নকআউট
৭-১ গোলে জয়ের রাতে রেকর্ড গড়ে কোয়ার্টারের পথে আর্সেনাল
প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচ জয়বঞ্চিত থেকে খানিকটা তেঁতে ছিল আর্সেনাল। এরপর চ্যাম্পিয়ন্সি লিগে পিএসভি আইন্ডভোনকে পেয়ে যেন সব ক্ষোভ উগরে দিল মিকেল আর্তেতার দল। আর এতে করে বিরল এক রেকর্ড গড়েছে নর্থ লন্ডনের ক্লাবটি।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আইন্ডহোভেনের ফিলিপস স্টেডিয়ামে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। মাঠে নেমে স্বাগতিক দলটিকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তারা।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৭ বা তার বেশি গোল করার কীর্তি গড়ল গানাররা।
এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন আর্সেনাল অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। এছাড়া একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন ইউরিয়েন টিম্বার, ইথান নোয়ানেরি, মিকেল মেরিনো, লিয়ান্দ্রো ত্রোসা ও রিকার্দো কালাফিওরি।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন বড় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল আর্সেনাল। এর ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ মিনিটে ডেকলান রাইস গোল পেলেও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপর ষোড়শ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে পিএসভি, কিন্তু আট গজ দূর থেকে ইসমাইল সাইবারির নেওয়া শটটি ক্রসবারে লাগে।
পিএসভির ওই আক্রমণের পরই যেন দলটিকে শাস্তি দেয় আর্সেনাল। ১৮ ও ২১তম মিনিটে টিম্বার ও নোয়ানেরির দুই গোলে এগিয়ে যায় তারা।
এরপর ৩১তম মিনিটে মেরিনো আর্সেনালের তৃতীয় গোলটি পাওয়ার পর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে লুক ডি ইয়ংকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়ে স্বাগতিকদের পেনাল্টি দিয়ে বসেন থমাস পার্তি। ৪৩তম মিনিটে তা থেকে পাওয়া স্পট কিকে এক গোল পরিশোধ করে স্কোরলাইন ৩-১-এ রেখে বিরতিতে যায় পিএসভি।
৪৪ দিন আগে
আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
সবশেষ চারবারের দেখায় আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারাতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে এসে অবশেষে দলটির সেই অপরাজেয় যাত্রা থামিয়েছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দলটি।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের শুরুতেই দুর্দান্ত এক গোল করে রদ্রিগো রিয়ালকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৩২তম মিনিটে হুলিয়ান আলভারেসের দর্শনীয় গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের পার্থক্য গড়া গোলটি করেন রিয়ালের স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্রাহিম দিয়াস।
এই জয়ে অল্প ব্যবধানে হলেও আতলেতিকোর চেয়ে এগিয়ে রইল রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী বুধবার ফিরতি লেগে আতলেতিকোর মাঠে খেলতে নামবে শিরোপাধারীরা।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন স্পাইডারম্যানের গোলে শীর্ষে উঠল আতলেতিকো মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০০তম ম্যাচে খেলতে নেমে রেকর্ড গড়ার রাতে চতুর্থ মিনিটে গোল করে শুরুতেই এদিন উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় উইঙ্গার রদ্রিগো। নিজেদের অর্ধ থেকে ফেদেরিকো ভালভের্দের ডান পাশের টাচলাইন ধরে বাড়ানো পাস ধরে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যান রদ্রিগো। এরপর আতলেতিকোর দুই ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে অসাধারণ এক শট নেন তিনি, আর ঝাঁপিয়ে পড়া ইয়ান ওবলাকের আওতার বাইরে দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায় বল। ফলে উল্লাসে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় বের্নাবেউ।
এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রদ্রিগোর ২৫তম গোল। এর ফলে পঞ্চম কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ২৫ গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ২৪ বছর ৫৪ দিন বয়সে এই কীর্তি গড়া রদ্রিগোর উপরে রয়েছেন রাউল গন্সালেস (২৩ বছর ২৫২ দিন), লিওনেল মেসি (২২ বছর ২৮৬ দিন), কিলিয়ান এমবাপ্পে (২২ বছর ৮০ দিন) ও আর্লিং হালান্ড (২২ বছর ৪৭ দিন)।
৪৪ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউট ড্র: মুখোমুখি দুই মাদ্রিদ, বার্সেলোনার স্বস্তি
প্লে-অফ থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত হওয়ার পর এবার হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ড্র। নতুন নিয়মের এই ড্রয়ে বেশ কয়েকটি বড় দল তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ পেলেও সেয়ানে সেয়ানে লড়াইও দেখা যাবে কয়েকটি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় সুইজারল্যান্ডের নিয়নে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শুধু শেষ ষোলো নয়, ফাইনাল পর্যন্ত যেতে কোন দলের কী সমীকরণ, সে পথও স্পষ্ট করা হয়েছে।
নতুন ফরমেটে অনুষ্ঠিত এবারের টুর্নামেন্টে নতুন নিয়মেই হয়েছে ড্র। এতে দুটি ‘লিগ ক্লাসিক’ লড়াই দেখার সুযোগ মিলবে দর্শকদের। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও বায়ের লেভারেকুজেন। শাবি আলোনসোর হাতের ছোঁয়ায় গত মৌসুম থেকে জ্বলে ওঠা লেভারকুজেনই বর্তমানে বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ড্র হয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। ফলে লা লিগা, কোপা দেল রের পর এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।
তবে বার্সেলোনার সামনে পিএসজির মতো সম্প্রতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা দল পড়ার সম্ভাবনা থাকলে এ যাত্রায় সেই বিপদ কেটেছে দলটি। অপর সম্ভাব্য দল বেনফিকাই পড়েছে তাদের সামনে। ফলে ফাইনালের আগে আর বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের দেখা হওয়ার সুযোগ নেই।
আর এতে করে চলতি মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য লিভারপুলের সঙ্গী হয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তাই চরম হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের দিকে বিশেষ নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।
এ ছাড়াও অনেক বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়া অ্যাস্টন ভিলার প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে ক্লাব ব্রুজের নাম। আর আর্সেনাল, ইন্টার মিলান ও ডর্টমুন্ড পেয়েছে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ।
এক নজরে শেষ ষোলোর ড্র
• ক্লাব ব্রুজ-অ্যাস্টন ভিলা • লিল-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড • রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকো মাদ্রিদ • বায়ার্ন মিউনিখ-বায়ের লেভারকুজেন • পিএসভি আইন্ডহোভেন-আর্সেনাল • ফেয়েনুর্ড-ইন্টার মিলান • পিএসজি-লিভারপুল • বেনফিকা-বার্সেলোনা
(পরের দলটি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার সুবিধা পাবে।)
৫৬ দিন আগে
প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের খেলায় প্রথম দিন প্রথম ম্যাচেই ঘটে অঘটন; ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডের কাছে হেরে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় ইতালির ক্লাব এসি মিলানের। দ্বিতীয় দিনেও ঘটেছে একই অঘটন, আর তার বলি হয়েছে সেরি-আর আরেক ক্লাব ইউভেন্তুস।
নেদারল্যান্ডসের ফিলিপস স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বুধবার রাতে তুরিনের দলটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে অসাধ্য সাধন করেছে পিএসভি।
তুরিনে প্রথম লেগে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে আইন্ডহোভেনে গেলেও ম্যাচজুড়ে সুবিধা করতে পারেনি থিয়াগো মোত্তার দল। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে নোয়া লাংয়ের অ্যাসিস্টে গোল করে অগ্রগামিতায় ২-২ সমতা টানেন পিএসভি স্ট্রাইকার ইভান পেরিসিচ।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
দশ মিনিট পরই অবশ্য টিমোথি উইয়ার গোলে ফের ইউভেন্তুস এগিয়ে গেলে (অগ্রগামিতায়) ৭৪তম মিনিটে ইসমাইল সাইবারির গোলে আবারও সমতায় ফেরে ডাচরা। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হলে ৩-৩ সমতায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ৯৮তম মিনিটে রায়ান ফ্লামিঙ্গোর গোলে দুই লেগ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় পিএসভি। এরপর ইউভেন্তুসকে বাকি সময় আটকে রেখে বিরল কীর্তি গড়ে শেষ ষোলো নিশ্চিতের উল্লাসে মাতে পিটার বশের শিষ্যরা।
এর আগে, ওল্ড লেডিদের বিপক্ষে কখনও জয় তো দূরের কথা, ড্রও করতে পারেনি পিএসভি। এবার সেই দলটির বিপক্ষেই ৩-১ গোলের দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়ে তাদের বিদায় করে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমের ইউরোপিয়ান কাপ জয়ী দলটি।
এর ফলে কাকতালীয়ভাবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের প্লে-অফের দুটি অঘটনের জন্মই দিল দুই ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড ও পিএসভি। আর তারা বিদায় করল দুই ইতালিয়ান জায়ান্টকে (মিলান ও ইউভেন্তুস)।
আরও পড়ুন: বিরল রেকর্ডের রাতে ৭-০ গোলে জিতে নকআউট পর্বে পিএসজি
দিনের প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে স্পোর্তিংয়ের মাঠে ৩-০ গোলে জয় পাওয়ায় সহজেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে নিকো কোভাকের দল।
অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে সিটির মাঠে ৩-২ গোলে জেতায় ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট পর্বে উঠেছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসসেরা দলটি।
এছাড়া, লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রেস্তকে তুলোধুনা করে নকআউটে উঠেছে লুইস এনরিকের পিএসজি। দ্বিতীয় লেগে দলটিকে ৭-০ গোলে হারিয়েছেন দেম্বেলে-বারকোলারা। প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয়ের ফলে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি।
এর মাধ্যমে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ১৬টি দল চূড়ান্ত হয়েছে।
৫৭ দিন আগে
বিরল রেকর্ডের রাতে ৭-০ গোলে জিতে নকআউট পর্বে পিএসজি
৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির জন্য শেষ ষোলো একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল, তবে দ্বিতীয় লেগে ব্রেস্তকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে তারা।
প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বুধবার রাতে আরেক ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। এতে করে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট নিশ্চিত করেছে লুইস এনরিকের দল।
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইসের অ্যাসিস্টে পিএসজিকে প্রথম এগিয়ে নেন ব্রাদলে বারকোলা। এরপর ৩৯ মিনিটে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোল করেন খিচা কেভারাত্সখেলিয়া (কেভারা)।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও বিরতি থেকে ফিরে ব্রেস্তকে আরও পাঁচটি গোল দেয় পিএসজি। ম্যাচের ৫৯, ৬৪, ৬৯, ৭৬ ও ৮৬তম মিনিটে গোলগুলো করেন যথাক্রমে ভিতিনিয়া, দেজিরে দুয়ে, নুনো মেন্দেস, গন্সালো রামোস ও সেনি মাইয়ুলু।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, নতুন বছর পড়তেই উসমান দেম্বেলে জ্বলে উঠলেও গোল উৎসবের এই ম্যাচে তিনি কোনো গোল করতে পারেননি, এমনকি কোনো অ্যাসিস্টও আসেনি তার পা থেকে।
