অনুপাত
কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জন্য কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭-৮ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করছে।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) মতে, ২০২০ সালে কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর গড় অনুপাতের (১৯.১%) চেয়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কম।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাজেট ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিতে চায় সরকার
বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, আয়কর একটি দেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ চালিকাশক্তি এবং দেশে সমাজ ও অর্থনীতির সমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মন্ত্রী বলেন, করের বোঝা সমানভাবে সবার ওপর বণ্টনের জন্য প্রত্যক্ষ কর সাধারণত একটি ক্রমবর্ধমান নীতিতে আরোপ করা হয়, যেখানে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের তুলনায় বেশি হারে আয়কর দেয়।
আয়ের পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আয়কর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংগৃহীত মোট রাজস্বের প্রায় ৩৫ শতাংশই আসে আয়কর থেকে। দেশে আয়কর সংগ্রহের গড় প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশের বেশি। করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক যুদ্ধের কারণে ধীরগতি সত্ত্বেও এই প্রবণতা বাড়ছে।
মাহমুদ আলী বলেন, ‘কল্যাণমুখী ও জনবান্ধব আয়কর সংস্কার এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।’
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি, রাজস্ব বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, সম্পদের পুনর্বণ্টন ও বৈষম্য হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, দেশীয় শিল্প সংরক্ষণ ও প্রসার, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণে নীতি ও কর সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
‘দেশে একটি শক্তিশালী কর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর আদায়ের ক্ষেত্রে করদাতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব করনীতি অনুসরণ করছে বর্তমান সরকার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই নীতির মূলকথা হলো অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করে করের বোঝা ধীরে ধীরে হ্রাস করা এবং কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করা; সেইসঙ্গে করদাতাদের আরও ভালোভাবে নীতিগুলো মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা।’
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী করদাতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব আয়কর নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে রাজস্বে প্রত্যক্ষ করের অবদান ৪২ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার প্রচেষ্টা চলছে।’
‘এরই ধারাবাহিকতায় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিজিটাল রূপান্তর, ট্যাক্স-নেট সম্প্রসারণ, প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রমও চলমান’, বলেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যাগেজ নিয়মে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ আর অনুমোদিত নয়
ফায়ার সার্ভিসের নতুন হটলাইন নম্বর ১০২ চালু
৬ মাস আগে