আইরিশ এইড
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দেড় লাখ ইউরো দিচ্ছে আইরিশ এইড
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৭০ ইউরো বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে আইরিশ এইড। আয়ারল্যান্ডের সিভিল সোসাইটি পার্টনারশিপের (আইসিএসপি) অ্যাকিউট ক্রাইসিস স্ট্রিমের (এসিএস) আওতায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই তহবিল সরবরাহ করা হবে।
গত ২৬ মে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৩৩ লাখ মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬টি ঘরবাড়ি আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তীব্র পানি সংকট, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বিপর্যস্ত যোগাযোগ সেবার সঙ্গে লড়াই করছে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীগুলো।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ তাণ্ডবে বাগেরহাটে ৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত
আইরিশ এইডের অর্থায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে ১ জুলাই থেকে ১ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ভোলা ও বরগুনা জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৮০০ পরিবারের প্রায় ৩ হাজার ৪৪০ জনকে প্রয়োজনীয় পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেবা দেওয়া হবে। নিরাপদ পানীয় জলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, স্যানিটেশন সুবিধা পুনরুদ্ধার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী বিতরণ করা এই হস্তক্ষেপের লক্ষ্য।
বৈশ্বিক সংকটে আইরিশ সহায়তার প্রতিশ্রুতি
আয়ারল্যান্ডের সিভিল সোসাইটি পার্টনারশিপ ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড (আইসিএসপি) বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা সরবরাহে আইরিশ নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলোর একটি ৫ বছরের তহবিল উদ্যোগ (২০২৩-২০২৭)। আইসিএসপি ৪টি তহবিল প্রবাহকে অন্তর্ভুক্ত করে- দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন, দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংকট, তীব্র মানবিক সংকট ও বৈশ্বিক নাগরিকত্ব শিক্ষা। ২০২৪ সালে, জলবায়ু অর্থায়নে ৯.৯ মিলিয়ন ইউরোসহ ১০টি আইরিশ এনজিওকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে আইসিএসপি।
বাংলাদেশের জন্য অব্যাহত সমর্থন
রোহিঙ্গা শরণার্থী অনুপ্রবেশসহ একাধিক মানবিক সংকট মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ২০১৯ সাল থেকে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএনএইচসিআরকে ৬.৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে, যা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়কেই উপকৃত করেছে।
২০২৩ সালে, কক্সবাজারে রেজিলেন্স-বিল্ডিং কর্মসূচিতে পুষ্টি ও দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ ইউরো দেয় কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড। যা ২০২৪ সালে বেড়ে ১৭ লাখ ৪ হাজার ইউরোতে দাঁড়ায়।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আয়ারল্যান্ডের বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকারগুলোর পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা প্রচার, মানবিক চাহিদা হ্রাস এবং সুশাসনকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে কাজ করে আসছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল আয়ারল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
৫ মাস আগে