শেষ আট
ইউরো ২০২৪: কেমন হবে কোয়ার্টারের ৪ লড়াই
অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে সর্বশেষ দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তুরস্ক। এর ফলে চূড়ান্ত হয়ে গেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরের সেরা আট দল।
শুক্র ও শনিবার (৫ ও ৬ জুলাই) দুটি করে ম্যাচের মাধ্যমে সেমিফাইনালের জন্য সেরা চার দল চূড়ান্ত করা হবে।
কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া দলগুলো হচ্ছে- সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ইংল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস ও তুরস্ক।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হবে স্পেন। এরপর ওইদিন রাত একটায় দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও ফ্রান্স।
পরের দিন শনিবার বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন কোয়ার্টার ফাইনালের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে গত আসরের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড ও কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা সুইজারল্যান্ড।
এরপর রাত একটায় সেমিফাইনালের শেষ টিকিট কাটতে মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস ও তুরস্ক।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই শুরু হওয়ার আগে দলগুলোর অবস্থা, শক্তি ও সম্ভাব্য লড়াই কেমন হবে, চলুন দেখে নেই।
জার্মানি-স্পেন
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হবে স্পেন।
ইউরোর চলতি আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে দুই দলই।
চলতি আসরে চার ম্যাচ খেলে মাত্র দুটি গোল খেয়ে প্রতিপক্ষের জালে ১০ বার বল পাঠিয়েছে জার্মানি। জামাল মুসিয়ালা, ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টসের মতো তরুণদের সঙ্গে দলটিতে রয়েছে মানুয়েল নয়ার, আন্টনিও রুয়েডিগার ও টনি ক্রুসদের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার। ফলে একপ্রকার দুর্জয় দল হিসেবে এবারের আসরে আবির্ভূত হয়েছে স্বাগতিকরা।
অন্যদিকে, গ্রুপ পর্বে একমাত্র দল ছিল স্পেন, যারা তিনটি ম্যাচই জিতে শেষ ষোলো খেলতে আসে। প্রথম তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ বার বল পাঠালেও স্পেনের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি কেউ। এরপর শেষ ষোলোয় জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে জার্মানিকে একপ্রকার হুঙ্কার দিয়েই রেখেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
চলতি আসরে স্পেনের জার্সি গায়ে আগুন ঝরিয়ে চলেছেন লামিন ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামস। পাশাপাশি মাঝমাঠে পেদ্রি ও রক্ষণে রবিন লে নরমান্দ আলো ছড়াচ্ছেন প্রতিটি ম্যাচে। তার সঙ্গে রয়েছেন স্পেনের অধিনায়ক রদ্রি, রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক দানি কারভাহাল ও আতলেতিকো মাদ্রিদ অধিনায়ক আলভারো মোরাতা। ফাবিয়ান রুইস-মার্ক কুকুরেইয়াদের সঙ্গে নিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখে প্রতিটি ম্যাচে ক্ষুরধার ফুটবলের ডালি মেলে স্পেন।
ফলে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালেই ফাইনালের আমেজ পেয়ে যেতে পারে দর্শক।
ফ্রান্স-পর্তুগাল
শুক্রবার রাত একটায় দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও ফ্রান্স।
এই দুই দলের পারফরম্যান্স এক কথায় বলতে গেলে জার্মানি-স্পেনের ঠিক উল্টো। প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ওপেন প্লে থেকে গোল পায়নি ফ্রান্স। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানের জয়, পরের ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র এবং শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল পেলেও ১-১ সমতায় টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে শেষ ষোলোয় ওঠে গত বিশ্বকাপের রানার্স-আপরা। এরপর বেলজিয়ামের বিপক্ষে ফের আত্মঘাতী গোলের কল্যাণে ১-০ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টারে উঠেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, গ্রুপ পর্বে চেক রিাপবলিক ও তুরস্কের বিপক্ষে ২-১ ও ৩-০ ব্যবধানে জিতলেও শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে পর্তুগালকে হারায় পুচকে জর্জিয়া। শেষ ষোলোতে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেলেও প্রায় হেরেই বসেছিল রবের্তো মার্তিনেসের শিষ্যরা।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তো কেঁদেই ফেলেছিলেন মাঠের মধ্যে। তবে ১-১ গোলের সমতায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পর ম্যাচ পেনাল্টিতে গড়ালে দারুণ নৈপুণ্য দেখান পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা। স্লোভেনিয়ার প্রথম তিনটি স্পট কিক ঠেকিয়ে দিয়ে একাই তারকায় ভরা পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন তিনি।
