পরিকল্পনা
‘উগ্রপন্থি কোনো সংগঠনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই’
নিষিদ্ধ উগ্রপন্থি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) সহ সব উগ্রপন্থী সংগঠনের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রবিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি সচিব-জেলা প্রশাসক নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন যা আমাদের নজরে এসেছে। তিনি এই সপ্তাহের শুরুতে দাবি করেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুটি গ্রুপের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তার এই দাবি সত্য নয়।
এতে আরও বলা হয়, গত কয়েক দশকে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই দুটি গ্রুপসহ অন্যান্য উগ্রপন্থি সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের নেই।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
৫ দিন আগে
ঢাকার খালগুলো দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার যেসব খাল এখনও উদ্ধার করা সম্ভব, সেগুলো দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘বিগত ১০০ বছরে ঢাকা শহরের নগর প্রতিবেশ, ভূমি ব্যবহার, জীববৈচিত্র্যে স্থানিক, সময়ানুক্রমিক পরিবর্তন ও কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ কর্মশালায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীতে পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, অবৈধভাবে দখল খাল উদ্ধারে রাজউককে প্রতি সপ্তাহে অভিযান করতে হবে। কোনো অন্যায়কে বৈধতা দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, খাল উদ্ধারে অভিযান বাড়াতে হবে। ঢাকার উন্মুক্ত মাটিতে ঘাস লাগাতে হবে। এ কাজে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকার নগর পরিকল্পনায় সবুজায়ন, জীববৈচিত্র্য ও জলাভূমি সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সবুজ ও জলাভূমি রক্ষায় সব বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
এছাড়া পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন বলেও জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এসময় বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার ও বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক ও পরিবেশকর্মীরা অংশ নেন।
কর্মশালার শেষে ঢাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর পরে উপদেষ্টা রাবার বাগান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সভা করেন। তাদের বিভিন্ন বক্তব্য শোনেন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
১ মাস আগে
বিমানের পরিকল্পনা ও ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পেলেন মমিনুল ইসলাম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (পরিকল্পনা ও ট্রেনিং) পদে দায়িত্ব পেলেন মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম।
রবিবার (১ সেপ্টেম্ব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে এপদে পদায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের শীর্ষ পদে রদবদল
মমিনুল ইসলামের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে রয়েছে সুদীর্ঘ ৩৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা।
এই দায়িত্বের আগে মমিনুল বিমানের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট), পরিচালক (গ্রাহক সেবা), পরিচালক (প্রশাসন) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
২ মাস আগে
‘২০৩০ সালের মধ্যে মাত্র ৪ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের পরিকল্পনা’
১০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে সরকারি দাবি থাকলেও পাওয়ার সেলের এক নথিতে দেখা যায়, ২০৩০ সালের মধ্যে মাত্র ৪ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ১ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এর মধ্যে ২৩০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ এবং ১ হাজার ৮০ দশমিক ৩৬ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ।
ইউএনবির হাতে আসা পাওয়ার সেলের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মোট ৩ হাজার ৯৬৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াট প্রকল্প বাস্তবায়নের নানা স্তরে রয়েছে। এর মধ্যে ৯৪৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াট প্রকল্প নির্মাণাধীন, ৬০৯ মেগাওয়াট লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) পেয়েছে, ২২৮ মেগাওয়াটের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন এবং ২ হাজার ১৮৩ মেগাওয়াট পরিকল্পনা গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল, ১ জুন থেকে কার্যকর
গত বছর এক আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ১০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
‘এনসিউরিং অ্যাক্সেস টু অ্যাফর্ডেবল, রিলায়েবল অ্যান্ড মর্ডার্ন এনার্জি সার্ভিসেস টুয়ার্ডস আ রিসাইলেন্ট সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি আরও বলেছিলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন জোরদারের লক্ষ্যে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা, সোলার ইরিগেশন রোডম্যাপ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির মতো উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন নসরুল হামিদ।
তবে পাওয়ার সেলের নথিপত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বর্তমানে মাত্র ১৫টি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণাধীন। এর মধ্যে চারটি সরকারি খাতে (১৫৩ মেগাওয়াট) এবং ১১টি বেসরকারি খাতে (৪০৮ মেগাওয়াট)।
সরকারি খাতের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- সিরাজগঞ্জ ২ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র
- বরিশাল ১ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ
