কোটা পুনর্বহাল
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ২ ঘণ্টা অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ নগরজলফাই বাইপাস এলাকায় মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে তা সরিয়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন শরীফ বলেন, অবরোধের খবর শুনে আমরা সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলি। এরপর শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ তুলে নেয়।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
৩ মাস আগে
কোটা পুনর্বহাল: বাকৃবিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ
সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে হাইকোর্টের ওই রায়কে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে মানববন্ধন করেন বাকৃবির প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না; সুযোগের সমতা, সংবিধানের মূল কথা; কোটার কাছে মেধার হার, রুখতে হবে আরেকবার; বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই;’ স্লোগান দিতে থাকে।
ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদের মেহেদী হাসান তানজিল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শব্দটাকে বিচ্ছেদ করলে আমরা শুধু মুক্তিই পাই, কোথাও বৈষম্য দেখতে পাই না। স্বাধীনতার এত বছর পরেও নতুন করে কোটা বৈষম্য তৈরি করা হলে সেটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গেই সাংঘর্ষিক।
তিনি আরও বলেন, ‘তাছাড়া আমরা জানি কোটা মূলত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের একটা মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে যারা কোটা সুবিধার আওতাধীন, তাদের মধ্যে কেবল প্রতিবন্ধী ও আদিবাসী ছাড়া কেউই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আওতায় পড়ে না। বিশেষ বিবেচনায় অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা যেতে পারে। তবে সেটা কখনোই ৫ শতাংশের বেশি হওয়া উচিৎ নয়।’
ভেটেরিনারি অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম মিশু বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। তবে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবার ৫৬ ভাগ কোটা পদ্ধতির মধ্যে পড়ে যাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেধা কাজে লাগিয়ে যোগ্য চাকরি পাওয়ার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এই কোটা পদ্ধতি। আমরা চাই মেধার ভিত্তিতে যেন সব শিক্ষার্থী দেশের মূল চালিকা শক্তিতে প্রবেশ করতে পারে।’
মো. ইরান মিয়া নামে পশুপালন অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসেও সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির পুনর্বহাল বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের সঙ্গে চরম বৈষম্যের প্রতিফলন। প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখা যেতে পারে। বৈষম্যমূলক এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার না করলে সারা বাংলার ছাত্রসমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
আরেক শিক্ষার্থী নূর-ই-হাফিজা বলেন, দেশের প্রথম শ্রেণির চাকরিগুলোতে মেধার ভিত্তিতে একজন যোগ্য প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া উচিত। মেধার যথাযথ সম্মান না করলে দেশ অচিরেই মেধাশূণ্য হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরদিন থেকেই ওই রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে ৪০ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা
বাকৃবিতে ন্যাশনাল ক্যারিয়ার কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত
৪ মাস আগে