টমাস মুলার
বার্সা ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন গুন্ডোগান
চলতি গ্রীষ্মকালীন দলবদলেই বার্সেলোনা ছাড়তে হচ্ছে- এমন গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন জার্মানির অধিনায়ক ইলকাই গুনডোগান।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে নিজের বিদায়বার্তা লেখেন বার্সেলোনা মিডফিল্ডার।
৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার লেখেন, ‘কয়েক সপ্তাহ চিন্তাভাবনার পর আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, জাতীয় দল থেকে আমার অবসর নেওয়ার সময় এসেছে।’
‘২০১১ সালে যখন জাতীয় দলে আমার অভিষেক হয় তখন স্বপ্নেও ভাবিনি যে, দেশের হয়ে আমি ৮২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। এখন ফিরে তাকালে এ নিয়ে শুধুই গর্ব হয়।’
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলতে নেমে ১৯টি গোল করেছেন গুনডোগান। সর্বশেষ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মানির অধিনায়ক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত পারফর্ম করে স্পেনের কাছে হেরে গেলেও নিজ দেশের সমর্থকদের পাশাপাশি ফুটবলবোদ্ধা, সমালোচক, এমনকি প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়ায় গুনডোগানের দল।
আরও পড়ুন: স্বর্গীয় ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মানতে হলো জার্মানির
ওই ম্যাচটিই জাতীয় দলে তার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল। সেমিফাইনালে হারের পর জাতীয় দলকে বিদায় জানান ফরোয়ার্ড টমাস মুলার ও মিডফিল্ডার টনি ক্রুসও।
অধিনায়ক হয় জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিতে পারাটা যে তার কাছে কতটা সম্মানের, বিদায়বেলায় সে কথাই ঝরল তার কণ্ঠে।
‘ইউরোয় দলকে নেতৃত্ব দিতে পারাই ছিল জাতীয় দলে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সম্মানের বিষয়।’
তবে ইউরো শুরুর আগেই অবসরে যাওয়ার কথা তারা মাথায় আসে বলে জানান এ মিডফিল্ডার।
‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই শরীর ও মনে এক ধরনের ক্লান্তি অনুভব করছিলাম আমি। বিষয়টি আমাকে (অবসর নিয়ে) ভাবনার শুরুটা এনে দেয়। তাছাড়া ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে (বর্তমানে) কম ম্যাচও খেলা হচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েকটি বড় আসরে একেবারেই ভালো কাটেনি জার্মানির। ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় চারবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। এর মাঝে ২০২০ সালের ইউরোতেও শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন: আবেগী পোস্টে ফুটবলকে বিদায় জানালেন ক্রুস
এছাড়া, উয়েফা নেশন্স লিগেও গত কয়েক মৌসুম ধরে তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে গ্রুপপর্বে টেবিলের তিনে থেকে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন হয় জার্মানির। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে মূলপর্বে উঠে সেমিফাইনাল খেললেও সেখানে স্পেনের কাছে ৬-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয় তারা। সবশেষ ২০২২-২৩ মৌসুমে ইতালি ও হাঙ্গেরির বিপক্ষে খেলে ফের একবার গ্রুপপর্ব পার করতে ব্যর্থ হয় তারা, এমনকি তৃতীয় ও শেষ দল হিসেবে আবারও দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন হয় দলটির।
সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া নেশন্স লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমে ফের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। গ্রুপ-৩ এ এবার তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, হাঙ্গেরি ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা।
২ মাস আগে
‘মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়’- গোল বাতিল প্রসঙ্গে মুলার
ম্যাচে তখন অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের ১৩ মিনিটের খেলা চলছে। এরইমধ্যে গোল পেয়ে ম্যাচে সমতা টানে বায়ার্ন। কিন্তু গোলে শট করার আগমুহূর্তে অফসাউডের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। ফলে টিভি রিভিউতে আপাতঃদৃষ্টিতে অফসাইড মনে না হলেও গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
গোলের সামনে বল থাকলে সেটি গোল বা খেলার মোড় পরিবর্তন না করা পর্যন্ত অফসাইডের পতাকা তুলতে বা বাঁশি বাজাতে অপেক্ষা করবেন রেফারি। উয়েফার অফসাইড আইনে এমনটি থাকলেও বায়ার্ন মিউনিখের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
আরও পড়ুন: অফসাইডের সিদ্ধান্ত টুখেলের কাছে ‘চরম বিপর্যয়কর’
রেফারির এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতবাক বায়ার্ন মিউনিখ স্কোয়াড। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কোচ টমাস টুখেলসহ অনেকে।
খেদ ঝরতে দেখা গেল টমাস মুলারের কণ্ঠেও। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। রিয়ালের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলে বায়ার্ন-অন্ত প্রাণ মুলার বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়। ২০১৭ সালেও আমাদের সঙ্গে এটা ঘটেছে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দুই গোল করেছিল। সেটা অবশ্য ভিএআরের আগে।’
তিনি বলেন, ‘রেফারি ভিএআর-এর সাহায্য নেননি। তিনি এটা দেখার সুযোগও পাননি। অথচ দ্রুত বাঁশি বাজিয়ে দিলেন! সত্যিই অদ্ভুত, অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত।
‘সাধারণত বাঁশি বাজানোর আগে খেলোয়াড়দের অন্তত তিন মিটার দৌড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। অথচ… জানি না আসলে কী ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: চিরায়ত শেষের মিরাকলে ফাইনালে রিয়াল
এ বিষয়ে গোলদাতা ডি লিখট বলেন, ‘হোসেলুও গোল করার সময় প্রায় অফসাইড ছিল, কিন্তু তখন তারা খেলা চালিয়ে গেছেন। তাহলে আমাদের বেলায় কেন নয়?’
বায়ার্ন বস এটিকে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ সামিল বলে মন্তব্য করেছেন।
৬ মাস আগে