তবে ৭-০ গোলের এই জয়ের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিরল এক রেকর্ড গড়েছে পিএসজি। সাতটি গোলই দলটির পৃথক সাত খেলোয়াড়ের পা থেকে এসেছে। এর আগে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে কখনোই কোনো ম্যাচে ৭ জন আলাদা খেলোয়াড় গোল করতে পারেননি।
এর আগে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যেকোনো পর্বে এক ম্যাচে সর্বাধিক ৬ খেলোয়াড় গোল করার সবশেষ ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট। ২০১৯-২০ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে আলিয়ান্স আরেনায় বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে বায়ার্ন। ম্যাচটিতে রবের্ট লেভানডোভস্কি, ইভান পেরিসিচ, সের্গে গেনাব্রি, ইয়োশুয়া কিমিখের একটি করে গোলের পাশাপাশি দুটি করে গোল করেন থমাস মুলার ও বার্সা থেকে সে সময় বায়ার্নে ধারে খেলা ফিলিপে কুতিনিয়ো।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
দিনের প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে স্পোর্তিংয়ের মাঠে ৩-০ গোলে জয় পাওয়ায় সহজেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে নিকো কোভাকের দল।
অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে সিটির মাঠে ৩-২ গোলে জেতায় ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট পর্বে উঠেছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসসেরা দলটি।
এছাড়া প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ঘটেছে একটি অঘটন। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে ৩-১ গোলে হেরে প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে গেছে ইউভেন্তুস। আর ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি।
এর মাধ্যমে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ১৬টি দল চূড়ান্ত হয়েছে।
৫৭ দিন আগে
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
৩-২ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে যে আক্রমণাত্মক মনোভাব ও নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলার প্রয়োজন ছিল দলটির, তার কিছুই দেখাতে পারেনি তারা। উল্টো দুর্দান্ত রিয়াল মাদ্রিদের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়ে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে গার্দিওলার শিষ্যদের।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগে সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়ালের তিনটি গোলের সবগুলোই এসেছে তার পা থেকে। অপ্রতিরোধ্য এমবাপ্পেকে ঠেকাতেই সবটুকু শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় সিটির খেলোয়াড়দের। আর ভিনিসিউস, রদ্রিগো, বেলিংহ্যাম ও ফেদেরিকো ভালভের্দেদের যৌথ আক্রমণে দিশেহারা হয়ে দুস্বপ্নের মতো এক রাত পার করেছে ম্যানচেস্টারের দলটি।
আরও পড়ুন: ডেভিসের শেষ মুহূর্তের গোলে সেল্টিকের হৃদয় ভাঙল বায়ার্ন
গোল দিয়েই কার্যত ম্যাচটি শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। চতুর্থ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের সামান্য উপর থেকে ডিফেন্ডার রাউল আসেন্সিওর দুর্দান্ত এক উড়ন্ত লং পাস ধরে সিটির ডিফেন্স ভেঙে ঠিকানা খুঁজে নেন এমবাপ্পে।
আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে ৩৩তম মিনিটে আরও একটি দর্শনীয় গোল করে দলকে তিন গোলের লিড এনে দেন তিনি। এবারের গোলটির মূল কারিগর ছিলেন রদ্রিগো। সিটির বক্সে ঢোকার মুখে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে এমবাপ্পেকে পাস দেন তিনি, আর তা থেকে ব্যবধান বাড়াতে মোটেও কষ্ট হয়নি ফরাসি তারকার।
