পরিকল্পনা
বড় বাধার মুখে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের পরিকল্পনা
ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেছেন, তিনি একটি টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করবেন এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি স্বাধীন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করবেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হাতে বিবৃতি এসেছে। এতে সংঘাত নিরসনে মার্কিন কর্তৃপক্ষ যুদ্ধ পরবর্তী যে ধরনের ফিলিস্তিন সরকার গঠন করতে চেয়েছিল, তার জন্য বিস্তৃত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন তিনি।
কিন্তু উল্লেখ করার মতো আরেকটি বিষয় হলো, গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষমতা নেই। ২০০৭ সালে হামাস তাদের বাহিনীকে বিতাড়িত করেছে। ইসরায়েলি অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশে কেবল সীমিত কর্তৃত্ব রয়েছে এই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গাজায় ফেরার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন এবং তার সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ঘোর বিরোধী।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গত সপ্তাহে মুস্তাফাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। যিনি মার্কিন অর্থনীতিবিদ এবং আব্বাসের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা, যার কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নেই।
বিবৃতিতে মোস্তফা বলেন, তিনি একটি নির্দলীয়, টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করবেন। যা তাদের জনগণের আস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন উভয়ই অর্জন করতে পারবে। তিনি পিএ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি অঞ্চলগুলোকে পুনরায় একত্রিত করতে চাইবেন এবং গাজার পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘স্বাধীন, দক্ষ ও স্বচ্ছ সংস্থা এবং প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ, পরিচালনা ও বিতরণের জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের চেষ্টা করবেন।’
ভিশন বিবৃতিতে হামাসের কথা উল্লেখ করা হয়নি, যারা ২০০৬ সালে শেষবার ফিলিস্তিনিদের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল এবং কোনো কোনো জরিপ ইঙ্গিত দেয় যে এখনও উল্লেখযোগ্য সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০
পিএ'র সার্বিক নিয়ন্ত্রণে থাকা ৮৮ বছর বয়সী আব্বাস ২০০৯ সালে তার নিজের ম্যান্ডেটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন এবং ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন করতে অস্বীকার করেছেন।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিদের একটি বড় অংশ চায় তিনি পদত্যাগ করুন।
মুস্তাফা বলেন, পিএ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তিনি কোনো সময়সূচি ঘোষণা করে বলেন, এটি গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের 'বাস্তবতা'র ওপর নির্ভর করবে। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল দখল করা অঞ্চলগুলোর ওপর ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র চায়।
২০২১ সালে, আব্বাস নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত করার সিদ্ধান্তের জন্য অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বিধিনিষেধকে দায়ী করেন, যেখানে তার ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ পার্টি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
বগুড়া থেকে নির্বাচিত জাসদ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'তবে নতুন পদ্ধতি আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের নতুন শিক্ষাব্যবস্থা মেধাবী জাতি তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমের উপর ভিত্তি করে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বিশ্বায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি এবং মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে উত্তরণে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, অতীতে নোটভিত্তিক ও সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে নতুন মেধাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন যুগের চ্যালেঞ্জ আরও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মেধাহীন নয়, নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা আরও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে।’
ঢাকা-৫ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মশিউর রহমান সজলের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই এমন নয়।
তিনি বলেন, ‘নোট ও সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা ভাঙতে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা গতানুগতিক পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে ভিন্ন।’
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ফলে আগের মতো মুখস্থ নির্ভর পরীক্ষা না হওয়ায় নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেই বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক ও সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নের সমন্বয়ে একটি আধুনিক কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এখানে লিখিত মূল্যায়ন, সমস্যা সমাধান, ব্যক্তিগত কাজ, দলগত কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
