বানংলাদেশ
সেমির দৌড়ে ১১৬ রানের লক্ষ্যে সমীকরণ মেলাতে হচ্ছে টাইগারদের
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশি বোলাররা।
সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশকে এখন ১২ দশমিক ১ ওভারে ১১৬ রান করতে হবে।
তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে তারা কেবল তখনই যোগ্যতা অর্জন করতে পারে যদি তারা ১২ দশমিক ১ ওভারে লক্ষ্য তাড়া করে বা ১২ দশমিক ৫ ওভারে এই রান টপকালেও চলবে বাংলাদেশকে। সে ক্ষেত্রে স্কোর সমান হওয়ার পর একটি ৬ মারতে হবে। অর্থাৎ ১২ দশমিক ৫ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২১ রান।
১২ দশমিক ৩ ওভারে আফগানিস্তানকে টপকাতে পারলেও সেমিফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। করতে হবে ১২ দশমিক ৩ ওভারে ১১৯ রান।
আরও পড়ুন: অজিদের অনিশ্চয়তায় ফেলে সেমিতে ভারত
তবে এতদিন বোলারদের পক্ষে থাকা পিচে শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ।
এই শর্তগুলোর কোনো একটি পূরণ করতে পারলেই বাংলাদেশ সেমিফাইনালের জন্য যোগ্য হবে। আর তারা যদি তা না করতে পারে এবং আফগানিস্তান জিতে যায়, তাহলে প্রথমবারের মতো আফগানরা সেমিফাইনাল খেলবে।
বাংলাদেশ যদি শর্ত পূরণ না করে জয়লাভ করে, তাহলে অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে উঠবে।
টাইগারদের জন্য আরেকটি চিন্তার কারণ বৃষ্টি। আফগানিস্তানদের ইনিংসের পর ভেন্যু এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে। ওভার কমে গেলে কম ওভারেই নতুন টার্গেটের মুখে পড়বে বাংলাদেশ।
কিংসটাউনের আর্নোস ভেল গ্রাউন্ডের উইকেটে রান তোলা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ২৭ রান তোলে আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন: রোহিতের তাণ্ডবে দুর্জয় লক্ষ্যের সামনে অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছে। সেখান থেকে দ্রুত রান তুলতে হিমশিম খেতে হয় আফগানিস্তানকে।
ম্যাচে রিশাদ হোসেন বাংলাদেশের সফলতম বোলার, ৪ ওভারে ৩ উইকেট নেন তিনি। তিনি তৃতীয় ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি দেননি। তবে এরপর রহমানউল্লাহ গুরবাজ বল বাউন্ডারিতে দিয়ে ৪ রান সংগ্রহ করেন।
তার সবচেয়ে সফল ওভারটি ছিল চতুর্থ ওভার, তিনি মাত্র ৮ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছেন।
একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে তাসকিন দিয়েছেন মাত্র ১২ রান, আর মুস্তাফিজ দিয়েছেন ১৭ রান।
শেষ ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের বলে রশিদ খানের দুটি ছক্কা আফগানিস্তানকে ১১০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে।
এই ভেন্যুতে যে ৪টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে আফগানিস্তানের জয় তাদেরকে আজকের ম্যাচের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী করতে পারে।
অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি বা ৫০ ওভারের ফরম্যাটে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারেনি। এই উৎসাহ কাজে লাগিয়ে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
৪ মাস আগে