বারিধারায় পুলিশ হত্যা
বারিধারায় পুলিশ হত্যার ঘটনায় ডিএমপির তদন্ত কমিটি গঠন
রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান গুলশান বিভাগের ডিসি রিফাত হোসেন শামীম বলেন, তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে কমিটির অপর দুই সদস্যের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এর আগে শনিবার রাতে বারিধারায় পুলিশ কনস্টেবল কাওসারের সহকর্মী মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ঘোষণা দেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: বারিধারায় সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত, পথচারী আহত
শনিবার রাত ১১টার পর পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ও কাওসার আলীর মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় কাওসার এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করলে মনিরুলের বুকে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখও আহত হন।
গোলাগুলির ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে আশেপাশের এলাকার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সোয়াট ও গোয়েন্দা শাখাসহ বিশেষ পুলিশ বাহিনী কাওসারকে নিরস্ত্র ও গ্রেপ্তার করতে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় নেয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন।
আরও পড়ুন: বারিধারায় পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত: যেসব বিষয় জানা গেছে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, মনিরুলকে গুলি করার পর কাওসার ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মনিরুলের প্রাণহীন লাশ দেখিয়ে কী হয়েছে জানতে চাইলে কাওসার দাবি করেন, তিনি (মনিরুল) 'ভান করছেন'।
এরপর কাওসার দূতাবাসের গেটের সামনের রাস্তায় সরে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করেন। ঘটনার সময় পাঁচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুন: বারিধারায় গুলিবর্ষণ: পুলিশ কনস্টেবলদের মধ্যে কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার
৫ মাস আগে