উপস্থাপনা ও যোগাযোগ দক্ষতা, সহযোগিতা, নেতৃত্ব, অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ও পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশমন্ত্রীর ১০০ কর্মদিবসের পরিকল্পনা ঘোষণা
‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’স্লোগান সামনে রেখে ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সচিবালয়কে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’মুক্ত ঘোষণা এবং অন্যান্য সরকারি অফিসগুলোতেও একই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করা হবে। পরিবেশদূষণ রোধে প্রতি বিভাগে দুটি করে 'সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক' ফ্রি স্কুল ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রতি বিভাগে দুটি করে জিরো ওয়েস্ট ভিলেজ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 'ন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক' প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং 'সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক'র উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাসে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করতে 'এক্সেন্টেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি'র খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পানিদূষণ রোধে শিল্প কারখানার ইটিপি কার্যকরভাবে চালু রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। সবুজ ক্যাটাগরিভুক্ত ছাড়পত্র ‘সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট’র আওতায় আনার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পাহাড়, টিলা ও প্রাকৃতিক জলাধারের ম্যাপিং এবং পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, জবরদখল করা ৫০ হাজার একর বনভূমির উচ্ছেদ প্রস্তাব প্রস্তুতকরণ এবং জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। এর আগে পাঠানো ১ লাখ ৮৭ হাজার একর জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধারের প্রস্তাব বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিজমি রক্ষার্থে সরকারি নির্মাণে শতভাগ ব্লক ব্যবহারে সংশোধিত রোডম্যাপ অনুমোদন এবং দেশব্যাপী ন্যূনতম ৫০০ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ হালনাগাদকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের কার্যক্রমের ব্যাপ্তি ও সৃষ্ট সম্ভাব্য দূষণের পরিধি, মাত্রা এবং পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের ওপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের ক্যাটাগরি হালনাগাদকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ চূড়ান্তকরণ এবং আগামী এপ্রিল ২০২৪-এ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘ন্যাশনাল এডাপটেশন প্লান এক্সপো’ আয়োজনের লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান’ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর্মকৌশল প্রণয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় প্রস্তাবিত প্রস্তাবসমূহ যাচাই বাছাইয়ের নিমিত্ত গাইডলাইন প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক ‘লস্যিান্ড ড্যামেজ ফান্ড’থেকে অর্থায়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ‘পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক’র উদ্যোগ গ্রহণ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ‘হোল অব গভর্নমেন্ট এবং হোল অব সোসাইটি’ বাস্তবায়ন করা হবে। আসন্ন বাজেটে ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন’ থিম এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর পরিবীক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ানের সাক্ষাৎ
ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
নতুন প্রকল্প গ্রহণের আগে খরচ ও উপকারিতা বিবেচনা করুন: পরিকল্পনা কমিশনে শেখ হাসিনা
চলমান কোন কোন প্রকল্প স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত শেষ করা যাবে এবং তা থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে সেটি চিহ্নিত করতে পরিকল্পনা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'যেসব উন্নয়ন কর্মসূচি অল্প টাকায় শেষ হবে, সেগুলোকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ আমি মনে করি, এসব প্রকল্প যত দ্রুত শেষ করতে পারব তত দ্রুত দেশবাসী এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে।’
শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি মিলনায়তনে নতুন সরকার গঠনের পর কমিশনের প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি এই কমিশনের চেয়ারপারসনও।
তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি করা ও মেয়াদ বৃদ্ধি এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পগুলোর ব্যয় ও প্রত্যাশিত সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় প্রকল্প ব্যয়ের, কী পরিমাণ ঋণ লাগবে, সুদসহ আমাদের কত পরিশোধ করতে হবে, ঋণ পরিশোধের জন্য আমরা কত সময় পাব এসব বিষয় গভীরভাবে বিবেচনা করুন।’
