যুগান্তকারী পদক্ষেপ
বিচার বিভাগের দক্ষতা-সক্ষমতা বাড়াতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে আরও বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। যার অন্যতম হলো মাদারীপুরের শিবচরে ৩৭ দশমিক ২৭ একর জমির উপর বিশ্বমানের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠা।
তিনি বলেন, এ একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আশা করছি, এই টাকা দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করে আগামী অর্থবছরে জুডিসিয়াল একাডেমির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা সম্ভব হবে।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৬তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে কক্সবাজারে একটি বিশ্বমানের রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ৩ দশমিক ৩৪ একর ভূমি বরাদ্দ দিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আরও দুইটি অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া ঢাকায় বিদ্যমান চারটি অর্থঋণ আদালতের পাশাপাশি আরও তিনটি অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আদালত সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৬তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির শত্রু হিসেবে খ্যাত খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী।
তাই ঋণখেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি আরও কার্যকরভাবে অনুসরণের পরামর্শ দিয়ে বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ মামলার শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপণ রোধ করতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, অর্থঋণ আদালত আইনের ৪৬ (৫) ধারা মতে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আদালত, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (আর্থিক প্রতিষ্ঠান/ব্যাংকার) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিয়মিত সমন্বয় সাধন এবং বাদীপক্ষ/ডিক্রিদার পক্ষের সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এছাড়া ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ মঞ্জুরির বিষয়ে জবাবদিহি ও ঋণ আদায়ে বাদীপক্ষের দায়-দায়িত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কেবল ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ রেখেছে ২ হাজার ২২ কোটি টাকা। এর বাইরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জন্যও বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৪৮ কোটি টাকা।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক শেখ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে: আইনমন্ত্রী
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
৪ মাস আগে