রাজনৈতিক মামলা
রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন, তখনই শুনানির সিদ্ধান্ত
রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন করা হবে, তখনই শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা জজ আদালতের প্রসাশনিক কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, ‘জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগপন্থী কোনো আইনজীবী এসময় ছিলেন না।’
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
৪ মাস আগে
বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়নি।
তিনি বলেন, 'যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারা অপরাধ করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
শুক্রবার গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, দুর্নীতি, অস্ত্র চোরাচালান ও গ্রেনেড হামলার মতো অপরাধ করার জন্য এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ৩ হাজার ৮০০ কার, বাস, লঞ্চ ও ট্রেন পুড়িয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ২৮ অক্টোবর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল এবং নির্বাচন বানচাল করতে ট্রেনে আগুন দিয়ে একজন মা ও তার সন্তানকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘যারা এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত নয়? মানুষ কি তাদের পূজা করবে?'
তিনি বলেন, ‘আজকে তারা সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া উচিত কীসের জন্য মামলাগুলো করা হয়েছে।’
বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মী কারাগারে আছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারগুলোর এত লোককে জায়গা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, 'তারা দাবি করছে যে তাদের ৬০ লাখ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু আমাদের (কারাগারগুলোর) সেই সামর্থ্যও (এত লোককে জায়গা দেওয়ার) নেই।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপির এত লোক কারাগারে আটক থাকে, তার মানে এখন যারা কারাগারে আছে তারা সবাই তাদের লোক এবং সেখানে অন্য কোনো অপরাধী নেই।
তিনি আরও বলেন, 'এর অর্থ হচ্ছে ওখানকার সব অপরাধী (যারা কারাগারে আছে) বিএনপির।’
বিএনপি শাসনামলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর সহিংসতা ও নির্যাতনের ভয়াবহ দৃশ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতিশোধ নিতে যায়নি, বরং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে মেধা ও শক্তি কাজে লাগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সৌভাগ্য যে আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ নই বলে তারা এখনো কথা বলার (আওয়াজ তোলার) সুযোগ পায়। তারা সারাদিন লাউড স্পিকার ব্যবহার করে কথা বলে এবং তারপর বলে যে তারা কথা বলার সুযোগ পায় না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
৮ মাস আগে