তাই এই ম্যাচটিতেও শক্তির বিচারে সমানে সমানে লড়াই হবে বলে আশা করা যায়।
ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড
শনিবার রাত দশটায় কোয়ার্টার ফাইনালের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে গত আসরের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড ও কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা সুইজারল্যান্ড।
চলতি আসরে ইংল্যান্ডের অবস্থা এক কথায় হযবরল। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে কোনোমতে ১-০ গোলের ব্যবধানে জেতে হ্যারি কেইনের দল। এরপর ডেনমার্কের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র হলেও শেষ ম্যাচে স্লোভেনিয়ার জালে বলই জড়াতে পারেনি তারা। শেষ ষোলোয় স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে তো হেরেই বসেছিল ইংল্যান্ড। নেহাত বেলিংহ্যাম শেষ মুহূর্তে বাঁচিয়ে দেয় তাদের।
অপরদিকে, নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সুইজারল্যান্ড। এ পর্যন্ত আসতে তাদের পথটাই সবচেয়ে কঠিন ছিল।
গ্রুপ পর্বে স্বাগতিক জার্মানি, এবারের আসরের ‘ডার্ক হর্স’ খ্যাত হাঙ্গেরি ও দুর্দান্ত টিম ওয়ার্কে প্রতিশ্রুতিশীল স্কটল্যান্ডের সামনে পড়ে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যরা। তবে প্রথম ম্যাচেই ডার্ক হর্সদের ৩-১ গোলে হারানোর পর স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করে সুইজারল্যান্ড। এরপর শেষ ম্যাচে শক্তিশালী জার্মানিকেও ১-১ গোলে রুখে দেন গ্রানিট জাকা-ব্রিল এম্বলোরা।
শেষ ষোলোয় ইতালিকে ২-০ ব্যবধানে কাঁদিয়ে নিজেদের আরও উচ্চতায় নিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। তাই আত্মবিশ্বাসে এখন উড়ছে তারা।
তবে টুর্নামেন্টজুড়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কৌশলী দল সুইসরাই। নিজেদের শক্তি সম্পর্কে তারা যেমন জানে, তেমনি শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে নিজেদের দুর্বলতার দিকগুলোও মাথায় রাখে তারা। আর এভাবেই ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’ নিয়ে প্রতিটি শক্ত চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে তারা।
এবার তাদের সামনে ইংল্যান্ড। গত ম্যাচগুলোতে নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেও যেকোনো সময় জ্বলে ওঠার মতো প্রতিভা যে দলটির আছে- তা মাথায় নিয়েই মাঠে নামবে সুইজারল্যান্ড। ফলে ডাগআউটে গ্যারেথ সাউথগেট ও মুরাত ইয়াকিনের ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ দেখার অপেক্ষায় থাকবে ফুটবল বিশ্ব।
নেদারল্যান্ডস-তুরস্ক
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় সেমিফাইনালে ওঠার শেষ লড়াইয়ে মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস ও তুরস্ক।
১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডস সর্বশেষ সেমিফাইনাল খেলে ২০০৪ সালে। এবার তুর্কিজয় করতে পারলে ২০ বছরের সেমির আক্ষেপ ঘুচবে তাদের।
অন্যদিকে, ২০০৮ সালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টিতে জিতে ইউরোর ইতিহাসে মাত্র একবার সেমিফাইনালে ওঠে তুরস্ক। এবার ডাচ বাধা পেরোতে পারলে ১৬ বছর পর ফের সেমিফাইনালে উঠবে তারা।
এই ম্যাচটির আগে বিশ্লেষকরা থাকবেন সবচেয়ে অনিশ্চয়তায়। কেননা, গ্রুপ পর্ব থেকে কোনোমতে শেষ ষোলোয় উঠলেও, রোমানিয়াকে রীতিমতো শাসন করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ডাচরা।
এই ম্যাচের আগে মেম্ফিস ডিপাই বলেছিলেন, তাদের ইউরো প্রতিযোগিতা কেবল শুরু। মাঠের খেলায় তার কথার প্রমাণ মেলে। ফলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়ায় দলটির প্রতিভাবান ফুটবলারদের ফর্মও যে ফিরবে, তা খানিকটা নিশ্চিত।
অপরদিকে, জর্জিয়াকে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে হারানোর পর পর্তুগালের কাছে ৩-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয় তুরস্ক। এরপর চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর সমশক্তির অস্ট্রিয়াকেও ২-১ ব্যবধানে কাবু করেছে ভিনসেন্সো মনতেল্লার শিষ্যরা। ফলে একপ্রকার মিশ্র অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে দলটি।
শেষ দুই ম্যাচে স্পষ্ট ফেবারিট প্রতিপক্ষের সামনে পরিস্কারভাবে ভুগতে দেখা গেছে তুরস্ককে। তবে মাঠে অসাধারণ ধৈর্য্যের স্বাক্ষর রেখে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
সেমির লড়াইয়ে এবার তাদের সামনে রোনাল্ড কুমানের নেদারল্যান্ডস। ক্ষিপ্র ফুটবলের চেয়ে কৌশলী ফুটবল খেলতেই বেশি দেখা গেছে দলটিকে। ধৈর্য্য ধরে বিভিন্ন প্রচেষ্টায় ম্যাচজয়ের দিকে তাদের মনোযোগ দেখা গেছে। ফলে ধৈর্য্য আর কৌশলে দুই কোচের কে কাকে হারাবে, তার ওপরই ম্যাচটির ভাগ্য নির্ভর করবে।
৪ মাস আগে