একই সঙ্গে দেশের সেই পরিমাণ ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে এটা খুবই প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, এছাড়া একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্পের আয় ও কার্যকারিতা সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। ‘এতে সাধারণ মানুষ কতটুকু লাভবান হবে এবং অর্থনীতিতে কতটুকু ঢুকবে। আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ, এ সময় এ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন,‘ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাব, সে বিষয় সুনির্দিষ্ট হতে হবে। সেখান থেকে আমাদের জন্য সেরা সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে। আর সে অনুযায়ী আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্প উন্নত দেশ হিসেবে যেসব সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর তার অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে না। যদিও এটি ২০২৯ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে এবং সরকার এরই মধ্যে ২০৩২ সাল পর্যন্ত তা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমাদের এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করতে হবে এবং সেগুলো মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ইতিবাচক সুফল যাতে দেশের প্রতিটি দরজায় পৌঁছে যায় এবং জনগণ উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান।
তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে ফ্রান্সের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ বাড়িয়ে তা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সুন্দর জীবনযাপনে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মন্ত্রী বলেন, এ মন্ত্রণালয় এখন যেখানে আছে তার থেকে ভালো অবস্থানে উত্তরণ ঘটানো এবং এখান থেকে দেশের ১৮ কোটি মানুষ যাতে সুবিধা পায়, সেটি নিশ্চিত করার দিকেই আমাদের দৃষ্টি থাকবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
এসময় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কাছে আমিষ সহজলভ্য করার উপর গুরুত্বারোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
তিনি বলেন, বিশেষ করে রমজান সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ বিক্রির প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। যাতে এসব পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে এবং এসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রপ্তানি পণ্য হিসেবে চিংড়ির মানোন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
এসময় তিনি, মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাকে আরও উন্নত করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোটের দিন মোটরসাইকেলে এসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, তাদের এই চক্রান্ত ও পরিকল্পনা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং র্যাব পুলিশসহ প্রত্যেকটি বাহিনী ইতোমধ্যে জেনে গেছে। সেই কারণে তাদের পক্ষে এগুলো বাস্তবায়ন করা কখনো সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের পাওনা না দিলে ‘নোবেল জয়ী’ বলে কি মামলা হবে না: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নির্বাচনী এলাকার ভোট কেন্দ্র কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন বাহিনী প্রধান, সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে তাদের এই পরিকল্পনার কথা আজকে আমাকে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নাকি আবার দু’দিনের হরতাল ডেকেছে, তারা হরতালকে অকেজো রাজনৈতিক অস্ত্র বানিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে তারা দুটি স্কুল ঘর পুড়িয়েছে।
তিনি বলেন, যারা সাধারণ মানুষের উপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, অকারণে হরতাল ডাকে, মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার অপচেষ্টা চালায়, তারা জনগণের প্রতিপক্ষ।
আরও পড়ুন: সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার তৈরি হওয়ায় বিএনপির সুর নরম হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী অংশে কোনো দুষ্কৃতিকারীর অবস্থান নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তবুও স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মেয়র শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, আবদুল মোনাফ সিকদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত: রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, অক্টোবরের শেষদিকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে দেশের বিরোধী দলের এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলেছিলেন,‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
আরও পড়ুন: মানব সম্পদ ও জলবায়ু সহনশীলতার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা আমরা বারবার তুলে ধরেছি।’
সাংবাদিকরা রুশ কর্মকর্তার মন্তব্যের বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও দূতাবাসের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
পর্যটন পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর: দীপু মনি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, চাঁদপুরে পর্যটনের যে পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা রয়েছে তার একটি বড় অংশ হচ্ছে আধুনিক নৌবন্দর।
তিনি বলেন, সকালে গিয়ে রাতে ফিরে আসতে পারবেন এমন জায়গা অনেক কম। সবখানে যেতে হলে সময় নিয়ে যেতে হয়। চাঁদপুরে ঢাকা থেকে দিনে এসে ভ্রমণ শেষে আবার রাতে ফিরে যাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে ‘বিদেশিদের ভূমিকা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দীপু মনি
