ভারতের উত্তর সিকিমে ভয়াবহ বন্যা ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশ অংশে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বনে ইতোমধ্যে মাইকিং শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে মাইকিং শুরু হয়। সেই সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, সকাল থেকে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করছি। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে সর্বসাধারণকে গরু ও ছাগলসহ প্রয়োজনী জিনিসপত্র নিয়ে সতর্ক থেকে নিকটস্থ বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র/প্রাইমারি/হাইস্কুলে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, বেলা ৩টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে ৫২.০৮ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়। বিপৎসীমার স্তর ৫২ দশমিক ১৫০। এটি বিকাল ৪টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে।
এদিকে, রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ২৭ দশমিক ৪, দিনাজপুরে ৫৪ দশমিক ৪, সৈয়দপুরে ২৭, নীলফামারীর (ডিমলা) ১১ দশমিক ৯, কুড়িগ্রামে ১৫ এবং পঞ্চগড়ে ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।