অ্যামটব
এক এনআইডি দিয়ে সর্বাধিক পাঁচটি সিম নিবন্ধনের খবর ভুয়া
সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে একটি জাতীয় পরিচপত্র (এনআইডি) দিয়ে পাঁচটির বেশি সিম নিবন্ধন করা যাবে না বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে মোবাইল টেলিকম অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ৫টিতে কমানোর তথ্য সঠিক নয় ও বিভ্রান্তিমূলক। এ ধরনের ভুল তথ্য গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ তৈরি হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে অ্যামটব জানিয়েছে, আমরা মনে করি, গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইলের অপব্যবহার, জালিয়াতি বা অপরাধ রোধে শুধু সিম সংখ্যা সীমিত করাই কার্যকর উপায় নয়। বরং যথাযথভাবে গ্রাহক পরিচিতি যাচাইকরণ, তাৎক্ষণিক (রিয়েল-টাইম) নজরদারি, তথ্য বিশ্লেষণ এবং উন্নত জালিয়াতি শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অনেক বেশি কার্যকর।
বৈধ ব্যবহারকারী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করলে উল্টো তারা অনানুষ্ঠানিক বা অনিয়ন্ত্রিত চ্যানেলের দিকে ঝুঁকতে পারেন যা নিরাপত্তার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ খাত গ্রাহকের অধিকার ও পছন্দের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি ব্যক্তি, উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবার অগ্রযাত্রায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের টেকসই ডিজিটাল ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য শিল্পটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে যেন এ সংক্রান্ত নীতিগুলো নিরাপত্তা, প্রবেশাধিকার, উদ্ভাবন এবং গ্রাহক অধিকারের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপে টেলিকম শিল্পের ওপর চাপ বাড়ছে: অ্যামটব
মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করার সরকারি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) অ্যামটবের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপটি টেলিকম শিল্প এবং মোবাইল গ্রাহক উভয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুল্কের এই বৃদ্ধি ভয়েস এবং ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যয় বাড়াবে। যা ব্যবহারকারীদের উপর বিশেষ করে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে এটি সম্ভাব্যভাবে মোবাইল পরিষেবা ব্যবহার হ্রাস করতে পারে। ফলে ব্যবসায়কে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় হ্রাস করবে।
আরও পড়ুন: যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিম কার্ডের ওপর উচ্চ ভ্যাট নতুন ব্যবহারকারীদেরকে নিরুৎসাহিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে মোবাইল সংযোগের প্রবৃদ্ধিকে আরও কমিয়ে দেবে, যেখানে জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ মানুষ এখনো মোবাইল ব্যবহার করে না।
এমটব জোর দিয়ে বলেছে, এই পদক্ষেপগুলো দেশের সামগ্রিক ডিজিটালাইজেশনকে বাধাগ্রস্ত করবে, জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এই উদ্বেগ থেকে এমটব সরকারকে এই দায়িত্বগুলো পুনর্বিবেচনা করার এবং তাদের পূর্ববর্তী টেলিকম বাজেটের সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিয়ে শিল্পকে সহযোগিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দিকে অব্যাহত অগ্রগতি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ল
৫৭২ দিন আগে