রূপান্তরে নীতিমালা
জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষতা উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার জনসংখ্যা নীতি ২০১২ যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা জনসংখ্যা নীতি ২০১২ হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন নীতিমালায় ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, যা ২০৪১ থেকে ২০৬১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এতে দক্ষতা উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
'আইসিপিডি ৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এটি বিশ্বের পরিবর্তনশীল জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।
বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান এবং ইউএনএফপিএ যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগের ফলে ২০২৩ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ উৎপাদনশীল।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ২৯ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
তিনি বলেন, ‘প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ২০২৩ সালে আমরা ৫৮ লাখের বেশি প্রবীণ নাগরিকের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছি।’
এছোড়াও অসহায় নারী, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, বিধবা, প্রতিবন্ধী, হিজড়া জনগোষ্ঠী এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ দুর্বল জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমরা সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোনো নাগরিক এই পেনশন সুবিধা নিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: মা ও নবজাতকদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২০২১ সালের মধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প' বাস্তবায়ন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অগ্রসর হচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ চিহ্নিত করেছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ।
এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা আমাদের সমাজকে, বিশেষ করে যুবসমাজকে আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
৭ মাস আগে