কোটা বাতিল
কোটা সংস্কার: শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ
সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আবারও শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
তবে ঢাকার বাইরে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে মিছিল করার ঘোষণা দিলেও শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: রায়ের কার্যকরী অংশ প্রকাশ
এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন। পরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে যুক্ত হন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে দেশব্যাপী ক্যাম্পাসে মিছিল করার ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখার কোটা পদ্ধতি ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়। ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলে ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রেতাত্মারা: আইনমন্ত্রী
৩ মাস আগে
সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবকিছু করতে প্রস্তুত: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোটার বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার পর সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবকিছু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কমিশন গঠন করা হবে কি না- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আদালতের বিষয় আদালতে সমাধান হোক। এই সমাধানের পর যদি আরও কিছু আলোচনা করতে হয় সেটি আলোচনা করার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যা করা লাগে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোটার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী বিভাগের অংশ। এটি এখন আদালতে রয়েছে। বিচার বিভাগে কোনো বিষয় থাকলে সেটি বিচার বিভাগেই নিষ্পত্তি করতে হয়।'
বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেটি যেখানে নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন সেটি সেখানে নিষ্পত্তি করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কথা শুনে আদালত যে রায় দিয়েছে, এখানে কিন্তু সুযোগ রয়ে গেছে, প্রধান বিচারপতি সেই আহ্বান জানিয়েছেন। আদালত হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে আপনার কথা শুনে আসলে কী করতে হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।'
তিনি আরও বলেন, ‘কোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রাম করে, ব্যারিকেড দিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা- এটি অনুচিত ও অযৌক্তিক।'
কিছু কুচক্রী, কোনো পরামর্শদাতা বা কারো ইন্ধনের কারণে পানির মতো একটি সহজ জিনিসকে জটিল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ হোসেন।
কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন ভিন্ন জায়গায় না যায় সে বিষয়ে সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যথাযথ জায়গায় যাবেন। আপনাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। আমি মনে করি সুন্দরভাবে সেটি সমাধান হওয়া সম্ভব।'
একটি গোষ্ঠী দেশের উন্নয়নের সমালোচনা করে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
কারা শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, যারা সেই সময়ে দেশে লুটপাট করেছে, যারা দেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে, তারা চাচ্ছে না। তারা বসে আছে যেকোনো বিষয়কে পুঁজি করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে।'
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসে মাত্র ১৭ শতাংশ নারীরা সুযোগ পেয়েছেন। ৪০তম বিসিএসে ৫৯ জেলা থেকে পুলিশে একজন নারী ও চাকরির সুযোগ পাননি। ১৭টি জেলায় নারী-পুরুষ কেউই সুযোগ পায়নি। এরকম যদি হয়, তাহলে একটা অসমতা তৈরি হয়। কোটার সংস্কার দরকার। কোটা কতটুকু থাকবে সেটা আলোচনা হতে পারে।’
উল্লেখ্য, বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে সরকার। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি হাইকোর্ট সেই পরিপত্র বাতিল করে। এতে ফের কোটা বাতিলে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেছে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে কোটা বাতিলের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে আপিল বিভাগ। এরপরও আন্দোলন থেকে সরে আসেনি শিক্ষার্থীরা।
৩ মাস আগে
কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সীমা লঙ্ঘন করছেন বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভাবছেন তাদের চিন্তা-ভাবনা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেজন্য তারা রাস্তায় চলে এসেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশকে বলেছি, এদের কথা আমরা শুনব। কিন্তু শোনারও একটা সীমা বোধ হয় থাকে। তারা বোধ হয় এগুলো অতিক্রম করে যাচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত করা হয়েছে। চলমান মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তাই হাইকোর্টের নির্দেশনা (কোটা বহাল করে) এখন অচল, সেটি এখন নেই।'
রায় না থাকায় আন্দোলনের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্ররা আদালতে নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারে। রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তারা যেটা চেয়েছিলেন সেই দিকেই তো যাচ্ছে।'
জনদুর্ভোগ না করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, 'তাদের দাবির প্রতি সরকার সব সময় খেয়াল রাখছে। যেহেতু বিষয়টি কোর্টে আছে এজন্য কোর্টের মাধ্যমে এটি নিষ্পত্তি হবে।'
৩ মাস আগে
কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
অবরোধে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো বৈষম্য চলবে না। তাই আমরা প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর কোটা বাদে সব কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া এ দুটি কোটা কোনো প্রার্থী একবারের বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না।’
তারা আরও বলেন, যদি কোটা পদ্ধতি বাতিল না হয় তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, মহাসড়কে অবরোধ চলছে। ঘটনাস্থলে আমরা আছি।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
৩ মাস আগে
কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবিতে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১ জুলাই) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহাল: বাকৃবিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ
এসময় সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা প্রত্যেকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালকে সংবিধানের লংঘন বলে মন্তব্য করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বিলুপ্তি না হলে ছাত্র সমাজ ছেড়ে কথা বলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে গত ১০ জুন কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে বাকৃবির প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী।
আন্দোলনে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. ইরান মিয়া বলেন, ‘কোটা পদ্ধতির নামে বৈষম্য সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কখনোই মানবে না। সংবিধানে চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোটা পদ্ধতির পুনর্বহাল সংবিধানের লংঘন। তাই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির বিলুপ্তি না হলে ছাত্রসমাজ ছেড়ে কথা বলবে না।’
আরও পড়ুন: পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
৩ মাস আগে