নেতিবাচক
গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা সংসদ সদস্যের
অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের কারণে নতুন প্রজন্ম পঙ্গু হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
শনিবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অ্যাপ তৈরি করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার নিষ্ক্রিয় করতে পারে কি না, সে বিষয়ে পরামর্শ দেন কুমিল্লা-৭ আসনের এই সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল টাওয়ার ফ্রিল্যান্সিং ছাড়া অন্য কোনো কাজে বা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বিকল্প পথ হিসেবে কেন ব্যবহার করা হয় না- সেটিও আমাদের খতিয়ে দেখা উচিত।’
আরও পড়ুন: ৫ সদস্যের জাতীয় সংসদের প্যানেল সভাপতি মনোনীত
তা না হলে ১০ বছর বয়স থেকে শুরু করে তার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সবাই কানে কম কথা শোনার অভিযোগ করছেন বলে জানান প্রাণ গোপাল দত্ত।
তিনি আরও বলেন, মানুষ অভিযোগ করছে যে তারা শুনতে পারছে না, তারা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারছে না। তাই এমন কিছু উদ্ভাবন করা উচিত যাতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকে।
এই সংসদ সদস্য বলেন, স্বাস্থ্য খাত সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাত যেখানে পরীক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচ আকাশচুম্বী।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের উদ্ধৃতি দিয়ে দত্ত বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সরকারি খাতের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, 'এখন এটা (শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা) সারা বিশ্বে পণ্যে পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে টাকা থাকলে চিকিৎসা হবে, টাকা না থাকলে চিকিৎসা পাবেন না। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দেখাশোনা করার কেউ নেই।’
চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গবেষণা, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্যে বিশেষ নজরদারির আহ্বান সংসদীয় কমিটির
প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিক মোকাবিলা করছে : ইইউ রাষ্ট্রদূত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈধ বাকস্বাধীনতা এবং সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধে বিধিবিধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীতে ‘ডিক্যাব-টক’ এ অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা আমাদের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টের মাধ্যমে ইউরোপে এটি নিয়ন্ত্রণ করেছি। যেটি মেটার মতো প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তারা যদি ইন্টারনেট থেকে খুব দ্রুত ঘৃণামূলক বক্তব্য সরিয়ে না নেয়, তবে ইউরোপের বাজারে এর প্রভাব পড়বে।’
সহিংসতার বিস্তার রোধে প্ল্যাটফর্মগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচকতা মোকাবিলা করছে এবং সমাজে এটি প্রভাব ফেলছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, আরও কীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা চলছে এবং বাংলাদেশেও একই বিতর্ক চলছে।
হোয়াইটলি বলেন, ‘সুতরাং, অবশ্যই, আপনাদের ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) রয়েছে। আপনারা কীভাবে মিথ্যা তথ্য মোকাবিলা করবেন তা নিয়ে কথা বলছেন। তবে সবকিছুর মূল বিষয় হলো, আপনাদেরকে এমনভাবে এটি করতে হবে- যাতে বাকস্বাধীনতার অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে সংরক্ষণ ও সম্মান করা হয়।’
আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, একটি দায়িত্বশীল সরকারকে সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ করা এবং বৈধ বাকস্বাধীনতার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এরকম খুব সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনাটি পরিচালনা করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সবাই একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি। আর আমরা সেটাই করছি। আমাদের কিছু সদস্য রাষ্ট্রের ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে। নিঃসন্দেহে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। আপনারা জানেন, ইউরোপীয় আইনে আপনারা যা দেখেন তার চেয়ে নির্দিষ্ট ধরণের বক্তব্যের জন্য সহনশীলতার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। সুতরাং আমাদের ঐতিহ্য আছে, কিন্তু মূল কথা হলো আমাদের সবারই বাক স্বাধীনতা থাকা দরকার। আমাদের সমাজে নিরাপত্তা ও সুরক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। এটি একটি জটিল ধাঁধা।’
সংখ্যালঘু নেতা, সুশীল সমাজের সদস্য, যুদ্ধাপরাধবিরোধী প্রচারণাকারী, যুদ্ধের নায়ক ও শহীদদের পরিবারের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ উঠে থাকে যে ফেসবুক বাংলাদেশে ঘৃণামূলক বক্তব্য বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকের সর্বশেষ প্রতিবেদনটিও একই সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাছে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।
মেটার সর্বশেষ প্রতিবেদনটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট এবং ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েব টিম।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পর্যটন খাতে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী