রেমাল
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে নিম্নচাপটি, বন্দরে ৭ নম্বর সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির ঘূর্ণঝড়-সংক্রান্ত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর সর্তক দেখাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমান উত্তর-পশ্মিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আতঙ্ক, প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘুর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালের’ প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সাতক্ষীরায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সাতক্ষীরায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলবর্তী শ্যামনগরে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।
এছাড়া সুন্দরবনসংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিতে ১৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় বনবিভাগের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জেলেদের নিরাপদ স্থানে ফিরে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’: আতঙ্কে বাগেরহাটের উপকূলবাসী
বুড়িগোয়ালীনি গ্রামের সাহেব আলী বলেন, শনিবার জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত বেশি হয়েছে। পূর্ব সতর্কতা থাকায় পাশ্ববর্তী খোলপেটুয়া, মালঞ্চ, আড়পাঙ্গাশিয়া নদীসমুহের জেলেরা শনিবার মাছ ধরতে নামেনি। এছাড়া সাগর ও সুন্দরবনে অবস্থানরত জেলেরা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনসহ সব টহলফাঁড়িতে অবস্থানরত বনকর্মীদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন ও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের লোকালয়ে ফিরতে পরামর্শ দিয়ে তাদের উদ্ধারে বনকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনসংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্যামনগরকে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১২৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ থেকে ৮টি পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমটিার ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে মাটি ফেলে উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ভাঙন ও ধস ঠেকানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম বলেন, উপজেলার ১৬৯ আশ্রয়কেন্দ্রকে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৬০০ স্বেচ্ছাসেবীকে জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় তৈরি থাকার জন্য বলা হয়েছে। শুকনা খাবারসহ নগদ অর্থ মজুদ রাখা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজারে প্রস্তুত ৬৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজারে প্রস্তুত ৬৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজারে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। এছাড়া খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।
এছাড়া ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২ হাজার ২০০ সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার (২৫মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের কার্যালয়ে শহীদ জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
এসময় মুহম্মদ শাহীন ইমরান দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রস্তুতির তথ্য শোনার পর বলেন, সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি হোটেল-মোটেল জোনও যেন প্রয়োজন মোতাবেক দুর্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ায় সেই অনুরোধ করেন। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, ফায়ার সার্ভিসকে জরুরি রেসকিউর জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় ধস এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে তাদের সরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের বলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খাবার ও খিচুড়ির ব্যবস্থা করতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, হামুন, মোখাসহ অনেক ঘূর্ণিঝড় আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করেছি। এবারও আশা করছি সবাই একসঙ্গে কাজ করব। প্রান্তিক মানুষদের সচেতনতা ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে নিরাপদে রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়াও রাতে রিচার্জেবল লাইট ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
জেলা সিপিপির উপপরিচালক বলেন, সচেতন রয়েছে ৭টি উপজেলায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা। ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক পুরো কক্সবাজার জেলা-উপজেলায় কাজ করছে। ১৩০০ ভলান্টিয়ার কক্সবাজারে রয়েছে। ৪ নম্বর সিগন্যাল পাওয়ার পরপরই প্রচারণায় বেরিয়ে পড়বে স্বেচ্ছাসেবক দল। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টের ৮৮০ ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে। প্রতি উপজেলায় ৫০ জন করে কর্মী রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২২শ' সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য।
দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে ৪৮৬ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ঢেউটিন ২৩ বান্ডিল, টিনের সঙ্গে গৃহ নির্মাণ সামগ্রীর ৬৯ হাজার টাকা মজুত রয়েছে। তবে শুকনা খাবার মজুত নেই।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’: আতঙ্কে বাগেরহাটের উপকূলবাসী
৬ মাস আগে
বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আতঙ্ক, প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’মোকাবিলায় বাগেরহাটের ৯টি উপজেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
এদিকে উপকূলজুড়ে শঙ্কায় রয়েছে বেড়িবাঁধের পাশে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা। তারা নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দেড় ফুট পানি বেড়েছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে।
এদিকে বন্দরে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজকে চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপদ দূরত্বে নোঙর করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫১ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার মজুত রাখা হয়েছে। জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সিপিপির ৩ হাজার ১৮০ জন সদস্য এবং রেডক্রিসেন্ট, রোভার, বিএনসিসি, সেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রায় ৫০০ সদস্য প্রস্তত রয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া বিভাগের সংকেতের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়েছে।
কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী ও নৌযান সমূহ ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন উপকূলীয় অঞ্চলে জনসচেতনাতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
জনসচেতনতামূলক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুন্দরবন উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় কোস্টগার্ড স্টেশন এবং আউটপোস্ট সমুহ মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদজনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়ের জন্য সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে: বিএমডি
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’: আতঙ্কে বাগেরহাটের উপকূলবাসী
৬ মাস আগে