- সোনাগাজী ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ
- মাদারগঞ্জ জামালপুর ১০০ মেগাওয়াট সোলার পার্ক
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
বেসরকারি খাতের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ (ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি বিডি)
- পাটগ্রাম লালমনিরহাট ৫ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (পিভি পাওয়ার পাটগ্রাম)
- সিলেট ৫ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (ইকি সুজি ও সান সোলা পাওয়ার)
- সুনামগঞ্জ ৩২ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (হাওর বাংলা, কোরিয়া গ্রিন এনার্জি)
- তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ (করতোয়া সোলার)
- বেড়া ৩.৭৭ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (সৌদি এগ্রো সোলার)
- পাবনা ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (ডায়নামিক সান এনার্জি)
- সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (বিসিআরইসিএল)
- মোংলা, বাগেরহাট ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ (মোংলা গ্রিন পাওয়ার)
- নারায়ণগঞ্জ ৬ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ (ইউডি গ্রিন এনার্জি)
- উত্তর ঢাকা ৪২.৫০ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ (ডব্লিউটিই পাওয়ার প্ল্যান্ট নর্থ ঢাকা প্রাইভেট লিমিটেড)
পাওয়ার সেলের এক কর্মকর্তা জানান, এসব প্রকল্পের বাইরে ৬০৯ মেগাওয়াটের মোট ১৩টি প্রকল্পের জন্য এলওআই ও এনওএ ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্পের (২২৮ মেগাওয়াট) দরপত্র প্রক্রিয়াধীন এবং ২৫টি প্রকল্প (২১৯৩ মেগাওয়াট) পরিকল্পনা গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ, বিশেষ করে সৌর ও জলবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন পাওয়ার সেলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
গত মার্চে নসরুল হামিদ বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল জরুরি: বক্তারা
৩ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বুধবার (৩ জুলাই) সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পিরোজপুর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. শামীম শাহনেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা অনেকাংশে বাড়বে। ফলে নিয়োগে প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে। এটি ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট না থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসি থেকে শুরু করে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে ২২ থেকে ২৩ বছরে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় তারা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পরও চাকরিতে আবেদন করার জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পান।
তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীর বয়সসীমা ৩০ বছরের মধ্যে আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১ থেকে ২ বছর সময় লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের ন্যূনতম বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি আসলে ওটার কাছাকাছি বিষয়।’
সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিবেদন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বয়স ও লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সি (২৩-২৫ শতাংশ) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং তার থেকে বেশি বয়সিদের গ্রুপে (২৯ বছরের বেশি) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বনিম্ন (১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।
মন্ত্রী আরও বলেন, অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করায় স্বাভাবিকভাবেই শূন্যপদের সংখ্যা কমেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বেশি হবে।
বয়সসীমা বাড়ানো হলে বর্তমানে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি তারা এ সুযোগ পাবেন। এতে ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: পাটের ব্যাগ বাজারে এনে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে: পাটমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩ মাস আগে
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল যোগাযোগ পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করতে রেলপথে যোগাযোগ গড়ে তোলার ভারত সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
এই উদ্যোগ দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে বলে দাবি করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে ২২ কিলোমিটার পথ বাইপাস করে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে (যা সাধারণত ‘চিকেন নেক’নামে পরিচিত) রেললাইন বসানো হবে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নেতারা
তিনি বলেন, ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহনের জন্য রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘নিশ্চয়ই বাংলাদেশের 'ডামি সরকারের' প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই এসব ঘটনা ঘটছে। এটা উদ্বেগজনক। আমরা এ ধরনের উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, যে ভারত প্রতিদিন সীমান্তে ‘বাংলাদেশিদের হত্যা’ করছে এবং বাংলাদেশিদের মানবাধিকার ও মানবিকতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহন করে, তা হলে দেশের সার্বভৌমত্ব খর্ব হবে।
রিজভী বলেন,‘এই সংযোগ স্থাপনের (রেল নেটওয়ার্ক) মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের চাবিকাঠি তাদেরই দেওয়া হবে, যারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে বৈরী মানসিকতা পোষণ করে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে স্বাধীন দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়বে।’
