সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ড
সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বন বিভাগের ৫০ কর্মী ও ড্রোন মোতায়েন
সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ৫০ জন কর্মী মোতায়েন করেছে বন বিভাগ। এছাড়াও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো।
তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আরও দুই দিন সতর্ক নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিধি জানাতে তিন সদস্যের বিশেষায়িত কমিটি গঠন করেছে বন বিভাগ।
বন সংরক্ষক মিহির কুমার জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পুরো পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
গত শনিবার (৪ মে) বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাটের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের অন্তর্গত আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণাধীন বনাঞ্চলে আগুন লাগে। সোমবার সকালেও বেশ কয়েকটি জায়গায় ধোঁয়া দেখা গেলে শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে নেভানো হয়।
সোমবার বিকালে প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের ঘোষণা করেন।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দোকে সভাপতি ও খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
ওই এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর অগ্নিকাণ্ডের যে প্রভাব পড়েছে তা বের করে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যকর সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রধান বন সংরক্ষক।
৭ মাস আগে