ক্ষতিকর প্রভাব
পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ও এসইউপির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সরে আসা সময়ের দাবি: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পলিথিন ও এসইউপির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সরে আসা এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পরিত্যাগ করে পৃথিবীকে সবার জন্য নিরাপদ করতে হবে। নিষিদ্ধ পলিথিন বর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হওয়ার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বৃক্ষরোপণ, পলিথিন ও এসইউপি বর্জন বিষয়ক আলোচনা এবং প্রকৃতি চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গাছ প্রকৃতি প্রদত্ত সুরক্ষা কবচ। তাই গাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিদেশি প্রজাতির গাছ আর প্রমোট করা যাবে না।’
আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কনের আয়োজনের কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি সচেতনতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ প্রকৃতি সংরক্ষণের পথকে আরও সুদৃঢ় করবে।
অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা (প্রশাসন), প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন বা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
২ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবুজায়ন জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সারাদেশে সবুজায়ন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী
তিনি বলেন, বিশেষ করে শহরে বাড়ির ছাদসহ অন্যান্য স্থানে কিভাবে গাছ লাগানো যায়, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
সোমবার(২০ মে) মন্ত্রণালয়ের ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২২ ও ২০২৩’ পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্তকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নত বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে মনোযোগ দিতে পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বৃক্ষরোপণ অভিযান জোরদারের অংশ হিসেবে বিলুপ্তপ্রায় বৃক্ষ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সহব্যবস্থাপনা ও সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে বন ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। ফলে বন ও বনভূমি অনেক বেশি টেকসই হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বনভূমিতে ব্যাপকভাবে বনায়ন করে বনের আচ্ছাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বনভূমি উজাড় রোধে জবরদখলকৃত বনভূমি চিহ্নিত করার পর তা উদ্ধার করা হচ্ছে এবং বনায়ন করা হচ্ছে।
সাবের চৌধুরী বলেন, বন ও বনভূমি রক্ষায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বন ও বনভূমির ডিজিটাল বাউন্ডারি ম্যাপিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে বনভূমি জবরদখল চিহ্নিত করা সহজ হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, জাতীয় কমিটির সদস্য আরমা দত্ত, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানমসহ কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৭ মাস আগে