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা ফখরুলের
তিনি দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে রেল যোগাযোগের উদ্যোগ বাস্তবায়ন থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য ভারতের সঙ্গে অনেক গোপন চুক্তি করেছেন’ এবং এখন স্বাভাবিকভাবেই এসব চুক্তি সামনে আসছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে শেখ হাসিনা শুধুমাত্র নিজের অবৈধ ক্ষমতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই দেশের অভ্যন্তরে রেললাইন নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছেন। কারণ তিনি একটি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’
রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকার' জোর করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করতে শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে 'প্রভু-সেবক' সম্পর্কের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতকে উদারভাবে সব দেওয়ার পরিণতি হবে ভয়াবহ। অসহায় অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শিক্ষা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।’
রবিবার (১৬ জুন) টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে বিদ্যমান রুটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেলপথের একটি বিকল্প নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে যাচ্ছে ভারত। এটি ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি এলাকা যা উত্তরে নেপাল এবং দক্ষিণে বাংলাদেশ দ্বারা বেষ্টিত।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের ঈদ উদযাপন হারিয়ে গেছে: আব্বাস
৪ মাস আগে
লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করতে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত লুটেরাদের নতুন পরিকল্পনা এটি।
তিনি বলেন, ‘সরকার লুটেরা হয়ে গেছে। লুণ্ঠনকে আরও প্রশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যে লুটেরাদের এই বাজেট। আমি বিশ্বাস করি, বাজেটে (জনগণের অর্থ) আত্মসাতের জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও গণমুখী: কাদের
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে কোনো দিকনির্দেশনা না থাকা।
তিনি বলেন, ‘পুরো বাজেটটিই মনে হয় মেগা প্রকল্প, মেগা চুরি, দুর্নীতির জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাই এই বাজেটকে আমি শুধু তথাকথিত গণবিরোধীই বলছি না, বাংলাদেশবিরোধীও বলছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট নিয়ে দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত ব্যয় রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ভারসাম্যহীনতা কেবল জনদুর্ভোগকেই তীব্রতর করবে এবং তাদের বোঝা বাড়িয়ে তুলবে।
সরকার ব্যয় মেটাতে জনগণের পকেট কাটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যয় ও রাজস্ব আয়ের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে বিদেশের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ঋণ বা অনুদান নেবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এর ফল ভোগ করতে হবে জনগণকেই। তারা এরই মধ্যে বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্য, জ্বালানি ও সেবাখাতের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির বোঝা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষকে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলে অদূর ভবিষ্যতে সেবাখাতের দাম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। জীবিকা নির্বাহের জন্য লড়াই করতে গিয়ে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ
৪ মাস আগে
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ঢাকাসহ সারাদেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ গঠন এবং নীতি প্রণয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
দেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মো. রওশন আলী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে জনস্বার্থে রবিবার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট আবেদন করেন।
রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী রওশন আলী বলেন, দেশের তাপপ্রবাহের এমন অবস্থা কয়েক বছরে হয়নি। কমপক্ষে ১০-১২ বছরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। তাই এর প্রতিকার হওয়া দরকার এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এ কারণে এ রিট আবেদন করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
৫ মাস আগে
পরিবহন-যোগাযোগ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
সরকার সড়ক, রেল, সেতু, শিপিং, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং টেলিযোগাযোগের মতো মূল খাতে সরকারি বিনিয়োগ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
'মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে।
চলতি অর্থবছরে ৮৭ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে অর্থায়ন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
নীতি নথিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সামাজিক সংহতি নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত ও ব্যয়সাশ্রয়ী পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। এটি বলছে, মসৃণ সরবরাহ শৃঙ্খলা পরিচালনার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী কার্যকরভাবে প্রতিযোগিতা করার জন্য একটি দক্ষ পরিবহন এবং লজিস্টিক ব্যবস্থা অপরিহার্য।
