দুঃখজনক
সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে যা দুঃখজনক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ সভা করছি, এটি দেশের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এছাড়া সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে, যা দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক দেশ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক পৈশাচিক নৃশংসতা একে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত হয়েছি, গর্বিত হয়েছি।’
রবিবার (২৮ জুলাই) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএডিপি ২০২৩-২০২৪ বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন জেনেছি বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। তখন দারিদ্র্য বুঝিনি। তবে এখন দারিদ্র্য জয় করেছি। ভিক্ষার ঝুলি বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার কথা শুনতে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্যকে জয় করেছি। এ বিজয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এখন গর্ব করে আমাদের সক্ষমতার কথা বলছি। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মর্যাদার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। সমুদ্র, নদী- সবখানে সক্ষমতায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রত্বের সময়টা তারুণ্যে ভরপুর, বাধা না মানার সময় এটা। ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করবে, এতে বাহবা দেওয়া উচিত।’
‘সরকার ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা যখন সমঝোতার পর্যায়ে, তখন হঠাৎ করে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে চলে গেল, আতঙ্ক শুরু হলো। যেমন ২০০১-০৬ সালে এমপি, কর্মকর্তা, বিচারক, সাংবাদিক, শিক্ষকদের হত্যা করা হয়েছে। সর্বশেষ বিরোধিদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, দেশের আইন অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯, ২০১০, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের সহিংসতার রূপও একই ধরনের।’
তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার-শিক্ষার্থী সমঝোতা চলছে, স্বস্থির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে অতর্কিত হামলা হলো। প্রথম দিনে ছাত্ররা আন্দোলনে ছিল। পরে তারা আন্দোলনের অংশ হয়নি- ছাত্ররাই বলেছে। দেখলাম, নোবেল লরেট স্বনামধন্য ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্তির জন্য আহ্বানও জানালেন না। অথচ রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে দেওয়ার জন্য তিনি জাতিসংঘসহ অন্যান্য জায়গায় আহ্বান জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মূলভিত্তি। এটাকে বাদ দিয়ে চলতে পারি না। অপরাধীকে অপরাধী বলা কি অন্যায়? অপরাধীদের চিহ্নিত করব না! ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন সেটাকে মাটিতে নামিয়ে আনাই ছিল তাদের লক্ষ্য।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন প্যারামাউন্ট লিডার। তার মতো নেতৃত্বের গুণাবলী এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো মানুষের নেই। তিনি আমাদের একমাত্র অবলম্বন। এ অবলম্বনটাকে ভেঙে দেওয়া দুষ্কৃতিকারীদের লক্ষ্য ছিল। তাকে নামিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশকে নামিয়ে দেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা লক্ষ্যের খুবই কাছাকাছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
‘দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। কাউকে না কাউকে উৎসর্গ করতে হবে। আমাদের কাজগুলো আগামী প্রজন্ম মনে রাখবে। অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করব সেটিই লক্ষ্য হোক।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ছয় হাজার ৮৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলমান।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের পোশাক পরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৩ মাস আগে
সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, সরকারের নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: প্রবাসী কর্মীদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী
তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তার দপ্তর কক্ষে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে ও যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতের মতো বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সবার সহযোগিতা কামনা করে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা বর্ষবরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিত- এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থা করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রাকে’ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
আরও পড়ুন: এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা ২০ এপ্রিলের মধ্যে দুবাই পৌঁছাবেন: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সমুদ্রপথ নিরাপদ করতে প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে