ফুচকা
যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ২ শতাধিক, বিক্রেতা গ্রেপ্তার
যশোরের অভয়নগরে ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফুচকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া এলাকা থেকে ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেন মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিন্টুর ছেলে।
অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাশ জানান, ঈদের দিন (৩১ মার্চ) ভৈরব ব্রিজের পূর্ব পাড়ে চটপটি ও ফুচকা বিক্রির অস্থায়ী একটি দোকান নিয়ে বসেন মনির হোসেন। সেখানে ঘুরতে যাওয়া বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুরা তার দোকান থেকে ফুচকা খান।
আরও পড়ুন: ঈদমেলায় ফুচকা খেয়ে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু হাসপাতালে
পরবর্তীতে গভীর রাত থেকে পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমি, ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করেন তারা।
ওসি বলেন, পরদিন (১ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
তিনি জানান, এ বিষয়টি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় ফুচকা দোকানিকে আটকের অভিযান শুরু করে থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অভিযান চালিয়ে ফুচকা বিক্রেতা মনিরকে আটকের পর মাওলানা তানজিম হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে থানায় নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা করেন।
এ মামলায়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে মনিরকে যশোর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে অভয়নগর থানা পুলিশ।
৩১ দিন আগে
ঈদমেলায় ফুচকা খেয়ে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু হাসপাতালে
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ঈদমেলায় ফুচকা খেয়ে সহস্রাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামে ঈদমেলার একটি অস্থায়ী দোকানের ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হন তারা।
তাদের মধ্যে ১০০ জনকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ফুচকা দোকানি মনির হোসেন পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ভৈরব নদের সেতুর ওপারে প্রতিবছর ঈদের দিন মেলা বসে। গ্রাম ও দুরদুরান্ত থেকে মানুষ ভৈরব সেতু দেখতে এবং শিশুদের বিনোদনের জন্য এ মেলায় আসেন। ঈদের দিন অনেকে সেখানে আসেন। মেলায় হরেকরকম খাবারের দোকান বসে। এখানেই মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি অস্থায়ী ফুচকার দোকান বসিয়েছিলেন। মেলায় বেড়াতে আসা শতশত মানুষ এ দোকানের ফুচকা খেয়েছিলেন।
নড়াইল সদর উপজেলার তপনবাগ গ্রাম থেকে ইব্রাহিম শেখের দুই মেয়ে রিমা খাতুন (২৮) ও আয়শা খাতুন (২৪) মেলায় আসেন। আয়শা খাতুনের সঙ্গে এসেছিল তার দুই ছেলে মোহাম্মদ আলী (৭) ও ওমর সরকার (৫)। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা সবাই ওই দোকান থেকে ফুচকা খান। রাতে বাড়ি যাওয়ার পর পেটে যন্ত্রণা, পাতলা পায়খানা, বমি ও খিচুনি শুরু হয়। অনেকে সেদিন রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: টানা ছুটিতে কীভাবে চলছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো
মঙ্গলবার (১এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। অসুস্থদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অসুস্থ বাদশা মিয়ার ভাই সাইফুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে সোমবার ঈদমেলায় গিয়ে ওই দোকান থেকে ফুচকা খেয়ে বাড়ি আসার পর থেকে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি ফুচকা খাইনি। সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ৪ জনকে খুলনায় ভর্তি করেছি।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রঘুরাম চন্দ্র বলেন, ‘খাবারে জীবাণু থাকার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। বেশিরভাগ রোগীর পেটব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
৩২ দিন আগে