সংক্ষিপ্ত
বন্যার কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করবে বিএনপি
দেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে সীমিত পরিসরে ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে গণতন্ত্রে উত্তরণের রোডম্যাপ নেই: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বাঁধের গেট খুলে দেওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং চট্টগ্রামের কিছু অংশের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের সহায়তা দিচ্ছি। আমরা একটি কেন্দ্রীয় ত্রাণ সেল গঠন করেছি। চাল, ডাল, তেল, ওষুধ, কাপড়, শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করছি। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা কয়েকদিন ধরে বন্যাকবলিত এলাকায় অবস্থান করছেন।’
এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, এর আগে ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছয় দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঘোষিত কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বরং এসব কর্মসূচির অর্থ আমরা আমাদের দলের ত্রাণ তহবিলে বরাদ্দ দেব, যা বন্যার্তদের সহায়তায় ব্যবহার করা হবে।’
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, ফাতেহা পাঠ এবং রাজধানীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ কিছু ঐতিহ্যবাহী কর্মসূচি পালন করা হবে।
একই দিন বিকালে বন্যার্ত মানুষ, সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে যারা নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে বলেও জানান ফখরুল।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেন। বিএনপি কয়েক মেয়াদে দেশ শাসন করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণ-ব্যবসায়ীরা নির্বাচিত সরকার ও গণতন্ত্র চান: ফখরুল
২ মাস আগে
মে দিবস পালিত হবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে: প্রতিমন্ত্রী
চলমান তাপপ্রবাহের কারণে মহান মে দিবস সংক্ষিপ্ত পরিসরে পালিত হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, মে দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের র্যালির কর্মসূচি হবে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দিবসের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে র্যালিটা যত সংক্ষিপ্ত করা যায়, চেষ্টা করব। যেহেতু কর্মসূচিতে আছে তাই সম্মেলন কেন্দ্রের কাছাকাছি গিয়ে মিছিল শেষ হবে। অনেকটা ফটোসেশনের মতো, প্রতীকী করব।
মে দিবস উপলক্ষে বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।
মে দিবসের কর্মসূচি
সংবাদ সম্মেলনে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম মে দিবসের কর্মসূচি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বুধবার (১ মে) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএম ইব্রাহীম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমবিষয়ক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
তাছাড়া অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দুঃস্থ শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হবে।
আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মহাপরিচালক আরও জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন সড়কদ্বীপ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো করা হবে।
মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এবারও একটি তথ্যবহুল এবং স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
৬ মাস আগে