ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের প্রতি একাত্তরের সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস বলেন, ‘ইস্যুগুলো বারবার আসছে। আসুন আমরা এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করি।’
শাহবাজ শরীফ বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়েছে, তবে 'যদি অন্যান্য অমীমাংসিত ইস্যু থেকে থাকে' তবে তিনি সেগুলো দেখতে পারলে তিনি খুশি হবেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবকিছুর সমাধান করতে পারলে ভালো হবে।’
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন।
বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দল বিনিময়ের মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হন তারা।
আরও পড়ুন: ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে মিশর পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
দুই নেতা চিনি শিল্প ও ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস ও শরীফ সার্কের পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এটি প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ঘোষিত পররাষ্ট্রনীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য।
২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এই ড. ইউনূস 'প্রয়োজনীয় সংস্কার' শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের আগে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্য হওয়ার জন্য তিনি একটি গঠন কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
শরীফ বলেন, 'আমরা আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই।’
তিনি সার্ক ও বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবিত করে আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করার উদ্যোগের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন।
'এটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ বলেও শরীফকে জানান অধ্যাপক ইউনূস।