লোকবল
লোকবল না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চালানোর মতো লোক না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন কোনো যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা দিয়ে মেডিকেলের যন্ত্রপাতি কিনছে। কিন্তু সেগুলো সংরক্ষণ বা পরিচালনার জন্য বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো পদ নেই।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব যন্ত্রপাতি চালানোর মতো লোক আছে, শুধু সেসবই কেনা হবে।
রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: প্রধান লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগে দেখব হাসপাতালে ওই যন্ত্র চালানোর মতো কোনো লোক আছে কি না। যদি থাকে তবে আমি কিনব, না হয় কিনব না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। আমি আমার যে হাসপাতাল তৈরি করেছি, সেখানেও একটা পোস্ট রেখেছি বায়োমেডিকেলের, আমরা এ বিষয়ে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি প্রাইমারি হেলথ কেয়ারকে ইমপ্রুভ করতে পারি, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মায়েদের যদি বোঝাতে পারি, তারা যেন হাসপাতালে এসে ডেলিভারি করায়, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে পারব বলে আমি মনে করি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাচ্চাদের পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে আজকে আমরা একটা মিটিং করলাম। আমরা যদি গ্রামে আঁচল নামে শিশুদের চাইল্ড কেয়ার করি, মায়েরা যখন কাজ করে তখন সেখানে বাচ্চারা থাকবে। এ বিষয়ে আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেগুলো নিয়ে আমি কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে বলেছি, প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতালের ভবন, ডাক্তারদের থাকার ব্যবস্থা, ওটি- এগুলোকে যেন মানসম্মত করা হয়। তাহলে, তখন আমি ডাক্তারকে চাপ দিতে পারব।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনেক সমস্যা রয়েছে। আমি সেখানে গতকাল (শনিবার) গিয়েছিলাম। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল, অত্যাধুনিক একটি হাসপাতাল পড়ে আছে। আমরা এ সপ্তাহে এগুলো নিয়ে বসব।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নিয়োগ হয়েছে কি না আমি জানি না, কাগজপত্র দেখে এ নিয়োগগুলো কেন স্থগিত হয়েছে, যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা কেন কাজ করতে পারছে না, তা আমরা খতিয়ে দেখব। খতিয়ে দেখে দ্রুত এটির সুরাহা করার চেষ্টা করব।
ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপের আশ্বাস
ইচ্ছে মতো ওষুধের দাম না বাড়াতে সম্প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ওষুধের দাম বাড়ানো বা না বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য আদালতকে নির্দেশনা দিতে হয়।
সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এটার ব্যাপারে একটা বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। সেটা এ মুহূর্তে এখানে বলব না।
তিনি আরও বলেন, আমি একবার না কয়েকবারই বলেছি- ওষুধের দাম যেন না বাড়ে। সরকার যে খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে এর বাইরে গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি বলেছি। এটা আমি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখব।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে