১৮টি ওয়ার্ড
নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রকল্পের অনুমোদন: ডিএনসিসি মেয়র
নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে অর্থ ছাড় পেতে সময় লাগছে। কিন্তু এই নতুন এলাকায় বহু মানুষের বসবাস। তাদের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
রবিবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে গুলশান নগর ভবনের সম্মেলনকক্ষে নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলদের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই এলাকায় টেকসই উন্নয়নের জন্য ড্রেন নির্মাণ করে তারপর রাস্তা করতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক না হলে রাস্তা করলে জলাবদ্ধতা হবে। সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না৷ আগামী এক বছর এই নতুন এলাকায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ড্রেনেজ ও রাস্তার কাজ চলবে। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জনগণের চলাচলে কষ্ট দূর হবে।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য এলাকাবাসী যেন জায়গা ছেড়ে দিয়ে সহযোগিতা করেন সে বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী এবং নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
বৈঠকে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু: ডিএনসিসি মেয়র
খাল দখলকারীদের ধিক্কার জানালেন ডিএনসিসি মেয়র
৬ মাস আগে
ডিএনসিসিতে নতুন যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগামী এক বছর ডিএনসিসিতে নতুনভাবে যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খালগুলো দখলমুক্ত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছি এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে।
সোমবার (১৩ মে) সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের প্রধান কার্যালয়ের হল রুমে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ৪ বছর পূর্তিতে সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু: ডিএনসিসি মেয়র
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র তার দায়িত্বগ্রহণের ৪ বছরের অগ্রগতির সার্বিক চিত্র এবং আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
মেয়র বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা সারা বছরই কাজ করছি। এ বছর বর্ষার আগেই ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করছি। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। বিটিআই আনার জন্য গত বছর উদ্যোগ নিয়েছিলাম, ঠিকাদার প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তাকে কালো তালিকাভুক্ত করাসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে আমরা বিটিআই আনার বিষয়টি বন্ধ না করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নিজেরাই সরাসরি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে। দ্রুতই বিটিআই আনতে পারব। প্রথমবারের মতো এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি নগদ টাকায় কিনে নিচ্ছি। কার্যকরভাবে ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন বাফেলো টারবাইন নিয়ে আসব, এটি প্রক্রিয়াধীন। সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সেবার পরিসর বাড়িয়েছি। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। গুলশান-১ ও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্মার্ট পার্কিং চালু করেছি। গুলশান-২ এ এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ভিত্তিক ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর মাধ্যমে প্রমাণ করেছি ডিএনসিসি ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল বাস্তবায়নে সক্ষম। আরও ছয়টি স্থানে এআই ভিত্তিক ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে অনলাইন সেবার পরিসর বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছি।
সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইচ্ছা ছিল কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, একটি স্মার্ট জবাইখানা করার ইচ্ছা আছে। আমি দ্রুতই এটি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেব। এছাড়াও গাবতলীতে বৃক্ষ ও প্রাণী হাসপাতাল নির্মাণ করার ইচ্ছা রয়েছে।
তিনি বলেন, শহরের পরিবেশ রক্ষায় দুই বছরে দুই লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। গত বছর ৯০ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছে। আমরা বৃক্ষরোপণকে গুরুত্ব দিয়ে ৪৭ জন মালি নিয়োগ দিচ্ছি। দুইজন সুপারভাইজার নিয়েছি। এই বছর আরও দেড় লাখ গাছ রোপণ করা হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে খালি জায়গায় শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে: ডিএনসিসির বর্জ্য প্রদর্শনীতে মেয়র
বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে: মেয়র তাপস
৬ মাস আগে