অস্ট্রিয়াকে বিদায় করে ১৬ বছর পর কোয়ার্টারে তুরস্ক
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই গোল, এরপর খেলা শেষ হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে দারুণ একটি গোল সেইভ- এই দুই কীর্তিতেই অস্ট্রিয়াকে হতাশ করে ১৬ বছর পর ইউরোর শেষ আট নিশ্চিত করেছে তুরস্ক।
লাইপসিগের রেড বুল আরেনায় মেরিহ দেমিরালের জোড়া গোলে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তুরস্ক। এর ফলে ইউরোর চলতি আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভিনসেন্সো মনতেল্লার শিষ্যরা।
৬০ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখে ২১টি শট নেয় অস্ট্রিয়া, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। তবে একবারের বেশি জাল খুঁজে পেল না রাল্ফ রাংনিকের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ৬টি শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারল তুরস্ক, যার দুটি থেকেই পেল সফলতা। ফলে অস্ট্রিয়ানদের হৃদয় ভেঙে শেষ আট নিশ্চিত করল তারা।
এর ফলে ২০০৮ সালের পর আবারও শেষ আটে উঠল তুরস্ক। সেবার পেনাল্টিতে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালও খেলেছিল দেশটি, যা ইউরোতে তাদের সেরা দৌড়।
আরও পড়ুন: বিরল কীর্তিতে রোনালদোর পাশে বসলেন ইয়ামাল
ম্যাচ শুরুর প্রথমেই আক্রমণে ওঠে অস্ট্রিয়া। তবে সেই আক্রমণ থেকে বল নিয়ে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ম্যাচের ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে অস্ট্রিয়ানদের দুঃস্বপ্নময় শুরু উপহার দেয় তুরস্ক।
পাল্টা আক্রমণে গিয়ে কর্নার আদায় করে তুরস্ক। কর্নার থেকে রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ প্রতিভা আর্দা গুলেরের উড়ন্ত শটটি অস্ট্রিয়ান ফুলব্যাক স্টেফান পশের পায়ে লেগে গোল পেয়েই যাচ্ছিল তুরস্ক। কিন্তু গোললাইন থেকে বলটি কোনোমতে ঠেকান গোলরক্ষক পাট্রিক পেন্টস। তবে মুহূর্তেই তা দেমিরালের পায়ে চলে গেলে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
ফলে ম্যাচ শুরু হতেই এগিয়ে যায় তুরস্ক। দেমিরালের এই গোলটি ইউরোর নকআউট পর্বের ইতিহাসে দ্রুততম গোল।
৪ মাস আগে
আক্রমণের পসরা সাজিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস
চমক জাগিয়ে বেলজিয়ামকে হটিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোয় উঠলেও নেদারল্যান্ডসের আক্রমণের তোড়ে ভেসে গেল রোমানিয়া। অন্যদিকে, তৃতীয় হয়ে কোনোমতে শেষ ষোলোয় উঠলেও নকআউট পর্বে এসে নিজেদের মেলে ধরল ডাচরা। এর ফলে বড় জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোনাল্ড কুমানের দল।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনায় সপ্তম ম্যাচে রোমানিয়াকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের হয়ে গোলের খাতা খোলেন লিভারপুলের স্ট্রাইকার কোডি গাকপো, পরের গোল দুটি করেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা ডনিয়েল মালেন।
এদিন গোলের জন্য মোট ২৩টি শট নিয়ে তার ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে, রোমানিয়ার ৫টি শটের মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে।
খেলায় ৬৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় ডাচরা। খেলার সর্বোপরি চিত্র এমন হলেও শুরুটা মোটেও একপেশে ছিল না।
প্রথম থেকেই ডাচদের সঙ্গে সমানে লড়াই করতে থাকে রোমানিয়া। নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলার ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম শটটি নেন পিএসজির তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জাভি সিমোন্স। তবে দুই মিনিট পরই ডাচ রক্ষণের পরীক্ষা নেয় রোমানিয়া।
এরপর ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে পরপর দুবার আক্রমণে ওঠে রোমানিয়া। তবে গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন: বেলিংহ্যামের শেষের নাটকের পর স্লোভাকিয়াকে কাঁদিয়ে শেষ আটে ইংল্যান্ড
এসময় সাবধানী ফুটবলে মনোযোগী হয় নেদারল্যান্ডস। ছোট ছোট পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। এতে দ্রুত সফলও হয় তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০তম মিনিটে ফলাফলও পেয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।
সিমোন্সের পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন গাকপো। এরপর একজন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে কাছের পোস্ট দিয়ে নিচু শট শানান তিনি। আর এতেই বল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেয়। ফলে প্রথমবার ম্যাচে এগিয়ে যায় ডাচরা।
চলতি আসরে গাকপোর এটি ছিল তৃতীয় গোল। জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও স্লোভাকিয়ার ইভান শারাঞ্জের সঙ্গে যৌথভাবে যা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ।
৪ মাস আগে