দলীয় নেতাকর্মী
দলকে সুসংগঠিত করুন, ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে জনগণের আস্থা অর্জন করুন: দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সুসংগঠিত দল গঠনে কাজ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে প্রত্যেক নেতাকর্মীর কাছে আমি আহ্বান জানাই। সংগঠন শক্তিশালী হলে এবং জনগণের সমর্থন আদায় করতে পারলে সব ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দুঃখ-কষ্ট ও বারবার আঘাত উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সংগঠনকে সমুন্নত রেখেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
জনগণই ক্ষমতার প্রধান উৎস উল্লেখ করে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে দলের লোকদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে বলেই জনগণ তার দলকে বারবার ভোট দিয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় আজকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভিন্ন খাতে তার সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তার দলের প্রতি আস্থা রেখেছিল বলেই ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৩৩টি আসন লাভ করে।
তিনি বলেন, ‘এরপর বাংলাদেশের মানুষকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এটি ছিল বাংলাদেশিদের এগিয়ে যাওয়ার পালা।’
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সফলভাবে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন বলে যুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ দারিদ্র্যের হারও কমিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'আমরা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি বলেই আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদা অর্জন করেছে।’
বিভিন্ন সেক্টর ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ২০০৬ সালে বিএনপি শাসনের অবসান এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারের মধ্যে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১ শতাংশ থেকে বর্তমানে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইনশা-আল্লাহ বাংলাদেশে কোনো হতদরিদ্র থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বক্তব্য রাখেন।
এর আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
উদ্বোধনকালে পায়রা ও বেলুন ওড়ান শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের।
এসময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের সঞ্চালনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা এবং বিদেশি কূটনীতিকরা।
আরও পড়ুন: ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
৪ মাস আগে