ট্রেজারি বন্ড
বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি
সঠিক বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আর্থিক স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা। অর্থের বিচক্ষণ ব্যবহারে অর্জিত হয় সম্পদের বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক লক্ষ্য এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা। এই অর্জনগুলোর নেপথ্যে থাকে গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্ত, যা ঝুঁকি হ্রাস এবং সর্বোচ্চ আয় বাড়ানোর মোক্ষম হাতিয়ার। এর মাধ্যমে যেমন বাজারের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক বুঝ পাওয়া যায়, তেমনি মূল্যায়ন করা যায় নিজের ঝুঁকি সহনশীলতা। এই পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী তার আর্থিক উদ্দেশ্য হাসিলের পথে এগিয়ে যেতে পারেন। স্টক, বন্ড এবং সঞ্চয়পত্রের মতো আর্থিক উপকরণগুলো সময়ের সঙ্গে বিনিয়োগ করা মূলধনের বিপরীতে রিটার্নকে প্রভাবিত করে। চলুন, এগুলোর মধ্যে স্থায়ী আয়ের নিরাপত্তা থাকা বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি জেনে মতো যাক।
সরকারি বা ট্রেজারি বন্ড কী
দীর্ঘমেয়াদি এবং স্থায়ী সুদের হারের এই বন্ডটির নাম বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বা বিজিটিবি। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করে এই বন্ড। তাই এটি দেশের প্রধান গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিস বা জি-সেক এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকিমুক্ত বন্ড।
এই বন্ডের সুবিধাগুলো
- এটি ২, ৫, ১০, ১৫ এবং ২০ বছরের জন্য; তথা দীর্ঘ মেয়াদে জারি করা হয়
- বিনিয়োগকৃত মুলধনের সুদ বা কুপন বছরে ২ বার প্রদান করা হয় এবং মেয়াদপূর্তিতে মূলধন পরিশোধ করা হয়
- নির্দিষ্ট মেয়াদে স্থায়ী সুদের হার বা কুপন রেট নিলাম কমিটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়
- সেকেন্ডারি মার্কেটেও তথা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কেনাবেচা করা যায়
- বন্ডের জন্য ন্যূনতম ১ লাখ টাকা জমা রাখতে হয়
- এই বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারী ব্যক্তি ট্যাক্স রিবেট সুবিধা পান, অর্থাৎ তার আয়করের পরিমাণ কমে আসে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ বনাম হীরা: কোন বিনিয়োগটি বেশি লাভজনক?
কারা এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন
বাংলাদেশে নিবাসী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যেমন-
- ব্যক্তি
- ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- বিমা কোম্পানি
- করপোরেট সংস্থা
- প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশন ফান্ড
বাংলাদেশে অনিবাসী ব্যক্তি এবং বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টধারী কোনো প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: স্মার্ট এনআইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করার উপায়
ট্রেজারি বন্ড ও সঞ্চয়পত্রের মধ্যে পার্থক্য
সঞ্চয়পত্র কমপক্ষে ৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য কেনা যায়। কিন্তু ট্রেজারি বা টি-বন্ড জারি করা হয় দীর্ঘ মেয়াদের জন্য, যা কমপক্ষে ২ থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের হয়ে থাকে।
টি-বন্ডে বিনিয়োগের জন্য ন্যূনতম ১ লাখ টাকা রাখতে হয়। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্রের ন্যূনতম বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই। ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১০ টাকা থেকে শুরু করা যায়।
সঞ্চয়পত্র ১ বছরের আগে যে কোনো সময় নগদায়ন করা বা ভেঙে ফেলা হলে কোনো মুনাফা পাওয়া যায় না বরং অতিরিক্ত ফি দিতে হয়। কিন্তু টি-বন্ড মেয়াদপূর্তির পূর্বে যে কোনো সময় বিক্রিতে কোনো বাধ্য-বাধকতা নেই।
সব ধরনের মেয়াদের টি-বন্ডের মুনাফা বছরে ২ বার দেওয়া হয়। আর বিভিন্ন মেয়াদের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বিতরণের সময় ভিন্ন ভিন্ন এবং খুব কম সময়ে পাওয়া যায়। যেমন পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হয় প্রতি মাসেই। এরপর রয়েছে প্রতি ৩ মাসে এবং ৫ বছরে মুনাফা পাওয়ার সুযোগ।
