স্মার্ট ডেটা
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ডেটা: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন ডেটা নীতি নির্ধারণ, সম্পদের সুষম বণ্টন ও জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ রাখে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডেটা প্রয়োজন। শুধু পর্যাপ্ত ডেটা থাকলেই হবে না, আমাদের প্রয়োজন, গুণগত, উপযুক্ত ও নির্ভরযোগ্য ডেটা। নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন ডেটা নীতি নির্ধারণ, সম্পদের সুষম বণ্টন ও জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ রাখে।’
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের যৌথ আয়োজনে ‘পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই)’ সূচক প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়ন এবং সহায়ক শুল্কনীতির মাধ্যমে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনীতি এবং বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রকাশ করছে অর্থ মন্ত্রণলায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুণগত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর পরিকল্পনার জন্য সময়োপযোগী এবং মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে কোভিড মহামারি ও বৈশ্বিক সংকটের সময়েও বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত ছিল। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তিনি মেগাপ্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করেছেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে। রিয়েল টাইম ডেটার মাধ্যমে ইহা অর্থনীতির সব খাতের তথ্য দেবে। জনগণের সার্বিক উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল। আরও বক্তৃতা করেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহমান, এমসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান ও নিহাদ কবীর।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ করিম।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ তার উপস্থাপনায় পিএমআই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাংলাদেশে পিএমআই সূচক প্রকাশে সহযোগিতা করছে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কার্যালয় (এফসিডিও)।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এপ্রিলে বাংলাদেশের পিএমআই সূচক মাসে ৬২.২।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ
৬ মাস আগে