অসুস্থতার কারণে বেঞ্চে থাকা কেভিন ডি ব্রুইনে ও আর্লিং হালান্ডের অুনপস্থিতিতে এদিন বলের ওপর একেবারেই নিয়ন্ত্রণ হারায় সিটি। প্রথমার্ধে গোলে শট নেওয়া তো দূরের কথা, তেমন কোনো আক্রমণই শানাতে পারেনি তারা। সেইসঙ্গে দুর্দান্ত রিয়ালের ক্রমাগত চাপে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
৫৭ দিন আগে
কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করে কোপা আমেরিকায় শেষ দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। এর ফলে নকআউট পর্বে চূড়ান্ত হয়েছে সেরা আট দল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ছাড়াও এবারের কোপা আমেরিকার শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে কানাডা, ভেনেজুয়েলা, একুয়েডর, উরুগুয়ে, পানামা, কলম্বিয়া ও ব্রাজিল।
টানা তিন জয়ে ‘এ’ গ্রুপসেরা হয়ে নকআউট পর্বে ওঠা আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে একুয়েডরের বিপক্ষে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
আরও পড়ুন: ইউরোর শেষ আট চূড়ান্ত, কবে কে কার মুখোমুখি
পরদিন ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে অভিষেক আসরেই গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে আসা কানাডা। এ ম্যাচটিও শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়।
এরপর রবিবার কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি ম্যাচদুটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমটিতে অতিথি দল পানামার বিপক্ষে মাঠে নামবে টানা ২৬ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ‘সি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কলম্বিয়া। ভোর ৪টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
পরে সকাল ৭টায় সেমিফাইনালে ওঠার শেষ লড়াইয়ে মাঠে নামবে লাতিন আমেরিকার দুই ফুটবল পরাশক্তি উরুগুয়ে ও ব্রাজিল।
গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে থেকে নকআউট পর্বে উঠেছে উরুগুয়ে। অন্যদিকে, এক জয় ও দুই ড্রয়ে ‘ডি’ গ্রুপের রানার্স-আপ হয় ব্রাজিল।
আরও পড়ুন: প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে শঙ্কা কাটাল ব্রাজিল
২৮৯ দিন আগে
বেলিংহ্যামের শেষের নাটকের পর স্লোভাকিয়াকে কাঁদিয়ে শেষ আটে ইংল্যান্ড
বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক জাগিয়ে ইউরো শুরু করা স্লোভাকিয়া নকআউট পর্বে পেয়েছিল গতবারের রানার্স-আপ ইংল্যান্ডকে। শক্তিশালী ইংলিশদেরও প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল তারা। তবে তাদের স্বপ্নযাত্রা ম্লান হয়েছে জুড বেলিংহ্যামের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোলে।
রোববার রাতে জার্মানির পশ্চিমের শহর গেলসেনকির্খেনে শেষ ষোলোর ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড।
প্রথমার্ধে ইভান শারাঞ্জ স্লোভাকিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার পর ইংল্যান্ডকে নির্ধারিত নব্বই মিনিটের পর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরান জুড বেলিংহ্যাম। এরপর ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে পঞ্চম মিনিটেই জয়সূচক গোলটি করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলেন হ্যারি কেইন।
ফলে সামন্যের জন্য প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় কেঁদে বিদায় নিয়েছে ফ্রান্সেস্কো কালসোনার শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ার স্বপ্নযাত্রা থামাল দুর্দান্ত স্পেন
