শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখা
মৌলভীবাজারে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর তাণ্ডব
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখায় শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েক শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে ও বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে রেললাইনের উপর গাছ পড়ে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে এবং সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ স্টেশনে আটকা পড়ে। রেললাইন থেকে গাছ সরিয়ে তারপর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়।
জানা গেছে, রবিবার বিকালে সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ মৌলভীবাজার সদর শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার উপর দিয়েও কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। প্রায় ৫ মিনিটের স্থায়ী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা রাস্তার উপর পড়ে ও কাঁচাপাকা ঘরের চাল উড়ে যায়।
কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন দোকান ও বাড়ি-ঘরের চাল উড়ে গেছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বৈদুতিক লাইন। এরপর থেকে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক তাণ্ডব ঘটায়। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য মাঠে কয়েকটি টিম কাজ করছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী বলেন, মিনিট ৬ এর কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক তাণ্ডব ঘটায়। নাজিরাবাদ ও গিয়াসনগর ইউপির কাঁচাঘর ভেঙে ১৩ আহত হয়।
ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য মাঠে কয়েকটি দল কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ৭
কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২
৭ মাস আগে