সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে শুধু মাত্র দেশি-বিদেশি যাত্রীদের পরীক্ষা করা হলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ভারত বা মহারাষ্ট্র থেকে আসা সকল ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এদিকে বেনাপোল চেকপোস্টে থার্মার স্ক্যানার মেশিনটি সচল থাকলেও সেটির মনিটরটি অচল থাকায় থার্মো ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চারটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। কোনো যাত্রীর ঠান্ডা কাশি বা গায়ে তাপমাত্রা বেশি আছে কিনা সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
বেনাপোল চেকপোস্টে কর্তব্যরত মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. বিচিত্র মল্লিক জানান, বেনাপোল একটি আন্তজার্তিক চেকপোস্ট। এ চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৭-৮ হাজার দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকেন। করোনাভাইরাসের জীবাণু যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য গত ১৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
কোনো যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া গেলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
মেডিকেল কর্মকর্তা আরও বলেন, চীনে করোনাভাইরাস দেখা দেয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের সকল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্টেও সেই সতর্কতা পালন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চীন থেকে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ৩১ হাজার চারশোর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সাথে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ জনে। শুক্রবার পর্যন্ত বেইজিংয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা যায়।