ভাইয়ের মৃত্যু
নড়াইলে ভাইয়ের মারধরে ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের মারধরে টোকন মীর (৬০) নামে আরেক ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তিনি কৃষিকাজে জড়িত ছিলেন।
বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের করফা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
চাচাত ভাই ফেরদৌস মীর লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের করফা গ্রামের বাসিন্দা এবং নিহত টোকন মীর লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামের মৃত নবাব মীরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালে তুচ্ছ ঘটনার জেরে টোকনের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই ফেরদৌসের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ফেরদৌস মীর, রিজ্জাক মীর ও তার ছেলেসহ অন্যান্যরা মিলে টোকন মীরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় দূর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছ্যানদা দিয়ে কুপিয়ে টোকন মীর, তার স্ত্রী, ছেলে রুবেল ও রাজু মীরকে গুরুতর আহত করে।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে টোকন মীরের অবস্থা অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টোকন মীর মারা যান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর পরই লোহাগড়া থানা পুলিশ, নড়াইলের পুলিশ সুপার ও উপজেলা বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থল করফা গ্রাম পরিদর্শন করেছেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ও ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
২১১ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় অভিযানকালে জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যু, ৩ পুলিশ অবরুদ্ধ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পুলিশের অভিযানের সময় রফিকুল ইসলাম দুদু নামে জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় উপপরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এরপর পুলিশক সদস্যদের গ্রামের বাজারের একটি দোকানে জাসদের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া থেকে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধ তিন পুলিশকে উদ্ধার করে।
নিহত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫)। তিনি একই গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় একজন চায়ের দোকানদার ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদগ্রামের ৪ নম্বর সেতুর কাছে রফিকুলের চায়ের দোকান। সন্ধ্যায় ভেড়ামারা থানা-পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালালে বাঁচতে সেতু থেকে লাফ দেন রফিকুল। পুলিশ সেখানে ধাওয়া করে তাকে আটক করে। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, রফিকুল ইসলাম দুদুকে রাত ৭টা ৩৮ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জিপগাড়ি উল্টে যুবকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহমান বলেন, একজনকে সেতুর ওপরে মারতে দেখি। এগিয়ে গেলে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সেতুর থেকে ১০ ফুট নিচে ফেলে দেয় রফিকুলকে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে দেখে যে, সেতুর নিচে এক পুলিশ রফিকুলের জামার কলার ধরে বসানোর চেষ্টা করে। এরপর পরই বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিহতের ছোট ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, রফিকুল কোনো মামলার আসামি নয়। মামলার কোনো ওয়ারেন্টও দেখাতে পারেনি পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন দাবি করেন, রফিকুল ইসলাম দুদু নিরাপরাধ। জনতার রোষে তিন পুলিশের জীবন বিপন্ন হতে পারত। আমি ও নিহতের ভাই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আবদুল খালেক বলেন, কেন পুলিশ সেখানে গিয়েছিল সেটার তদন্ত করে দেখা হবে।
এছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে যাওয়া পুলিশদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ ঘটনার জন্য যদি কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকেন, তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
৩৫৬ দিন আগে
ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে চলে গেলেন ছোট বোনও
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ছোট বোন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে নিজ বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত বড় ভাই আরজুল্লা (৫০) দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের শাহাবুদ্দিন ভিকুর বড় ছেলে।
আারও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
আর ছোট বোন নাহার খাতুন (৪৩) একই ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের মিজা কল্লার স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নাহার খাতুন ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ছুটে আসেন ভাইয়ের বাড়িতে। ভাইয়ের মৃত্যুতে কান্না কাটির এক পর্যায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তারও মৃত্যু হয়।
কুড়োলগাছি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন দুই ভাই বোন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আারও পড়ুন: নাফ নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
৪৪২ দিন আগে
বীরগঞ্জে পুকুরে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে লিমন (৩) এবং তাহেরুল ইসলাম (৩) দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার(২৭ মে) বিকালে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু লিমন ওই গ্রামের শাহিনুর ইসলামের ছেলে এবং এবং তাহিরুল ইসলামএকই গ্রামের দুলাল ইসলামের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
জানা গেছে, সোমবার বিকালে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে বাড়ির পাশে পুকুরে বসে খেলছিল তারা। খেলার একপর্যায়ে পুকুরে নামলে পুকুরের পানিতে ডুবে যায় দুজনে। পরে প্রতিবেশীরা পুকুরের পানিতে তাদেরকে ভাসতে দেখলে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন এসে তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, শিশু দুইটি অকাল মৃত্যুর শিকার হয়েছে।
৫৫৭ দিন আগে