এ ছাড়া নদী পথের যাত্রা অনেক নিরাপদ ও আরামদায়ক। এজন্য এই চাঁদপুরকে যতটা সম্ভব ভালো করার উদ্যোগ রয়েছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চাঁদপুর শহরের সড়কগুলো প্রশস্ত করণের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। যদিও আমাদের ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় পুরাতন সড়ক খুবই সরু। বর্তমানে সাধারণ মানুষের সক্ষমতা বেড়েছে। সড়কগুলোতে গাড়ি বেশি চলে। যে কারণে সড়ক প্রশস্তকরণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশে শতভাগ বিদুৎ, অনেকেই তা বিশ্বাস করতে পারেনি। বর্তমান সরকারের আমলেই এ ধরনের উন্নয়ন সম্ভব। উন্নয়ন চলছে উন্নয়ন হবে এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও তিনি জেলার উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন- জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান।
অতিরিক্ত জেলা (সার্বিক) বশির আহমেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কেএম মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ প্রমূখ।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
বিএনপির একমাত্র পরিকল্পনা ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, রাজপথ দখল নয়: ফখরুল
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্য ও সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে, রাজপথ দখলের নয়।
তিনি বলেন, ‘এটা (রাস্তায় বসে) সম্পূর্ণ অসত্য ও অপপ্রচার। আমরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় এসে রাস্তায় বসতে বলিনি। বরং আমরা তাদের বলেছি, ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি শেষে সবাই নিজ নিজ জায়গায় ফিরে যাবেন এবং পরবর্তী কর্মসূচির জন্য অপেক্ষা করবেন।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ প্রস্থান চান নাকি ক্ষমতাচ্যুতি চান, সিদ্ধান্ত নিন: ফখরুল
রবিবার (২২ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় অবস্থান করতে হবে এমন কোনো কর্মসূচি তাদের দল ঘোষণা করবে না।
তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর আমাদের সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, আমাদের মহাসমাবেশ খুব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে। আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে অযথা কোথাও কোনো বাধা সৃষ্টি না করতে এবং বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে না নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) জানিয়েছেন যে তারা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চান এবং কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন পুলিশ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
বিএনপি নেতা আশা প্রকাশ করেন, সারাদেশ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বিঘ্নে সমাবেশে এসে তাদের দাবির পক্ষে সোচ্চার হতে পারবেন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনো বাধা সৃষ্টি না করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সেটা করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হবে বলে বিবেচিত হবে। তাই আমরা বিশ্বাস করি আপনি এটি মাথায় রাখবেন এবং আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ ও ‘ভুতুড়ে’ মামলা অব্যাহত রেখেছে।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের আগে ও পরে কিছুই হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা কোনো কিছু ঘটলে কঠোর হাতে মোকাবিলার হুমকি দিচ্ছেন। যদি তাই হয় তাহলে যারা বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্ষমতাসীন দলের বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিরোধী দলকে নির্মূল করতে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সাহস নিয়ে রাজপথে থাকুন: ফখরুল
সহজ জয়ের জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
ঢামেককে উন্নত করার পরিকল্পনা, একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবে ৪০০০ রোগী: প্রধানমন্ত্রী
একসঙ্গে চার হাজার রোগীর চিকিৎসা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে আধুনিকায়নের জন্য সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'হাসপাতালটিকে আরও বড়, আরও সুন্দর ও আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আমরা ইতোমধ্যে একটি নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমরা পরিকল্পনা তৈরি করেছি, যাতে একসঙ্গে চার হাজার রোগী সেখানে চিকিৎসা নিতে পারে।’
সোমবার ৭৮তম ঢাকা মেডিকেল কলেজ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব তথ্য জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অনু্ঠানে।
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই ট্রাস্টের উদ্যোগে রাজধানীর শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, 'হাসপাতালের জন্য এই পরিকল্পনা যদি দ্রুত শুরু করা যায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবায় এটি একটি দৃষ্টান্ত হবে।
চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের গবেষণার সংখ্যা এখনও কম।
তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এখানে গবেষণা করেন। কিন্তু এই যুগে গবেষণা অপরিহার্য। গবেষণায় আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, তার সরকার চিকিৎসা গবেষণার সব ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রয়োজন অনুযায়ী তহবিল সরবরাহ করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