদের যোগান দেওয়ার জন্য সরকার সচেষ্ট।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেটে সরকারের মৌলিক নীতি নির্ধারণী দলিলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দারিদ্র্য নিরসন, নারী ও শিশুর উন্নয়ন, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সেবার মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা থাকবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বাজেট বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে এবং ১ জুলাই থেকে মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থা বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের সেমিনার থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো আগামী জাতীয় বাজেটে সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে, যা চলমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জনমুখী, শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করবে এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সেমিনারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি, মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ চেম্বারস অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, বিজিএমইয়ের ডিরেক্টর শামস মাহমুদসহ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতের বৃদ্ধির জন্য স্মার্ট ট্যাক্সেশন পলিসি জরুরি: প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যা-খরার জন্য হাওর ও বরেন্দ্র অঞ্চলে বড় আকারে ‘সিমুলেশন’ অপরিহার্য: প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে