সতর্কতা জারি
চীনের গুয়াংডংয়ে বন্যায় ৯ জনের মৃত্যু, সতর্কতা জারি
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের গ্রামীণ এলাকায় বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ৯ জন মারা গেছেন এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৬ জন।
বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় শুক্রবার (২১ জুন) সকালে অন্যান্য স্থানেও সতর্কতা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, গুয়াংডংয়ের মেইঝৌ শহরের মেক্সিয়ান জেলায় ৪ জন নিহত ও ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মেইঝৌ প্রদেশের জিয়াওলিং কাউন্টিতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিসিটিভি জানিয়েছে, রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে দেশটিতে। এতে গাছ উপড়ে পড়াসহ ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। ভারী বৃষ্টিপাতের সময় মেক্সিয়ান জেলার একটি প্রধান সংযোগ সড়ক পুরোপুরি ধসে পড়েছে। মেইঝৌয়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সোংইয়ুয়ান নদীতে সবচেয়ে বড় মাত্রার বন্যা দেখা গেছে বলে টেলিভিশন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-উ. কোরিয়ার মধ্যে সই হওয়া চুক্তির জানা-অজানা তথ্য
এই বন্যার ফলে জিয়াওলিং কাউন্টিতে আনুমানিক ৩ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ইউয়ান (৫০২ মিলিয়ন ডলার) এবং মেক্সিয়ান জেলায় ১ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ইউয়ান (১৪৬ মিলিয়ন ডলার) সরাসরি অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র(এনএমসি) দক্ষিণের বেশ কয়েকটি প্রদেশ এবং উত্তরের কয়েকটি পৃথক জায়গায় সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য অংশেও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত এবং চরম আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হবে বলেও উল্লেখ করেছে এনএমসি।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মধ্য চীনের হেনান ও আনহুই প্রদেশের পাশাপাশি উপকূলের জিয়াংসু প্রদেশ এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় গুইঝৌ প্রদেশে শিলাবৃষ্টি ও শক্তিশালী বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টির কারণে ২৭ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে চীন
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, হেনান, আনহুই ও হুবেই প্রদেশে একদিনে ৫০ মিলিমিটার থেকে ৮০ মিলিমিটার (১ দশমিক ৯ থেকে ৩ দশমিক ১৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
গত সপ্তাহে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় ফুজিয়ান ও গুয়াংজি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে ভূমিধস ও বন্যা দেখা দেয়। গুয়াংজিতে বৃষ্টিতে ভরে ওঠা নদীতে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় নিহত ২, নিখোঁজ ৫
৪ মাস আগে
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি, সতর্কতা জারি
ভারতের উত্তর সিকিমে ভয়াবহ বন্যা ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশ অংশে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বনে ইতোমধ্যে মাইকিং শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে মাইকিং শুরু হয়। সেই সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, সকাল থেকে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করছি। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে সর্বসাধারণকে গরু ও ছাগলসহ প্রয়োজনী জিনিসপত্র নিয়ে সতর্ক থেকে নিকটস্থ বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র/প্রাইমারি/হাইস্কুলে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, বেলা ৩টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে ৫২.০৮ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়। বিপৎসীমার স্তর ৫২ দশমিক ১৫০। এটি বিকাল ৪টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে।
এদিকে, রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ২৭ দশমিক ৪, দিনাজপুরে ৫৪ দশমিক ৪, সৈয়দপুরে ২৭, নীলফামারীর (ডিমলা) ১১ দশমিক ৯, কুড়িগ্রামে ১৫ এবং পঞ্চগড়ে ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার বাঁধ ভেঙে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
১ বছর আগে
করোনাভাইরাস ঠেকাতে বেনাপোল চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
বিশ্বব্যাপী দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ঠেকাতে বেনাপোল চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যে সকল বিদেশি পর্যটক ভারত হয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করছে তাদেরকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
৪ বছর আগে