পুরো ম্যাচজুড়ে বল দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকলেও গোলে শট নেওয়ায় ইংল্যান্ডকে প্রায় সমানে টক্কর দিয়েছে স্লোভাকিয়া। ইংলিশদের ১৬টি শটের বিপরীতে তারা গোলে শট নেয় ১৩টি, যার মধ্যে ইংল্যান্ডের মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে থাকলেও তাদের ছিল তিনটি।
২৯১ দিন আগে
জর্জিয়ার স্বপ্নযাত্রা থামাল দুর্দান্ত স্পেন
পর্তুগালকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর পর জর্জিয়া কোচ উইলি স্যানিওল বলেছিলেন, শেষ ষোলোয় উঠতে পেরেই অনেক খুশি। তবে স্পেনকে ভয় পেয়ে খেলবে না তার শিষ্যরা। মাঠের খেলায় তা করেও দেখালেন জর্জিয়ার ফুটবলাররা। তবে বদলে যাওয়া স্পেনের ক্রমাগত ক্ষুরধার আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত হলো তাদের হৃদয়।
কোলনে রবিবার দিবাগত রাতে জর্জিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্পেন।
টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ সব সেইভ করে দলকে শেষ ষোলোয় নিয়ে এসেছিলেন জর্জিয়ার তরুণ গোলরক্ষক জর্জি মামারডাশভিলি। গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচে ২৭টি সেইভ করে ফুটবলপাড়ায় আলোচনার জন্ম দেন ২৩ বছর বয়সী ভ্যালেন্সিয়ার এই গোলরক্ষক। দুর্দান্ত স্পেনের বিপক্ষেও বারংবার দেখালেন সেই অসামান্য প্রতিভা। তবে একক প্রচেষ্টায় ঠিক পেরে উঠলেন না তিনি। স্পেনের ৯টি প্রচেষ্টা তার কাছে বাধা পেলেও চারবার ব্যর্থ হন মামারডাশভিলি।
অপরদিকে, শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজাতে থাকা স্পেন আত্মঘাতী গোল খেয়েও সেদিকে দৃকপাত না করে নিজেদের কাজের ধারা অব্যহত রাখল। আর তাতেই থেমে গেল ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবার শেষ ষোলো খেলতে আসা জর্জিয়ার স্বপ্নযাত্রা।
আরও পড়ুন: ইয়ামালের ইতিহাস গড়ার রাতে স্পেনে বিধ্বস্ত ক্রোয়েশিয়া
ম্যাচজুড়ে আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকা স্পেন প্রতিপক্ষের গোলে ৩৫টি শট নেয়, যার ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, দুই অর্ধে দুটি করে মোট চারটি শট নিয়ে তার একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কিভিচা কেভারাটসখেলিয়ারা।
২৯১ দিন আগে
ইউরোর শেষ ষোলো চূড়ান্ত, কে কবে কার মুখোমুখি
গ্রুপ পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে অনেক চমক নিয়ে হাজির হয় ইউরোর চলতি আসর। অনেক দল আশাহত হওয়ার পাশাপাশি অনেক আন্ডারডগ হ্যাভিওয়েটদের হারিয়ে গ্রুপসেরা বা শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে এবারের আসরের ইউরোপের শেষ ১৬টি ফেবারিট দল এবং ফাইনালে পৌঁছাতে কার রাস্তা কেমন, তা।
ইউরোর নকআউট পর্বের প্রথম ধাপের টিকেট পেয়েছে- স্বাগতিক জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, তুরস্ক, স্লোভাকিয়া, জর্জিয়া ও স্লোভেনিয়া।
চলতি আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদপড়া দলগুলোর মধ্যে অন্যতম ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ও ২০২২ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া। রবের্ট লেভানডফস্কির পোল্যান্ড এবং এবারের আসরের ‘ব্ল্যাক হর্স’ খ্যাত হাঙ্গেরিও শুরুতেই ছিটকে গেছে।
আবার বেলজিয়ামকে টপকে গ্রুপসেরা হওয়া রোমানিয়া, ফ্রান্স-নেদারল্যান্ডসকে টপকে গ্রুপসেরা হওয়া অস্ট্রিয়া, এমনকি জর্জিয়ার মতো দলগুলো চমক দেখিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে।
চলুন দেখে নেই, গ্রুপপর্বে কার লড়াই কতটা শক্ত ছিল-
গ্রুপ ‘এ’
স্বাগতিক জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্কট্যলান্ডকে নিয়ে গড়া গ্রুপ ‘এ’ থেকে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করা সহজ ছিল না কোনো দলের জন্যই। সবগুলো দলই ইউরোপের লিগগুলোতে খেলা অসাধারণ সব ফুটবলারে ভরা। তবে জার্মানির দাপটের কারণে একটি স্পট নিয়ে বাকি তিন দলের প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়ে যায়।
