ঘূর্ণিঝড় রেমাল
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজারে প্রস্তুত ৬৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজারে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। এছাড়া খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।
এছাড়া ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২ হাজার ২০০ সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার (২৫মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের কার্যালয়ে শহীদ জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
এসময় মুহম্মদ শাহীন ইমরান দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রস্তুতির তথ্য শোনার পর বলেন, সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি হোটেল-মোটেল জোনও যেন প্রয়োজন মোতাবেক দুর্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ায় সেই অনুরোধ করেন। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, ফায়ার সার্ভিসকে জরুরি রেসকিউর জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় ধস এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে তাদের সরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের বলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খাবার ও খিচুড়ির ব্যবস্থা করতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, হামুন, মোখাসহ অনেক ঘূর্ণিঝড় আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করেছি। এবারও আশা করছি সবাই একসঙ্গে কাজ করব। প্রান্তিক মানুষদের সচেতনতা ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে নিরাপদে রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়াও রাতে রিচার্জেবল লাইট ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
জেলা সিপিপির উপপরিচালক বলেন, সচেতন রয়েছে ৭টি উপজেলায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা। ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক পুরো কক্সবাজার জেলা-উপজেলায় কাজ করছে। ১৩০০ ভলান্টিয়ার কক্সবাজারে রয়েছে। ৪ নম্বর সিগন্যাল পাওয়ার পরপরই প্রচারণায় বেরিয়ে পড়বে স্বেচ্ছাসেবক দল। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টের ৮৮০ ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে। প্রতি উপজেলায় ৫০ জন করে কর্মী রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২২শ' সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য।
দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে ৪৮৬ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ঢেউটিন ২৩ বান্ডিল, টিনের সঙ্গে গৃহ নির্মাণ সামগ্রীর ৬৯ হাজার টাকা মজুত রয়েছে। তবে শুকনা খাবার মজুত নেই।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’: আতঙ্কে বাগেরহাটের উপকূলবাসী
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন।
প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র, তিনটি মুজিব কিল্লা ও পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে: বিএমডি
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সতর্ক থাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিপৎসংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন।
শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৬০৪ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, এসব সাইক্লোন শেল্টারে মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জনকে আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে।
এদিকে কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান খুলনা জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’: আতঙ্কে বাগেরহাটের উপকূলবাসী
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত: হাইকমিশনার
৬ মাস আগে