দক্ষ মানবসম্পদ
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউসেফ বাংলাদেশ কাজ করছে: স্পিকার
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউসেফ বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউসেফ নামে কর্মজীবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের নেতৃত্বে সংসদীয় দল রাতে জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে
বুধবার শাহবাগস্থ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব কনভেনশন হলে ইউসেফের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও বিকাশের পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। যুব সমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান সুযোগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তরুণ প্রজন্ম নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে ইউসেফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অসচ্ছল পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আজ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন- এটাই ইউসেফের সফলতা।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অনবদ্য প্লাটফর্ম নারী স্পিকারদের সামিট: স্পিকার
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার: স্পিকার
৭ মাস আগে
জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষতা উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার জনসংখ্যা নীতি ২০১২ যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা জনসংখ্যা নীতি ২০১২ হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন নীতিমালায় ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, যা ২০৪১ থেকে ২০৬১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এতে দক্ষতা উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
'আইসিপিডি ৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এটি বিশ্বের পরিবর্তনশীল জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।
বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান এবং ইউএনএফপিএ যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগের ফলে ২০২৩ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ উৎপাদনশীল।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ২৯ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
তিনি বলেন, ‘প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ২০২৩ সালে আমরা ৫৮ লাখের বেশি প্রবীণ নাগরিকের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছি।’
এছোড়াও অসহায় নারী, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, বিধবা, প্রতিবন্ধী, হিজড়া জনগোষ্ঠী এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ দুর্বল জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমরা সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোনো নাগরিক এই পেনশন সুবিধা নিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: মা ও নবজাতকদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২০২১ সালের মধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প' বাস্তবায়ন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অগ্রসর হচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ চিহ্নিত করেছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ।
এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা আমাদের সমাজকে, বিশেষ করে যুবসমাজকে আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
৭ মাস আগে