১৪তম
‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে ১৪তম দূষিত শহর ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টার ৩৫ মিনিটে ১১৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (বুধবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু এবং ইরাকের বাগদাদ শহরগুলি যথাক্রমে ৩৯৮, ২৩৮ এবং ১৯২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা, ঝুঁকিতে মানবস্বাস্থ্য
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
৩২ দিন আগে
১৪তম গিফটস ফেয়ার: দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ বাংলাদেশের
মালয়েশিয়া গিফটস অ্যান্ড প্রিমিয়াম অ্যাসোসিয়েশন (এমজিপিএ) আয়োজিত ১৪তম মালয়েশিয়া গিফটস ফেয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ।
কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে চলমান ১৮ জুন থেকে ২০ জুন এ মেলায় মালয়েশিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের ২৮৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘গিফ্ট ফর সার্কুলার ফিউচার’।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উদ্যোগে ও বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশ অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন সফল করতে জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গিফটস ফেয়ারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য, অপ্রচলিত পণ্যের তথা পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও কিচেনওয়ার, ননওভেন ব্যাগ এবং হস্তশিল্প পণ্যসামগ্রী ইত্যাদি বাজার মালয়েশিয়ায় অন্বেষণ ও রপ্তানির সুযোগ তৈরি করা।
মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে, কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মদিনা নন উভেন ফেব্রিকস, কে.এম.আর ক্রাফট, সওদা ইন্টারন্যাশনাল, তরঙ্গ, উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ এবং যৌথভাবে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো।
মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টল সমূহে বিদেশি ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত পাটজাত পণ্যের প্রশংসা করেছেন অনেক দর্শনাথী।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর স্টলে ব্যবসা ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা ছাড়াও বাংলাদেশি বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বুধবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন ও মালয়েশিয়ায় তাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে হাইকমিশন বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’অনুসরণের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
পরিদর্শনের সময় মালয়েশিয়া গিফ্ট অ্যান্ড প্রিমিয়াম অ্যাসোসিয়েশনের (এমজিপিএ) প্রেসিডেন্ট ইভান লু, মেলার অর্গানাইসিং চেয়ারম্যান আলবার্ট চুং ও অপারেশন ম্যানেজার সুজানা, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মো. খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও প্রবাসী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশি স্টলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) হাইকমিশনে একটি মতবিনিময় কর্মসূচি রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে ৪০ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা
পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে যুব সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: পরিবেশমন্ত্রী
৩১৮ দিন আগে