৪১.৩ ডিগ্রি
মেহেরপুরের তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রি
কয়েকদিন ধরে মেহেরপুরের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থা আরও বেগতিক হয়ে তাপমাত্রা আগের বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যা এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
এদিকে তীব্র তাপদাহে এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন এবং তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন।
এছাড়া মেহেরপুর জেলা ও গাংনী উপজেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে পিপাসা মেটাতে শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা যায় মানুষকে।
দোকানে বিক্রি হচ্ছে বেলের শরবত, আবার কোথাও লেবুর শরবত। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ডাব ও আখের রস।
এছাড়াও পিপাসা নিবারণে মানুষকে রাস্তার দোকান থেকে বিভিন্ন কোম্পানির পানীয় ও মিনারেল ওয়াটার কিনে পান করতে দেখা গেছে।
এদিকে গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার এলাকার লেবুর শরবত ও আখের রসের দোকানে দেখা গেছে ভিড়।
গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার এলাকার শরবত বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, যত গরম বাড়ছে তত শরবত বিক্রি বাড়ছে। কয়েকদিন ধরে খুব গরম পড়ছে। প্রতিদিন ৮/৯ হাজার টাকার শরবত বিক্রি হয়।
তিনি আরও বলেন, শরবতে লেবু, চিনি, তুকমা দানা, ইসপগুলের ভুসি ব্যবহার করে থাকি। এর মধ্যে খারাপ কিছু নেই।
গাংনী উপজেলা শহরের আখের রস বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বেড়েছে। প্রতিদিন ৭/৮ হাজার টাকার রস বিক্রি করে থাকি।
এদিকে ডাব বিক্রেতা সাবান আলী বলেন, ডাবের প্রচুর চাহিদা। এই গরমের হাত থেকে বাঁচতে ডাবের প্রতি ঝুঁকছেন মানুষ।
এদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রোগ বালাই। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, এই গরমে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
পিপাসা মেটাতে ফুটপাতের শরবত, পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এ জেলায় শুক্রবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৫ শতাংশ। দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমান ছিল ১৯ শতাংশ। এরপর তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।
আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস জানায়, এটিই দেশে এই মৌসুমেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। দীর্ঘদিন জেলায় বৃষ্টিপাত না থাকার কারণে গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এধারা আরও কিছুদিন অব্যহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মেহেরপুরে তীব্র গরম, তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
৭ মাস আগে