বাঘাইহাট
সাজেকে পাহাড়ি ঢলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ; আটকা তিনশরও বেশি পর্যটক
টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢল নেমে সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাজেক ভ্যালিতে প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) মধ্যরাত থেকে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাঘাইহাট বাজারে সড়ক এবং বেইলি ব্রিজ তলিয়ে যায়। এতে সাজেকের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে পাহাড়ি ঢলে সড়ক ডুবে গেলে বাঘাইহাট থেকে কোনো গাড়ি সাজেকের উদ্দেশে যেতে পারেনি এবং সাজেক থেকেও কোনো পর্যটকবাহী গাড়ি আসতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বর্ষা-বন্যায় বসতবাড়িতে সাপের উপদ্রব মোকাবিলা করবেন যেভাবে
সাজেক জীপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, অতিবৃষ্টিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে বাঘাইহাট বাজার এবং মাচালং বাজারে ঢলের পানি বাড়তে শুরু করে। বাঘাইহাট বাজারে কোমড়পানি উঠে যায়। তাই সাজেক সড়কে কোনো যানবাহন চালানো যায়নি। গতকাল যে পর্যটকরা সাজেকে এসেছিলেন তারা ফিরতে পারছেন না। খাগড়াছড়ি থেকেও কোনো গাড়ি সাজেকের উদ্দেশে ছেড়ে আসেনি।
সাজেক মেঘপুঞ্জি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক পুষ্প চাকমা বলেন, কয়েকদিন ধরে সাজেকে বৃষ্টির কারণে পর্যটকের সংখ্যা কম। বৃষ্টিতে তিনশরও বেশি পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে বাইরে বেড়ানো সম্ভব হচ্ছে না বলে রিসোর্টের কটেজেই অবস্থান করছেন সবাই।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়ক ও বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার পানিতে ডুবে যাওয়ায় তিন শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েছে। এছাড়াও বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় উপজেলায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বন্যার্তদের সাহায্য করতে উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে পানি কমে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে ফের দেখা দিয়েছে বন্যা
৪ মাস আগে