আরও পড়ুন: ১৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়বে বেক্সিমকো
ট্রেজারি বন্ড কেনার উপায়
সরকারি বন্ডে বিনিয়োগের পদ্ধতি ২টি। একটি নিলামের মাধ্যমে এবং অন্যটি সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে।
প্রতি মাসেই টি-বন্ডের প্রাইমারি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক নিলাম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই নিলামে অংশ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা টি-বন্ড কিনতে পারেন। এর জন্য তাদেরকে প্রাথমিক ডিলারদের (পিডি) মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে হয়। কারণ নিলামে শুধুমাত্র পিডিদেরই নিলামে বিড জমা দেওয়ার অনুমতি রয়েছে। এই পিডি সাধারণত ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মতো বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত, সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে সাধারণ পণ্য কেনাবেচার মতো যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি টি-বন্ড ক্রয় করতে পারেন। তবে সব ব্যাংকেই সরকারি বন্ড বিক্রির অনুমতি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোই শুধু এই বন্ড বিক্রি করতে পারে।
চলুন, টি-বন্ড কেনার এই উপায় দুটি এবার বিস্তারিত দেখে মতো যাক।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধে ৫৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত ২৪ ব্যাংক
প্রাথমিক নিলাম থেকে ট্রেজারি বন্ড ক্রয়
প্রাথমিক নিলামের মাধ্যমে টি-বন্ডে বিনিয়োগ করতে হলে বিনিয়োগকারীদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হয়:
- প্রথমেই বিনিয়োগকারী তার হয়ে প্রাথমিক নিলামে অংশগ্রহণের জন্য পিডিকে অনুমোদন দেন। এর জন্য বন্ডের টাকার পরিমাণ, মেয়াদ, সুদের হার এবং নিলামের তারিখ উল্লেখ করে বিনিয়োগকারীকে পিডি বরাবর একটি লিখিত নির্দেশনা পাঠাতে হয়। সাধারণত প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এই নিলাম হয়ে থাকে। বার্ষিক নিলাম ক্যালেন্ডারের লিংক- https://www.bb.org.bd/en/index.php/monetaryactivity/auc_calendar
লিখিত অনুমোদনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীর পক্ষ হয়ে পিডি প্রাথমিক নিলামে বিড করতে পারে। এই নির্দেশনা নিলামের একদিন আগে পিডির কাছে পাঠাতে হয়।
- পরবর্তী বিভিন্ন লেনদেন নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিনিয়োগকারীকে পিডি-এর অধীনে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। ব্যাংকের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটি পিডি অ্যাকাউন্ট নামে গণ্য হয়। আর শেয়ার মার্কেটের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজের অধীনে খোলা অ্যাকাউন্টকে বেনেফিশারি ওনার বা বিও অ্যাকাউন্ট বলা হয়।
- বন্ডের টাকা নিলামের আগের দিন দুপুর ১২টার আগে পিডির কাছে জমা করতে হয়। বন্ডের অর্থ যে মাধ্যমেই পাঠানো হোক না কেন তা অবশ্যই উক্ত সময়ে পিডির কাছে থাকতে হয়।
- নিলামের তারিখের দিন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিড ফলাফল প্রকাশ করে। অতঃপর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদেরকে পিডি সেই বন্ডের জন্য একটি বরাদ্দপত্র প্রদান করে।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি
সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে ট্রেজারি বন্ড ক্রয়
এ পদ্ধতিতে বন্ড কেনার জন্য বিনিয়োগকারীকে যে পদক্ষেপগুলোর ভেতর দিয়ে যেতে হয়, তা হলো:
- প্রথমে বিনিয়োগকারী নিজের জন্য উপযুক্ত সুদের হার ও মেয়াদ সম্পন্ন টি-বন্ড নির্বাচন করে তা পিডিকে জানাবে। অতঃপর পিডি ও বিনিয়োগকারী উভয় পার্টি বন্ডের মূল্য, মেয়াদ এবং পরিমাণের বিষয়ে সম্মতো হবেন।
- পিডি বন্ডের সমস্ত প্রয়োজনীয় বিবরণ উল্লেখ করে বিনিয়োগকারীর কাছে একটি চুক্তি নিশ্চিতকরণ পাঠাবে।
- বিনিয়োগকারী বন্ড ক্রয়ের মূল্যের সমপরিমাণ তহবিল পিডির অ্যাকাউন্টে জমা করবেন।
- তহবিল নিশ্চিতকরণের পর পিডি বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে বন্ড স্থানান্তর করবে।
আরও পড়ুন: অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যম: বৈধভাবে টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন?
সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লাভ-ক্ষতি হিসাব পদ্ধতি
সুদ বা কুপন অথবা মূলধনী লাভ বা ক্ষতি- এই দুই পদ্ধতিতে বন্ডের লাভ-ক্ষতি হিসাব হয়।
টি-বন্ডে সুদের হার বা কুপন রেট নির্দিষ্ট মেয়াদকালের মধ্যে ঐ বন্ডের জন্য আর পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ ১০ শতাংশ কুপন রেটে ১ লক্ষ টাকা ১০ বছর ধরে রাখা হলে প্রতি বছর ১০ হাজার টাকা করে ১০ বছরে মোট ১ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
মূলধনী লাভ বা ক্ষতি মুলত বন্ডটি কত দিন ধরে রাখা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। বন্ডটি কেনার পর থেকে যদি মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত ধরে রাখা হয়, তাহলে এতে কোনো লাভ বা ক্ষতি নেই। কিন্তু মেয়াদপূর্তির আগেই বন্ড বিক্রি করলে লাভ কিংবা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
খুব সহজ হিসাব- যদি ক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা যায় তাহলে মূলধনী লাভ। আর বন্ড কেনার সময়ের দাম থেকে বিক্রির সময় কম দাম পেলে ক্ষতি।
এই মূলধনী লাভ বা ক্ষতির সঙ্গে মোট সুদের পরিমাণ একত্রিত করে বন্ডের মোট লাভ বা ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ১০ শতাংশ কুপন রেটের বন্ডে ১ লক্ষ টাকা ১০ বছরের জন্য বিনিয়োয়োগ করেছেন এবং ৩ বছরে ৩০ হাজার টাকা সুদ পেয়েছেন। ৩ বছর মেয়াদপূর্তির পর আপনি বন্ডটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ফেলেছেন যার হলে আপনার ১০ হাজার টাকা মূলধনী লাভ হয়েছে। এখন ৩ বছরে এই বন্ড থেকে আপনার মোট লাভের পরিমান দাঁড়ালো (৩০ হাজার + ১০ হাজার) টাকা অর্থাৎ ৪০ হাজার টাকা।
অন্যথায়, ৩ বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর বন্ডটি ৯৬ হাজার টাকায় ছেড়ে দিলে মূলধনী ক্ষতির পরিমাণ দাড়াচ্ছে ৪ হাজার টাকা। তখন বন্ড থেকে মোট লাভ হচ্ছে (৩০ হাজার - ৪ হাজার) টাকা তথা ২৬ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠানোর সেরা কয়েকটি মাধ্যম: বিদেশ থেকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে
বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারি বন্ড কেনার সময় যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ
বাজারের বন্ডের সুদের হার
সরকারি বন্ডের কুপন হারের সঙ্গে বাজারের প্রচলিত অন্যান্য বন্ডে সুদের হার তুলনা করা জরুরি। যদি বাজারের হার বাড়তে থাকে, তাহলে নিশ্চিন্তে দীর্ঘমেয়াদি টি-বন্ড বেছে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু হার যদি কমার দিকে থাকে, তাহলে নিরাপদ অবস্থায় থাকার জন্য স্বল্পমেয়াদী টি-বন্ড বেছে মতোই উত্তম।
বিনিয়োগের উদ্দেশ্য ও ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা
বিনিয়োগকারীকে সর্বপ্রথম ঠিক করতে হবে আসলে তিনি কি উদ্দেশ্যে বিনিয়োগটি করতে চাচ্ছেন। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে যে, ঠিক কত দ্রুত বন্ডটির নগদায়ন তার দরকার। এভাবে বন্ডের তারল্য বিবেচনা করে একটি উপযুক্ত মেয়াদের বন্ড বাছাই করা উচিৎ। সাধারণত স্বল্পমেয়াদি বন্ডগুলো থেকে দ্রুত অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকে।
আর দীর্ঘ মেয়াদে পাওয়া যায় বেশি রিটার্ন। তাই এখানে উদ্দেশ্যটা নির্ধারণ করা জরুরি। যেমন অনেকে সন্তানের শিক্ষার জন্য ১০ বছরের বন্ড কিনে থাকেন। এ থেকে ১০ বছর পরে তাদের সন্তানের শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কোন কার্যক্রমের জন্য বিরাট অঙ্কের সাহায্য পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
মুদ্রাস্ফীতির হার
বন্ডের সুদের হার নির্বাচন করার সময় মুদ্রাস্ফীতির হিসেব করাটা আবশ্যক। যদিও টি-বন্ডের কুপন রেট অন্যান্য বন্ড থেকে বেশি, কিন্তু অযাচিত মুদ্রাস্ফীতি এই বন্ডের সুবিধাকেও পেছনে ফেলতে পারে।
যেমন মুদ্রাস্ফীতি যদি ৯ শতাংশ হয়, তাহলে ৪ বছর আগের ৮ শতাংশ বন্ড থেকে এখন আর লাভজনক রিটার্ন পাওয়া যাবে না। সুদের হার কমপক্ষে ১০ শতাংশ হলে এই বিনিয়োগটি উপযুক্ত হবে।
শেষাংশ
সরকারের কর্তৃত্ব থাকায় আর্থিক নিরাপত্তা পণ্যের বাজারে অন্যান্য বন্ড থেকে ট্রেজারি বন্ডে ঝুঁকি কম। সেই সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত কুপন রেট এবং ট্যাক্স রিবেট সুবিধা বিনিয়োগের নির্ভরযোগ্য পছন্দে পরিণত করেছে এই সরকারি বন্ডকে। ক্রমান্বয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সংযোগ এবং পদ্ধতিগত উন্নতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজতর করেছে এই বিনিয়োগের মাধ্যমকে।
এরপরেও উপযুক্ত সুদের হার ও মেয়াদ নির্বাচনে তুলনামুলক গবেষণা প্রয়োজন। কেননা বিনিয়োগের উদ্দেশ্য ও ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা একেক ব্যক্তির মাঝে একেক রকম। তাছাড়া বাজারের আকস্মিক পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে মুলধন থেকে প্রাপ্ত লাভের উপর। তাই একটি নিরবচ্ছিন্ন আয় পাওয়ার স্বার্থে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কেও অবগত থাকা জরুরি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
৬ মাস আগে