ইজিবাইকচালক
বগুড়ায় মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে ইজিবাইকচালকের মৃত্যুর অভিযোগ
বগুড়ার শাজাহানপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে এক ইজিবাইকচালকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের কমলাচাপড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বাবা-ছেলের ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু
নিহত আফসার আলী (৫৫) উপজেলার খরনা কমলাচাপড় গ্রামের মৃত সফির উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় ইজিবাইকচালক ছিলেন।
নিহতের জামাই বলেন, আমার শশুরের সঙ্গে কী কারণে এবং কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানি না।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম বলেন, মাদকসেবী রেজাউল করিম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে অভিযানে সেনা কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
২ মাস আগে
নিখোঁজের ১০ দিন পর ইজিবাইকচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার মিরপুরে জিকে খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত এক ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার বাইপাস সড়কের রোজ হলিডে পার্ক সংলগ্ন জিকে (পানি উন্নয়ন বোর্ডের)খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশটি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং-এ ব্লক এলাকার নিখোঁজ ইজিবাইক চালক শাহিনুল হক লিটনের (৪৭) বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
লিটন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং-এ ব্লক এলাকার মৃত ইজাবুল হকের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার (১৮ মে) বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন লিটন।
পুলিশ বলছে শরীরে লাল গেঞ্জি ও জিন্স প্যান্ট দেখে তার ছেলে নিশ্চিত হয়েছেন যে এটা তার বাবার লাশ।
নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী মোছা. মনিরা হক বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জিকে ক্যানালে একটি অর্ধগলিত লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। প্রথমে লাশটি দেখে তাকে কেউ চিনতে পারেনি। পরে নীল নামে এক কিশোর নিহতের পোশাক দেখে শনাক্ত করে লাশটি তার বাবা লিটনের।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার (১৮ মে) বিকালে বাড়ি থেকে ব্যক্তিগত ইজিবাইক নিয়ে বের হয় লিটন। এরপর থেকে তাার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরিবার জানায়, নিখোঁজের দিন ইজিবাইক নিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকার দিকে যান লিটন।
নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা জানান, লিটন নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবার থেকে সাধারণ ডায়েরি করেছিল। পরে গত ২৫ মে নিখোঁজ লিটনের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মডেল থানায় মামলা করেছেন।
নিহতের স্ত্রী বলেন, ছেলে লাশের কাছে গেছে। সে পরনের প্যান্ট,জামা ও রং দেখে আমাকে জানিয়েছে যে ওটি তার বাবার লাশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, লাশটি দেখে মনে হচ্ছে কয়েকদিন আগেই ক্যানালের মধ্যে কচুরিপানার নিচে ফেলে রাখা হয়েছিল। লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার শরীরে লাল গেঞ্জি, জিন্স প্যান্ট পরা ছিল। পরিহিত পোশাক ও রং দেখে লাশটি নিখোঁজ ইজিবাইক চালক লিটনের শনাক্ত করেছে তার পরিবার। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত চলমান রয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত রির্পোট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার, আটক ২ নারী
৬ মাস আগে