অবশ্য স্কট্যল্যান্ড শক্তিতে কিছুটা খাটো পড়ে গেলে শুরুতেই ছিটকে যায় তারা। পরবর্তীতে হাঙ্গেরিকে রেখে শেষ ষোলোর টিকিট কাটে সুইজারল্যান্ড।
গ্রুপ ‘বি’
তিন ম্যাচে তিনটি জয় নিয়ে দাপটের সঙ্গে স্পেন নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে। তবে এক জয় ও এক হার নিয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি। মারিও সাক্কায়নির শেষ মুহূর্তের গোলে ম্যাচটি ড্র হলে কেঁদে বিদায় নিতে হয় ক্রোয়েশিয়ার। আর বিধ্বস্ত হয়ে কোনোমতে শেষ ষোলোয় ওঠে ইতালি।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে মদ্রিচদের কাঁদিয়ে শেষ ষোলোয় ইতালি
গ্রুপ ‘সি’
ইংল্যান্ডের হতাশ পারফরম্যান্সের কারণে এই গ্রুপটি শেষ রাউন্ডেও ছিল উন্মুক্ত। যে কারও সুযোগ ছিল শেষ ষোলোর টিকিট কাটার। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্রপসেরা ইংল্যান্ডের সঙ্গে তিন পয়েন্ট নিয়ে ডেনমার্ক ও স্লোভেনিয়াও গ্রুপ ‘বি’ থেকে পরের রাউন্ডে উঠেছে। তবে শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের সঙ্গে ড্র করে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করা সার্বিয়া নকআউটের ট্রেন ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।
গ্রুপ ‘ডি’
এই গ্রুপেও ছিল দুই হ্যাভিওয়েট- ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস। তবে তাদের টপকে শেষ ম্যাচে ডাচদের হারিয়ে গ্রুপসেরা হয় অস্ট্রিয়া। টেবিলের তিন নম্বরে থেকে গ্রুপ শেষ করলেও কোটায় শেষ ষোলোর ডাক পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। আর প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেছে পোল্যান্ড।
গ্রুপ ‘ই’
ইউরোয় এবারের আসরে এই গ্রুপটি ছিল সবচেয়ে চমক জাগানিয়া। গ্রুপে নিশ্চিত ফেবারিট ছিল বেলজিয়াম। তবে তৃতীয় রাউন্ড শেষে সবগুলো দলের পয়েন্ট সমান (৪) হয়ে যায়। এরপর গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রুপসেরা হয় রোমানিয়া, দ্বিতীয় বেলজিয়াম আর তৃতীয় দল হিসেবে কোটায় নকআউট পর্বে ওঠে স্লোভাকিয়া।
সমান পয়েন্ট, এমনকি অন্য গ্রুপের দলগুলো থেকে তিন পয়েন্ট পেয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত হলেও টেবিলের তলানিতে থাকায় কপাল পুড়েছে ইউক্রেনের। ইউরোর ইতিহাসে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করেও শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়া একমাত্র দল তারাই।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-নেদারল্যান্ডসের ধারহীন লড়াইয়ে জিতল অস্ট্রিয়া
গ্রুপ ‘এফ’
পর্তুগাল, তুরস্ক, চেক প্রজাতন্ত্র ও জর্জিয়া- শক্তিমত্তার বিচারে টুর্নামেন্টের শুরুতে সবাই দলগুলোকে এই ধারায় রাখলেও শেষ ম্যাচে ফেবারিট পর্তুগালের জালে দুবার বল জড়ায় জর্জিয়া।
এতে টেবিলের তৃতীয় অবস্থানে থেকে চেকদের কাঁদিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে কিভিচা কেভারার দল। এর ফলে প্রথমবার কোনো বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ, ইউরো) খেলতে এসেই নকআউটে পৌঁছেছে জর্জিয়ানরা।
ইউরোর শেষ ষোলোয় ম্যাচগুলোর সময়সূচি:
দিন-তারিখ
ম্যাচ
ভেন্যু
শুরুর সময়
২৯ জুন, শনিবার
ইতালি-সুইজারল্যান্ড
বার্লিন
রাত ১০টা
২৯ জুন, শনিবার
জার্মানি-ডেনমার্ক
ডর্টমুন্ড
রাত ১টা
৩০ জুন, রবিবার
ইংল্যান্ড-স্লোভাকিয়া
গেলসেনকির্খেন
রাত ১০টা
৩০ জুন, রবিবার
স্পেন-জর্জিয়া
কোলন
রাত ১টা
১ জুলাই, সোমবার
ফ্রান্স-বেলজিয়াম
ডুসেলডর্ফ
রাত ১০টা
১ জুলাই, সোমবার
পর্তুগাল-স্লোভেনিয়া
ফ্রাঙ্কফুর্ট
রাত ১টা
২ জুলাই, মঙ্গলবার
নেদারল্যান্ডস-রোমানিয়া
মিউনিখ
রাত ১০টা
২ জুলাই, মঙ্গলবার
অস্ট্রিয়া-তুরস্ক
লাইপসিগ
রাত ১টা
২৯৪ দিন আগে