বিশেষ করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বহুলেন মহাসড়ক নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও নতুন সেতু নির্মাণসহ উন্নত ও টেকসই সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এই প্রচেষ্টাগুলো ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ, ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং ৭ হাজার ৩০০ মিটার সেতু ও কালভার্টসহ ৪৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনার পরিপূরক।
আরও পড়ুন: বার্ষিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৬ অর্থবছরে কৃষিতে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
ঢাকা শহরে, সরকার মেট্রোরেল লাইন সম্প্রসারণ করে যানজট হ্রাসের দিকে মনোনিবেশ করছে। এটি নগরীর গতিশীলতার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করতে প্রস্তুত।
রেলওয়ে খাতকে নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী, আধুনিক ও জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থায় পরিণত করার লক্ষ্যে ৩০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনার আওতায় সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা, রেলপথের মানোন্নয়ন এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে ২৭৫ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ এবং ২১০ কিলোমিটার বিদ্যমান লাইন পুনঃনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
নথিটি নৌ পরিবহন ব্যবস্থার জন্য উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার রূপরেখা দেয় এবং সমন্বিত মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট ফ্রেমওয়ার্কের গুরুত্ব উল্লেখ করে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্য ড্রেজিং প্রচেষ্টার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথ, সমুদ্রবন্দর এবং স্থলবন্দর বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় যাত্রী পরিচালনার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিমানবন্দরগুলোতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য প্রকল্প গ্রহণ করছে। এই আধুনিকীকরণগুলো বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ।
এই বিস্তৃত পরিকল্পনাগুলো কেবল বাংলাদেশের অবকাঠামো আধুনিকীকরণের লক্ষ্য নয়, বরং দেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর ভিত্তি হিসাবেও কাজ করে।
আরও পড়ুন: ‘মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন’
৬ মাস আগে
বড় বাধার মুখে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের পরিকল্পনা
ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেছেন, তিনি একটি টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করবেন এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি স্বাধীন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করবেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হাতে বিবৃতি এসেছে। এতে সংঘাত নিরসনে মার্কিন কর্তৃপক্ষ যুদ্ধ পরবর্তী যে ধরনের ফিলিস্তিন সরকার গঠন করতে চেয়েছিল, তার জন্য বিস্তৃত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন তিনি।
কিন্তু উল্লেখ করার মতো আরেকটি বিষয় হলো, গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষমতা নেই। ২০০৭ সালে হামাস তাদের বাহিনীকে বিতাড়িত করেছে। ইসরায়েলি অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশে কেবল সীমিত কর্তৃত্ব রয়েছে এই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গাজায় ফেরার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন এবং তার সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ঘোর বিরোধী।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গত সপ্তাহে মুস্তাফাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। যিনি মার্কিন অর্থনীতিবিদ এবং আব্বাসের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা, যার কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নেই।
বিবৃতিতে মোস্তফা বলেন, তিনি একটি নির্দলীয়, টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করবেন। যা তাদের জনগণের আস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন উভয়ই অর্জন করতে পারবে। তিনি পিএ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি অঞ্চলগুলোকে পুনরায় একত্রিত করতে চাইবেন এবং গাজার পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘স্বাধীন, দক্ষ ও স্বচ্ছ সংস্থা এবং প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ, পরিচালনা ও বিতরণের জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের চেষ্টা করবেন।’
ভিশন বিবৃতিতে হামাসের কথা উল্লেখ করা হয়নি, যারা ২০০৬ সালে শেষবার ফিলিস্তিনিদের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল এবং কোনো কোনো জরিপ ইঙ্গিত দেয় যে এখনও উল্লেখযোগ্য সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০
পিএ'র সার্বিক নিয়ন্ত্রণে থাকা ৮৮ বছর বয়সী আব্বাস ২০০৯ সালে তার নিজের ম্যান্ডেটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন এবং ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন করতে অস্বীকার করেছেন।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিদের একটি বড় অংশ চায় তিনি পদত্যাগ করুন।
মুস্তাফা বলেন, পিএ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তিনি কোনো সময়সূচি ঘোষণা করে বলেন, এটি গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের 'বাস্তবতা'র ওপর নির্ভর করবে। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল দখল করা অঞ্চলগুলোর ওপর ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র চায়।
২০২১ সালে, আব্বাস নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত করার সিদ্ধান্তের জন্য অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বিধিনিষেধকে দায়ী করেন, যেখানে তার ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ পার্টি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
৭ মাস আগে