মিল্টন সমাদ্দার
এবার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ ডিবির
মৃত্যু সনদ (ডেথ সার্টিফিকেট) জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’র চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে তাকে ডাকা হয়।
আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, মিল্টনের স্ত্রী মিঠু হালদারকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে তাকে ডাকা হয়।
গ্রেপ্তার মিল্টন তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
মিল্টন কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করেছেন এবং যারা তাকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরও চিহ্নিত করতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান ডিবি প্রধান।
আরও পড়ুন: চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার আটক
এর আগে বুধবার (১ মে) ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
এপ্রিলে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে সমালোচনা ও আলোচনার ঝড় ওঠে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিভিন্ন পুরস্কারের মাধ্যমে জনসেবার স্বীকৃতি পাওয়া মিল্টনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে অসহায়দের জন্য বৃদ্ধাশ্রম তৈরি এবং গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে তার কাজের কথা প্রচার করা হলেও, আরও ভয়ংকর অভিযোগ সামনে আসে।
অভিযোগের মধ্যে মানব অঙ্গের অবৈধ বাণিজ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল, বিশেষত কিডনি কাটা এবং বিক্রির বিষয়টি উঠে আসে।
বৃহস্পতিবার(২ মে) ডিবি পুলিশ তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
৬ মাস আগে
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
মৃত্যু সনদ (ডেথ সার্টিফিকেট) জালিয়াতির মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’র চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
মিল্টনের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান বিপ্লব রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মিল্টন প্রতারণার মাধ্যমে ৫০টি ভুয়া মৃত্যু সনদ (ডেথ সার্টিফিকেট) প্রদান করেন। মিল্টন তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে বয়স্ক, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের আশ্রয় দেন। তবে তিনি প্রায়শই নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
রিমান্ডে তার কাছে চিকিৎসা দেওয়ার নামে মানুষ হত্যা বা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কোনো সনদ ছিল কি না এবং তিনি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না- তা খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
বুধবার(১ মে) রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিভিন্ন পুরস্কারের মাধ্যমে জনসেবার স্বীকৃতি পাওয়া সমাদ্দার বড় ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইলে অসহায়দের জন্য বৃদ্ধাশ্রম তৈরি এবং গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে তার কাজের কথা প্রচার করা হলেও, আরও ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবৈধ বাণিজ্য, বিশেষ করে কিডনি কাটা ও বিক্রির বিষয়টি এসেছে।
এই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর অনেকে মুখ খুলেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠার পর সমদ্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর বিভাগের ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কামাল পাশা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার আটক
৬ মাস আগে